ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেতিবাচক কথাবার্তায় ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে: মির্জা ফখরুল

বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক কথাবার্তার কারণে ফ্যাসিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য, কিছু মিডিয়া তাদের প্রমোট করছে। এটি জনগণের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। এ ধরনের প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।’

শনিবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এবার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, সেটি যেন আমরা হাতছাড়া না করি। এই সুযোগ হারিয়ে গেলে জাতি হিসাবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে। এখন যারা রাষ্ট্রের দায়িত্বে আছেন, তাদের আমরা সবাই একসঙ্গে ছাত্ররা, রাজনীতিবিদরা সমর্থন দিয়েছি। এই প্রত্যাশায় দিয়েছি যে, ১৫ বছর আওয়ামী লীগ যে জঞ্জাল সৃষ্টি করে গেছে তারা সেগুলো সরিয়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই তরুণ-যুবকের যে চাওয়া নতুন বাংলাদেশ, সে বাংলাদেশ যেন আমরা তৈরি করতে পারি।

তিনি বলেন, অনেকে জিজ্ঞাসা করেন ‘আপনারা এত নির্বাচন-নির্বাচন করেন কেন।’ আমি বরাবরই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন মানুষ। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার বা উদ্যোগ কখনো সম্ভব হতে পারে না। নির্বাচিত প্রতিনিধি জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সম্ভব। সমস্যা ওই জায়গায়, দেশে গণতন্ত্র চর্চা না হওয়ায় যে সংস্কৃতি, সেটি গড়ে উঠেছে। প্রত্যেকের মধ্যে একটা স্বৈরাচারী ও কর্তৃত্ববাদী চিন্তাভাবনা একেবারে বাসা বেঁধে আছে। আমরা দ্রুত অসহনশীল হয়ে যাই। গণতন্ত্র মানেই সহনশীলতা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে সময় দিতে হবে, আমরা তাদের দায়িত্ব দিয়েছি, তারা কাজ করছেন। অবাক হয়ে যাই, এই মিডিয়া! তারা এই সরকারের কোনো সাফল্য দেখতে পায় না। অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই, সরকার তিন মাসে অনেক কাজ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘সংস্কার করার জন্য তারা কমিশন গঠন করেছে, আইন পরিবর্তন করেছে, আইনগুলো নিয়ে কাজ করছে। বেশ কিছু ফ্যাসিবাদের দোসরকে আটক করেছে; বিচারের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই বিষয়গুলো কিছু করছে। সবকিছু একসঙ্গে সম্ভব নয়।’

ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুনিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের জেনায়েদ সাকী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, মিডিয়া ব্যক্তি জামিল আহমেদ, জহিরুল আলম, ইয়ুথ ফোরামের মেহেরুন্নেসা হক, সোহান হাফিজ, তানজিনা নওসিন, মনিরুজ্জামান মুনির, মেহেদি হাসান মিঠু, শফিউল কবির, জেরিন আনজুম মৌ, আয়ান আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে নিহত হাফেজ মোহাম্মদ ইমরান এবং আহত হাফেজ তোফায়েল আহমেদের পরিবারকে নাজমুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অর্থ সহযোগিতা এবং যুব সংগঠনগুলোকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

নেতিবাচক কথাবার্তায় ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৯:০২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক কথাবার্তার কারণে ফ্যাসিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য, কিছু মিডিয়া তাদের প্রমোট করছে। এটি জনগণের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। এ ধরনের প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।’

শনিবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এবার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, সেটি যেন আমরা হাতছাড়া না করি। এই সুযোগ হারিয়ে গেলে জাতি হিসাবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে। এখন যারা রাষ্ট্রের দায়িত্বে আছেন, তাদের আমরা সবাই একসঙ্গে ছাত্ররা, রাজনীতিবিদরা সমর্থন দিয়েছি। এই প্রত্যাশায় দিয়েছি যে, ১৫ বছর আওয়ামী লীগ যে জঞ্জাল সৃষ্টি করে গেছে তারা সেগুলো সরিয়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই তরুণ-যুবকের যে চাওয়া নতুন বাংলাদেশ, সে বাংলাদেশ যেন আমরা তৈরি করতে পারি।

তিনি বলেন, অনেকে জিজ্ঞাসা করেন ‘আপনারা এত নির্বাচন-নির্বাচন করেন কেন।’ আমি বরাবরই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন মানুষ। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার বা উদ্যোগ কখনো সম্ভব হতে পারে না। নির্বাচিত প্রতিনিধি জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সম্ভব। সমস্যা ওই জায়গায়, দেশে গণতন্ত্র চর্চা না হওয়ায় যে সংস্কৃতি, সেটি গড়ে উঠেছে। প্রত্যেকের মধ্যে একটা স্বৈরাচারী ও কর্তৃত্ববাদী চিন্তাভাবনা একেবারে বাসা বেঁধে আছে। আমরা দ্রুত অসহনশীল হয়ে যাই। গণতন্ত্র মানেই সহনশীলতা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে সময় দিতে হবে, আমরা তাদের দায়িত্ব দিয়েছি, তারা কাজ করছেন। অবাক হয়ে যাই, এই মিডিয়া! তারা এই সরকারের কোনো সাফল্য দেখতে পায় না। অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই, সরকার তিন মাসে অনেক কাজ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘সংস্কার করার জন্য তারা কমিশন গঠন করেছে, আইন পরিবর্তন করেছে, আইনগুলো নিয়ে কাজ করছে। বেশ কিছু ফ্যাসিবাদের দোসরকে আটক করেছে; বিচারের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই বিষয়গুলো কিছু করছে। সবকিছু একসঙ্গে সম্ভব নয়।’

ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুনিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের জেনায়েদ সাকী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, মিডিয়া ব্যক্তি জামিল আহমেদ, জহিরুল আলম, ইয়ুথ ফোরামের মেহেরুন্নেসা হক, সোহান হাফিজ, তানজিনা নওসিন, মনিরুজ্জামান মুনির, মেহেদি হাসান মিঠু, শফিউল কবির, জেরিন আনজুম মৌ, আয়ান আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে নিহত হাফেজ মোহাম্মদ ইমরান এবং আহত হাফেজ তোফায়েল আহমেদের পরিবারকে নাজমুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অর্থ সহযোগিতা এবং যুব সংগঠনগুলোকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।