খাদ্য উপদষ্টো ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খাদ্য আমদানির ওপর থেকে সব ধরনের ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে মজুত বাড়িয়ে খাদ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। সোমবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এদিন উপদষ্টো হিসাবে প্রথম কর্মস্থলে আসেন আলী ইমাম মজুমদার। তাকে স্বাগত জানান খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আব্দুল খালেক।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, দেশে বিগত বন্যায় আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসাবে প্রায় ৭ লাখ টন ধানের উত্পাদন কম হচ্ছে। দেশে গমের চাহিদা প্রায় ৭০ লাখ মেট্রিক টন। উত্পাদন হয় মাত্র ১০ লাখ মেট্রিক টন। সরকার চাল ও গম আমদানি করে পরিস্থিতি মোকাবিলার চষ্টো করছে।
উপদষ্টো আরও বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর দেশেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল বিনষ্ট হয়। তাছাড়া ধান কাটার আগ মুহূর্তে একটু অভাব-অনটন থাকেই। আমরা সার্বিকভাবে খাদ্য মজুত বাড়াতে তত্পর।
আমদানির ক্ষেত্রে ডলার সংকটের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেবেন এমন প্রশ্নে উপদষ্টো বলেন, ডলার সংকট ছিল, তবে তা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। ভালো খবর হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আমদানি চলমান রয়েছে। তারাও রপ্তানির ওপর থেকে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করে দিয়েছে। ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
সরকার ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) চালু রাখায়, চালের দাম বাড়িয়েও কোনো লাভ নেই। কারণ দরিদ্র ও নম্নি আয়ের মানুষ বাজার থেকে চাল ক্রয় করে না বলে জানান উপদষ্টো। সরকারের উত্থান ও পতনের সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তদারকির অভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা চালের বাজার অস্থির করেছে এমন প্রশ্নে উপদষ্টো বলেন, জুলাই থেকে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে দেশে সরকার কার্যকর ছিল না। শুধু খাদ্য নয়, কোনো মন্ত্রণালয়ই কাজ করেনি। এখন আর সেই অবস্থা নেই। খাদ্য নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। সরকার খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে।
নির্বাচন ও সংস্কার সংক্রান্ত প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমি এখন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদষ্টো। এর বাইরে কথা বলার সুযোগ নেই।