ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ায় ব্যাপক বিমান হামলা যুক্তরাষ্ট্রের

সিরিয়ায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির ৯টি লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বাহিনী এসব হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হামলার এই লক্ষ্যবস্তুগুলো ইরানি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত ৯ টি লক্ষ্যবস্তুতে তারা হামলা চালিয়েছে বলে মার্কিন সামরিক বাহিনী সোমবার জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলার জবাবে সিরিয়ায় এসব হামলা চালানো হয়।

মূলত ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সংশ্লিষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে মাঝে-মধ্যেই অভিযান চালিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। একসময় উভয় দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল ইসলামিক স্টেট-সহ অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো।

এর আগে মার্কিন সৈন্যদের ওপর মারাত্মক হামলার প্রতিশোধ হিসেবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড (আইআরজিসি) এবং তাদের সমর্থনকারী মিলিশিয়াদের সাথে যুক্ত ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

সর্বসাম্প্রতিক এই হামলার পর মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, “এই হামলাগুলো যুক্তরাষ্ট্র এবং কোয়ালিশন বাহিনীর ওপর ভবিষ্যৎ হামলার পরিকল্পনা ও হামলা চালানোর জন্য ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর সক্ষমতাকে ক্ষুণ্ন করবে।”

এর আগে গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৩৫ জনের বেশি সদস্য নিহত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সেসময় জানিয়েছিল, সিরিয়ার সমগ্র অঞ্চল ও এর বাইরে বেসামরিক নাগরিকদের পাশাপাশি মার্কিন মিত্র ও তার অংশীদারদের বিরুদ্ধে আইএসের হামলার পরিকল্পনা, সংগঠিত হওয়া ও হামলার সক্ষমতাকে ব্যাহত করেছে ওই হামলা।

এর আগে, গত সপ্তাহে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মার্কিন ও ইরাকি বাহিনী। ওই সময় বাগদাদ বলেছিল, যৌথ অভিযানে অন্তত ৯ জঙ্গি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দেশটিতে আইএসের শীর্ষ নেতাও ছিলেন।

জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য ২০১৪ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক আইএস-বিরোধী জোটের অংশ হিসেবে সিরিয়ায় মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রায় ৯০০ ও ইরাকে আড়াই হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়।

এই সৈন্যরা এখনও দেশ দুটিতে অবস্থান করছেন। মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রায়ই সিরিয়া এবং ইরাকে আইএস জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে।

সিরিয়ায় ব্যাপক বিমান হামলা যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট সময় ১১:০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

সিরিয়ায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির ৯টি লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বাহিনী এসব হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হামলার এই লক্ষ্যবস্তুগুলো ইরানি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত ৯ টি লক্ষ্যবস্তুতে তারা হামলা চালিয়েছে বলে মার্কিন সামরিক বাহিনী সোমবার জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলার জবাবে সিরিয়ায় এসব হামলা চালানো হয়।

মূলত ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সংশ্লিষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে মাঝে-মধ্যেই অভিযান চালিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। একসময় উভয় দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল ইসলামিক স্টেট-সহ অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো।

এর আগে মার্কিন সৈন্যদের ওপর মারাত্মক হামলার প্রতিশোধ হিসেবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড (আইআরজিসি) এবং তাদের সমর্থনকারী মিলিশিয়াদের সাথে যুক্ত ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

সর্বসাম্প্রতিক এই হামলার পর মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, “এই হামলাগুলো যুক্তরাষ্ট্র এবং কোয়ালিশন বাহিনীর ওপর ভবিষ্যৎ হামলার পরিকল্পনা ও হামলা চালানোর জন্য ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর সক্ষমতাকে ক্ষুণ্ন করবে।”

এর আগে গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৩৫ জনের বেশি সদস্য নিহত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সেসময় জানিয়েছিল, সিরিয়ার সমগ্র অঞ্চল ও এর বাইরে বেসামরিক নাগরিকদের পাশাপাশি মার্কিন মিত্র ও তার অংশীদারদের বিরুদ্ধে আইএসের হামলার পরিকল্পনা, সংগঠিত হওয়া ও হামলার সক্ষমতাকে ব্যাহত করেছে ওই হামলা।

এর আগে, গত সপ্তাহে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মার্কিন ও ইরাকি বাহিনী। ওই সময় বাগদাদ বলেছিল, যৌথ অভিযানে অন্তত ৯ জঙ্গি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দেশটিতে আইএসের শীর্ষ নেতাও ছিলেন।

জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য ২০১৪ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক আইএস-বিরোধী জোটের অংশ হিসেবে সিরিয়ায় মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রায় ৯০০ ও ইরাকে আড়াই হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়।

এই সৈন্যরা এখনও দেশ দুটিতে অবস্থান করছেন। মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রায়ই সিরিয়া এবং ইরাকে আইএস জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে।