সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : মহামান্য আদালত বিনাবিচারে ১১ বছর ৫ মাস ০৮ দিন সময় আটক কোম্পানীর এম,ডি ও চেয়ারম্যানের নিঃশর্ত মুক্তি সহ ডেসটিনি গ্রুপের সকল ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেবার দাবিতে দেশব্যাপী ডেসটিনির ক্রেতা পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীদের মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা,স্মারকলিপি প্রেরন, অনশন ধর্মঘট ইত্যাদি নানা কর্মসূচী আজ প্রমান করেছে ডেসটিনি বা জেলবন্দী মোঃ রফিকুল আমীন ও মোহাম্মদ হোসাইনের বিরুদ্ধে ৪৫ লাখ ডিষ্ট্রিবিউটরদের কোন অভিযোগ নেই। ডেসটিনি ষড়যন্ত্রকারীদের শিকার, ডেসটিনির বিরুদ্ধে একজনও বিনিয়োগকারীর কোন অভিযোগ না থাকলেও ডেসটিনি এমডি বন্দী ১১ বছর। আর শীর্ষ দুই কর্মকর্তা জেলে আছেন ১১ বছর ০৫ মাস ০৮ দিন। সারাদেশে মানববন্ধনের মাধ্যমে ডেসটিনির ৪৫ লাখ পরিবার সরকারের নিকট দাবি তুলেছেন কেন বা কাদের স্বার্থে ডেসটিনি বন্ধ? কেন আজ ২৫ লাখ যুবক বেকার? কেন ১৩ লাখ নারী কর্মহীন? কেন ডেসটিনির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত হাজার হাজার কর্মচারী বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত? কেন আটক কোম্পানীর এম,ডি ও চেয়ারম্যান বিনাবিচারে জেলে? গত ২০১৩ সালে সারা দেশে মানববন্ধন করে ডিষ্ট্রিবিউটররা। এরপর থেকে ডেসটিনি মুক্তির অহিংস আন্দোলন করে চলেছে দেশে বিদেশে অবস্থানরত ডেসটিনির গ্রাহকরা। বিগত ২০১৬ সালে ৬৪ টি জেলায় ডেসটিনির শীর্ষ দুই কর্মকর্তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়। যা ছিল ডেসটিনি মুক্তির শ্রেষ্ট আন্দোলন। আর এই মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রমান হয়, ডেসটিনি বা আটক কোম্পানীর এম,ডি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৪৫ লাখ ডিষ্ট্রিবিউটরদের কোন অভিযোগ নেই। চলমান অহিংস আন্দোলন ও শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ ঘটিয়ে সরকার বা মহামান্য আদালতের কাছে ডেসটিনির ৪৫ লাখ পরিবার বারবার প্রমান করেছে দুদকের দায়ের করা মামলা ছিল মিথ্যা আর আটক এমডি ও চেয়ারম্যান নির্দোষ। ফলে আজও ন্যায় বিচারের প্রতিক্ষায় সংশ্লিষ্ট ৩ কোটি মানুষ।