সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের মানিকপুর – গোদাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুলাল শর্মার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে মহা পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা বরাবর জুলাই মাসের ৯ তারিখ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও অবসর প্রাপ্ত উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দোয়ারা বাজার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বীন মোহাম্মদকে তদন্ত কারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর দোয়ারাবাজার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বীন মোহাম্মদ প্রধান শিক্ষক বাবুলাল শর্মার অনিয়ম দুর্নীতি তদন্ত করতে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিগত দিনের নথিপত্র তদন্ত করে দেখেন ২০১৮ হতে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। শিক্ষা মন্ত্রনালয় হতে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দে মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ টাকা খরচ হলেও বাকি টাকার কোনো হিসাব দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক বাবুলাল শর্মা। পরে অভিযুক্ত বাবুলাল শর্মা ও অভিযোগ কারি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদকে মিলিত হওয়ার পরামর্শ দেন তদন্ত কারি কর্মকর্তা দ্বীন মোহাম্মদ।
এতে রাজি না হয়ে আব্দুল হামিদ বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষ করবো না। এমনকি আব্দুল হামিদকে অভিযোগ তুলে নিতে একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন তদন্ত কারি কর্মকর্তা। আব্দুল হামিদ সাক্ষর না করে সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন।
এব্যাপারে তদন্ত কারি কর্মকর্তা দ্বীন মোহাম্মদের কাছে দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানাতে অস্বীকৃতি জানান।