রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকদের জন্য কি খানিকটা দুশ্চিন্তা করার সময় চলেই এসেছে? উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরম্যাটে লিগ পর্বের ৮ ম্যাচের মধ্যে ৫ ম্যাচ তারা খেলেই ফেলেছে। যেখান থেকে কার্লো অ্যানচেলত্তির দল অর্জন করেছে ৬ পয়েন্ট। বর্তমানে তারা আছে তালিকার ২৪তম স্থানে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী, রাউন্ড অব সিক্সটিনে সরাসরি কোয়ালিফাই করতে হলে থাকতে হবে পয়েন্ট টেবিলের ১ম থেকে ৮ম অবস্থানের মাঝে। লিগ পর্বের বাকি যখন ৩ ম্যাচ। তখন সেই জায়গা থেকে অনেকটাই দূরে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। নকআউটে ওঠার জন্য তাদের সামনে প্লে-অফ পর্ব যেমন চোখ রাঙাচ্ছে, তেমনি আরও হোঁচট খেলে আছে বিদায়ের শঙ্কাটাও।
সবশেষ গতকাল রাতে অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে এসেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। যেটা আবার ইংলিশ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের ১৫ বছর পরে হার। এই হারের পর পয়েন্ট তালিকায় বাকিদের চেয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়েই পড়েছে তারা। পরের তিন ম্যাচ থেকে তাদের সম্ভাব্য পয়েন্ট হতে পারে ১৫। যেখানে লিভারপুল এরইমাঝে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে।
যদিও রিয়াল মাদ্রিদের ভক্তদের খুব একটা দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না পরের ম্যাচগুলো নিয়ে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে মোটামুটি সহজ ৩টা দলই অপেক্ষা করছে। তাদের প্রতিপক্ষ আটালান্টা, সালজবুর্গ এবং এই মৌসুমের আলোচিত দল ব্রেস্ত। পয়েন্ট টেবিলে এদের মাঝে আটালান্টা আছে ৫ম স্থানে, সালজবুর্গের অবস্থান ৩২। আর ব্রেস্ত আছে ১১তম স্থানে।
রিয়াল মাদ্রিদের মতোই একই অবস্থা ফ্রান্সের বড় ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের। বর্তমানে তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের ২৫তম স্থানে। পরের তিন ম্যাচের মধ্যে সালজবুর্গের মুখোমুখি হবে তারাও। আছে ম্যানচেস্টার সিটি এবং জার্মান ক্লাব স্টুটগার্ড। ৫ ম্যাচ থেকে তাদের অর্জন ৪ পয়েন্ট। পরের ৩ ম্যাচ জিতলেও পিএসজি নিজেদের সেরা আটে খুঁজে পাবে এমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
জনপ্রিয় আর নামী অনেক ক্লাবই অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই ফরম্যাটে বেশ ধুঁকছে। বায়ার্ন মিউনিখের অবস্থান ১৩তম, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ আছে ১৫তম স্থানে, এরপরেই আছে এসি মিলান ও ম্যানচেস্টার সিটি। মাঝে ডাচ ক্লাব পিএসভি আইন্দোভেনকে জায়গা দিয়ে তালিকার ১৯তম স্থানে আছে জুভেন্টাস।
এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৫ ম্যাচ শেষ করে শীর্ষ আটে আছে লিভারপুল, ইন্টারন্যাজিওনালে মিলান, বার্সেলোনা, বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড, আটালান্টা, বায়ার লেভারকুসেন, আর্সেনাল এবং মোনাকো। শীর্ষ এই দল সরাসরি চলে যাবে নকআউটে। আর ৯ম থেকে ২৪তম স্থানে থাকা দলগুলো শেষ ষোলোতে ওঠার জন্য খেলবে প্লে-অফ পর্ব।