ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শারীরিক চাহিদা মেটানোই জীবনের সব নয়

  • বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৬:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

এ আর রহমান আধ্যাত্মিকতার বিষয়ে নিজের মতামত শেয়ার করে বলেন, ‘আমাদের সবারই অন্ধকার সময় আছে। এই পৃথিবী সবাই আমরা ভ্রমণ করছি। আমরা জন্মেছি, আবার চলেও যাব। এটা আমাদের জন্য স্থায়ী জায়গা নয়। আমরা কোথায় যাচ্ছি, আমরা জানি না। এটি নির্ভর করে প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব কল্পনা এবং বিশ্বাসের ওপর।’

সম্প্রতি স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এ আর রহমান। বিবাহ-বিচ্ছেদের পর প্রকাশ্যে এসে প্রথমবার মুখ খুললেন অস্কারজয়ী সঙ্গীতশিল্পী।

সম্প্রতি গোয়ায় ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ায় (IFFI) এ মিউজিক্যাল থিয়েটারের প্রচারের বিষয়ে কথা বলেছেন। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে মাস্টারক্লাসে মানুষের জীবনে সঙ্গীতের প্রভাব সম্পর্কে কথা বলেন সঙ্গীতশিল্পী।

সঙ্গীতশিল্পী এ আর রহমান বলেন, ‘এখন আমাদের অনেকেরই মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে না। অবসাদ ঘিরে ধরে। কারণ আমার মনে হয়, আমাদের সবার মধ্যেই একটা শূন্যতা রয়েছে। সেই শূন্যতা দূর করতে পারে গল্পকাররা, কখনো আবার দর্শন পড়ে, কিংবা বিনোদনের মাধ্যমে, কখনো আবার ওষুধ খেয়ে তা দূর করা হয়। তবে শুধুমাত্র হিংসা, যৌনতার মতো শুধুমাত্র শারীরিক চাহিদা মেটানোই জীবনের সব নয়। জীবনের পরিধি এর থেকে আরও অনেক বড়।’

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘যখন আমি ছোট ছিলাম তখন আমাকে একবার আত্মহত্যার চিন্তা ঘিরে ধরেছিল। আমার মা বলতেন, যখন তুমি অন্যের জন্য বাঁচবে, তখন তোমার মধ্যে এ চিন্তাগুলো আসবে না। অন্যের জন্য বাঁচার অর্থ আপনি স্বার্থপর নন। সেই সময় আমি মায়ের কথাগুলোই গুরুত্ব দিয়েছিলাম।’

এর আগে স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদ নিয়ে এ আর রহমান টুইটারে লিখেছিলেন- ‘আমরা গ্র্যান্ড ত্রিশে পৌঁছানোর আশা করেছিলাম, কিন্তু মনে হয় সব কিছুরই একটা অদেখা শেষ আছে। আমরা ছিন্নভিন্ন তবুও আমরা অর্থ খুঁজি, যদিও এই টুকরোগুলো আর তাদের জায়গা খুঁজে পাবে না। আমাদের বন্ধুদের বলছি, যখন আমরা এই ভঙ্গুর অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন আপনারা যে উদারতার সঙ্গে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।’

শারীরিক চাহিদা মেটানোই জীবনের সব নয়

আপডেট সময় ০৯:৫৬:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

এ আর রহমান আধ্যাত্মিকতার বিষয়ে নিজের মতামত শেয়ার করে বলেন, ‘আমাদের সবারই অন্ধকার সময় আছে। এই পৃথিবী সবাই আমরা ভ্রমণ করছি। আমরা জন্মেছি, আবার চলেও যাব। এটা আমাদের জন্য স্থায়ী জায়গা নয়। আমরা কোথায় যাচ্ছি, আমরা জানি না। এটি নির্ভর করে প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব কল্পনা এবং বিশ্বাসের ওপর।’

সম্প্রতি স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এ আর রহমান। বিবাহ-বিচ্ছেদের পর প্রকাশ্যে এসে প্রথমবার মুখ খুললেন অস্কারজয়ী সঙ্গীতশিল্পী।

সম্প্রতি গোয়ায় ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ায় (IFFI) এ মিউজিক্যাল থিয়েটারের প্রচারের বিষয়ে কথা বলেছেন। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে মাস্টারক্লাসে মানুষের জীবনে সঙ্গীতের প্রভাব সম্পর্কে কথা বলেন সঙ্গীতশিল্পী।

সঙ্গীতশিল্পী এ আর রহমান বলেন, ‘এখন আমাদের অনেকেরই মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে না। অবসাদ ঘিরে ধরে। কারণ আমার মনে হয়, আমাদের সবার মধ্যেই একটা শূন্যতা রয়েছে। সেই শূন্যতা দূর করতে পারে গল্পকাররা, কখনো আবার দর্শন পড়ে, কিংবা বিনোদনের মাধ্যমে, কখনো আবার ওষুধ খেয়ে তা দূর করা হয়। তবে শুধুমাত্র হিংসা, যৌনতার মতো শুধুমাত্র শারীরিক চাহিদা মেটানোই জীবনের সব নয়। জীবনের পরিধি এর থেকে আরও অনেক বড়।’

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘যখন আমি ছোট ছিলাম তখন আমাকে একবার আত্মহত্যার চিন্তা ঘিরে ধরেছিল। আমার মা বলতেন, যখন তুমি অন্যের জন্য বাঁচবে, তখন তোমার মধ্যে এ চিন্তাগুলো আসবে না। অন্যের জন্য বাঁচার অর্থ আপনি স্বার্থপর নন। সেই সময় আমি মায়ের কথাগুলোই গুরুত্ব দিয়েছিলাম।’

এর আগে স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদ নিয়ে এ আর রহমান টুইটারে লিখেছিলেন- ‘আমরা গ্র্যান্ড ত্রিশে পৌঁছানোর আশা করেছিলাম, কিন্তু মনে হয় সব কিছুরই একটা অদেখা শেষ আছে। আমরা ছিন্নভিন্ন তবুও আমরা অর্থ খুঁজি, যদিও এই টুকরোগুলো আর তাদের জায়গা খুঁজে পাবে না। আমাদের বন্ধুদের বলছি, যখন আমরা এই ভঙ্গুর অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন আপনারা যে উদারতার সঙ্গে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।’