মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বেতকা ইউনিয়নের উত্তর রায়পুরা জেবি হাই স্কুলের মালামাল ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে পরিত্যাক্ত স্কুলটির মালামাল কতিপয় ব্যাক্তি ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থাণীয়রা বাঁধা দেয়। পরে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশে ওই সমস্ত মালামাল স্থাণীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৯ টার দিকে উত্তর রায়পুরা গ্রামের মৃত রফিকুউল্লাহ বেপারী ছেলে তপন বেপারী,শামছুল আলম বেপারী,নুর নবী বেপারী ৩ ভাই সহ সম্রাট, হিমেল, সুজন গংরা মিলে উক্ত স্কুলের লোহার এঙ্গেল খুলে বিক্রি করতে চাইলে স্থানীয় লোকজন বাঁধা দেয়। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃস্টি হয়।
স্থানীয় ভাবে জানাগেছে, উপজেলার উত্তর রায়পুরা জেবি হাইস্কুলটি জাপান বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে প্রায় ৩০ বছর পূর্বে নির্মিত হয়। পরে ২০১৩ সালে উক্ত স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পরে স্কুলটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে ছিলো।
পরে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করা হলে সে শিক্ষা অফিসারকে পাঠায়। শিক্ষা অফিসার বেতকা ইউনিয় পরিষদের হিসাব সহকারীকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামাল আটক করতে বললে। পরে স্থাণীয় ইউপি সদস্যকে নিয়ে উক্ত মাল আটক করে বেতকা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন।
বেতকা ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী ইমরান হোসেন জানান, আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারে কথা অনুযায়ী পরিষদের মেম্বারদেরকে নিয়ে মালামাল আটক করে বেতকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় রেখেছি।
এ ব্যপারে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই এলাকায় একটি হাই স্কুল ছিলো। এটা আমাদের লিষ্টে নাই। অনেকদিন যাবৎ স্কুলটি বন্ধ। পরিত্যাক্ত স্কুলটি পরে ছিলো। ওই এলাকার কিছু লোক ওটা ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিল। আমাদের বিষয়টি অবহিত করে। পরে আমি শিক্ষা অফিসারকে পাঠিয়ে মালামাল ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখতে বলেছি।