ঢাকা , সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Logo সিগারেটে মূল্যস্তর তিনটি হলে রাজস্ব বাড়বে, ব্যবহার কমবে Logo আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন Logo ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে ভুয়া মেজর ধরা Logo এত কিছুর পরেও আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও পরিবর্তনের কোন লক্ষণ নাই: এবি পার্টি Logo তুরস্কে বিক্ষোভের সংবাদ প্রচারের সময় ৯ সাংবাদিককে গ্রেফতার Logo ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো ভেড়ার দেহে বার্ড ফ্লু ভাইরাস শনাক্ত Logo গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে : ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি প্রধান Logo সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি Logo ঈদের পরপরই ঢাকায় চালু হবে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টার Logo ২৬ মার্চ তোপধ্বনিতে স্বাধীনতা দিবসের সূচনা, থাকছে যেসব কর্মসূচি
সত্যতা স্বীকার করেছেন দুই কর্মকর্তা

সোনারগাঁয়ে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে কাজের দরপত্র নিয়ে দূর্নীতির অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে কাজের দরপত্র নিয়ে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক একেএম আজাদ সরকার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী হানিফ আহমেদের যোগসাজসে এ দূর্নীতি হচ্ছে বলে স্থানীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালিকরা দাবী করেন। তাদের দাবী উপ-পরিচালকও উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে নিজেদের মনগড়া ভাবে কাজের সিডিউল তৈরী ও বিক্রয় করছেন বলে জানা গেছে। তবে আনিত অভিযোগের আংশিক সত্যতা স্বীকার করেছেন এ দুই কর্মকর্তা।

জানা গেছে, আগামী ১৫ জানুয়ারি মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা ও  লোকজন উৎসবকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কাজের জন্য দৈনিক দেশরূপান্তর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ২১ নভেম্বর থেকে কাজের সিডিউল বিক্রির কথা। বিজ্ঞপ্তি দেখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালিকরা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে নানা অজুহাতে একের পর এক সিডিউল বিক্রির সময় দিতে থাকে।

অবশেষে নানা নাটকীয়তার পর গত ২ডিসেম্বর থেকে কাজের রেট কোর্ড ছাড়াই সিডিউল বিক্রি শুরু করেন। নিজেদের পছন্দের একটি চক্রকে কাজ পাইয়ে দিতেই উপ-পরিচালক ও উপসহকারী প্রকৌশলীর যোগসাজসে এ পক্রিয়ায় সিডিউল তৈরী করেছেন বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে।

এনিয়ে ওই চক্রের সদস্যদের সাথে ফাউন্ডেশনের এ দুই কর্মকর্তা একাধিক সভা করেছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালিক জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারী কাজ করে আসছেন। ইতিপূর্বে ফাউন্ডেশনের অব্যন্তরেও ঠিকাদারী কাজ করেছেন। তবে রেট কোর্ড ছাড়া তিনি সিডিউল বিক্রি করতে দেখেননি। রেট কোর্ড ছাড়া বিক্রি করার বৈধ্যতা থাকলেও ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ গোপনে কাজের রেট কোর্ড পছন্দের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দিলে অন্য সকল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালিকগন বঞ্চিত হবেন।

এজন্য রেট কোর্ড দিয়ে দিলে আমার মনে হয় স্বচ্ছ হতো। এব্যাপারে ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক একেএম আজাদ সরকার ও উপসহকারী প্রকৌশলী হানিফ আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে দেরিতে সিডিউল বিক্রি করার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে কোনো অনিয়ম করা হয়নি বলে দাবী করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিগারেটে মূল্যস্তর তিনটি হলে রাজস্ব বাড়বে, ব্যবহার কমবে

সত্যতা স্বীকার করেছেন দুই কর্মকর্তা

সোনারগাঁয়ে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে কাজের দরপত্র নিয়ে দূর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:৫১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে কাজের দরপত্র নিয়ে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক একেএম আজাদ সরকার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী হানিফ আহমেদের যোগসাজসে এ দূর্নীতি হচ্ছে বলে স্থানীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালিকরা দাবী করেন। তাদের দাবী উপ-পরিচালকও উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে নিজেদের মনগড়া ভাবে কাজের সিডিউল তৈরী ও বিক্রয় করছেন বলে জানা গেছে। তবে আনিত অভিযোগের আংশিক সত্যতা স্বীকার করেছেন এ দুই কর্মকর্তা।

জানা গেছে, আগামী ১৫ জানুয়ারি মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা ও  লোকজন উৎসবকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কাজের জন্য দৈনিক দেশরূপান্তর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ২১ নভেম্বর থেকে কাজের সিডিউল বিক্রির কথা। বিজ্ঞপ্তি দেখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালিকরা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে নানা অজুহাতে একের পর এক সিডিউল বিক্রির সময় দিতে থাকে।

অবশেষে নানা নাটকীয়তার পর গত ২ডিসেম্বর থেকে কাজের রেট কোর্ড ছাড়াই সিডিউল বিক্রি শুরু করেন। নিজেদের পছন্দের একটি চক্রকে কাজ পাইয়ে দিতেই উপ-পরিচালক ও উপসহকারী প্রকৌশলীর যোগসাজসে এ পক্রিয়ায় সিডিউল তৈরী করেছেন বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে।

এনিয়ে ওই চক্রের সদস্যদের সাথে ফাউন্ডেশনের এ দুই কর্মকর্তা একাধিক সভা করেছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালিক জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারী কাজ করে আসছেন। ইতিপূর্বে ফাউন্ডেশনের অব্যন্তরেও ঠিকাদারী কাজ করেছেন। তবে রেট কোর্ড ছাড়া তিনি সিডিউল বিক্রি করতে দেখেননি। রেট কোর্ড ছাড়া বিক্রি করার বৈধ্যতা থাকলেও ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ গোপনে কাজের রেট কোর্ড পছন্দের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দিলে অন্য সকল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালিকগন বঞ্চিত হবেন।

এজন্য রেট কোর্ড দিয়ে দিলে আমার মনে হয় স্বচ্ছ হতো। এব্যাপারে ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক একেএম আজাদ সরকার ও উপসহকারী প্রকৌশলী হানিফ আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে দেরিতে সিডিউল বিক্রি করার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে কোনো অনিয়ম করা হয়নি বলে দাবী করেন।