দীর্ঘ ১২ বছর কারাবাস শেষে মুক্ত হয়ে দৈনিক ডেসটিনির কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর মাহতাব সেন্টারের দৈনিক ডেসটিনির সম্পাদকীয় কার্যালয়ে আসেন তিনি।
এ সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন দৈনিক ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হাসানসহ কর্মরত সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা। কার্যালয়ে এসে বার্তা কক্ষসহ বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন দৈনিক ডেসটিনির প্রকাশক ও সম্পাদক রফিকুল আমীন। অবর্ণনীয় প্রতিকূলতার মধ্যেও দীর্ঘ এক যুগ সময়ে ডেসটিনির সঙ্গে থাকায় তিনি প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কমচারীসহ ক্রেতা-পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীদের ধন্যবাদ জানান।
চলতি বছরের জুন থেকে নতুন কলেবরে দৈনিক ডেসটিনির যাত্রা শুরুর পরিকল্পনার কথা জানান সম্পাদক ও প্রকাশক রফিকুল আমীন।
তিনি বলেন, আমাদের একটা স্বপ্ন আছে। জুনেই দৈনিক ডেসটিনির জন্মদিন। ভিন্ন আঙ্গিকে আমরা নতুন করে দৈনিক ডেসটিনির যাত্রা শুরু করব। সেই লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে। তবে এতটুকু বলব যে, বড় সার্কুলেশন নিয়ে দৈনিক ডেসটিনি আসতে যাচ্ছে।‘
এ সময় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেন। দৈনিক ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হাসান বলেন, ‘এই চেয়ারে বসেছেন আজ আমাদের সম্পাদক মহোদয়, যেটা আমাদের ১২ বছরের প্রত্যাশা ছিল। আজকে সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। শোকর আলহামদুলিল্লাহ্।’
জেষ্ঠ্য সহ-সম্পাদক উত্তম সরকার বলেন, ‘আমরা যে দুঃসময়টা পার করেছি, উনার এ আগমনে আমাদের প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে। আজ আমরা মুক্ত।’
প্রধান হিসাবরক্ষক জুবায়ের আহমেদ বলেন, ‘স্যারের এ আগমনের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে যাব।’
এ সময় ডেসটিনির কয়েকশ ক্রেতা-পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীরাও মাহতাব সেন্টারে উপস্থিত হয়ে রফিকুল আমীনকে স্বাগত জানান। তার আগমনকে ঘিয়ে গোটা মাহতাব সেন্টারজুড়ে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।
এর আগে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বহুল আলোচিত ট্রি প্ল্যান্টেশন মামলার রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুক্ত হন তিনি। গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, তার স্ত্রী ফারাহ দিবা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ মামলার সব আসামি অর্থাৎ ১৯ জনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে গ্রুপের এমডি রফিকুল আমিন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে কারাগারে থাকায় তাদের সাজার মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেই অনুযায়ী কারাগারে গিয়ে কারা কতৃপক্ষের কাছে আদালতের রায়ের কপি দাখিল করে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মুক্ত হন রফিকুল আমীন।