ঢাকা , সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Logo সিগারেটে মূল্যস্তর তিনটি হলে রাজস্ব বাড়বে, ব্যবহার কমবে Logo আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন Logo ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে ভুয়া মেজর ধরা Logo এত কিছুর পরেও আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও পরিবর্তনের কোন লক্ষণ নাই: এবি পার্টি Logo তুরস্কে বিক্ষোভের সংবাদ প্রচারের সময় ৯ সাংবাদিককে গ্রেফতার Logo ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো ভেড়ার দেহে বার্ড ফ্লু ভাইরাস শনাক্ত Logo গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে : ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি প্রধান Logo সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি Logo ঈদের পরপরই ঢাকায় চালু হবে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টার Logo ২৬ মার্চ তোপধ্বনিতে স্বাধীনতা দিবসের সূচনা, থাকছে যেসব কর্মসূচি
বিশেষ সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ হোসেন

দেশের উন্নয়ন ও বেকারত্ব দূর করতে এসেছি

  • মো. আবুল হাছান
  • আপডেট সময় ০৬:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৪০৩ বার পড়া হয়েছে

দীর্ঘ এক যুগ কারাবাস শেষে মুক্ত হয়েছেন ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। ডেসটিনির দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় তাদের পাড়ি দিতে হয়েছে বন্ধুর পথ। ১২ বছর পর মুক্ত হতেই শুরু হয়েছে তাদের নতুন আরেক পথচলা। সামনের দিনগুলোতে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডকে ঘুরে দাঁড় করাতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও এমডির জন্য অপেক্ষা করছে নতুন সব চ্যালেঞ্জ। হারানো ভাবমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার নানা দিক নিয়ে দৈনিক ডেসটিনির সঙ্গে কথা বলেছেন ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো:

প্রশ্ন: ২০১২ সালে ডেসটিনি গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠান ডিএমসিএসএল ও ডিটিপিএল-এর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। এ ধরনের মামলার পর সাধারণত বাংলাদেশে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আত্মগোপনে চলে যান। কিন্তু আপনারা তা না করে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এর পেছনে কারণ কী ছিল?

মোহাম্মদ হোসেন: আমরা কোনো অপরাধ করিনি। আমাদের বিশ্বাস ছিল, আমরা চুল পরিমাণ অপরাধও করিনি। আমাদের ডিস্ট্রিবিউটরটাও কোনো অপরাধ করিনি। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমরা আত্মসর্মপণ করি। কিন্তু সুবিচার পাইনি। দুদকের তৎকালীন চেয়ারম্যান গোলাম রহমান দুদককে দন্তহীন বাঘ বলেছিলেন। কিন্তু এ দন্তহীন বাঘ যে এত বড় আঁচড় দিতে পারে সেটা জানা ছিল না।

প্রশ্ন: উনার (দুদকের তৎকালীন চেয়ারম্যান ) কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, আপনাদের কাছে অভিযোগ কে করেছে? বিনিয়োগকারীরা করেছে? তখন তিনি বলেছিলেন, আপানারা সাংবাদিকরাই অভিযোগ করেছেন।

মোহাম্মদ হোসেন: সাংবাদিকরা কোনো অভিযোগ করেননি। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তিনি মারা গেছেন, তাই তার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলতে চাই না। শুধু এতটুকু বলব, উনার কারণেই পুরো ঘটনাটা হয়েছে।

প্রশ্ন: এক মাসের কথা বলে দীর্ঘ ১২ বছর তিন মাস পেরিয়ে গেল। ডেসটিনির ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো কী খোলা হয়েছে?

মোহাম্মদ হোসেন: না। এখনো খোলা হয়নি। কারণ উনাদের প্রেতাত্মারা এখনো রয়ে গেছে। তাই হচ্ছে না।

প্রশ্ন: আপনাদের ৪৫ লাখ ডিস্ট্রিবিউটর অর্থাৎ ক্রেতা-পরিবেশক। তাদের মধ্যে সাড়ে আট লাখ মাল্টিপারপাসের এবং ১৭ লাখ ৫০ হাজার হলেন ট্রি প্ল্যান্টেশনের। তাদের মধ্যে একজন ব্যক্তি মামলা করেনি। এর পেছনে কারণ কী?

মোহাম্মদ হোসেন: কারণ তারা জানেন, আমরা কারা। আমাদের ওপর তাদের এত আস্থা রয়েছে যে, তাদের একজনও মামলা করে নাই। তারা ভালো করেই জানে আমি ও রফিকুল আমীন কে? আমাদের দুজনের কেউই কিন্তু অর্থ উপার্জন করতে আসিনি। একটা কনসেপ্ট থেকেই আমাদের আসা- সেটা হলো, এ দেশকে উন্নত করা ও বেকারত্ব দূর করা। বেকারত্ব থাকলে কিন্তু দেশে অপরাধ-অনাচার বাড়ে। এটা দূর করতেই আমাদের আসা। এটা করতে গিয়ে ১২ বছর তিন মাস পাঁচ দিন জেল খাটলাম। এই দীর্ঘ সময় কারাবাসে একবারও নিজের পরিবার নিয়ে ভাবিনি। শুধু ডিস্ট্রিবিউটিরদের চিন্তা করেছি। কারণ তারা ভালবেসে আমাদের ওপরই আস্থা রেখেছে। অথচ এক যুগেরও বেশি কেটে গেল। দেশের ইতিহাসে বোধ হয় এমন ঘটনা আর নেই যে, বিচার ছাড়া এত বছর কারাগারে…..

প্রশ্ন: এক যুগের বেশি সময় বা এত দীর্ঘ সময় পর মুক্ত হয়ে সাধারণত আমরা সচিব বা রাজনীতিবিদদের দেখি চিকিৎসা নিতে এবং পরিবারকে সময় দিতে। কিন্তু আপনরাদের দুজনকেই (চেয়ারম্যান ও এমডি) দেখা গেল মুক্ত হয়ে একদম প্রথম দিনই চলে গেলেন বিনিয়োগকারীদের কাছে। এবং ঘোষণা দিলেন যে কাল থেকেই কার্যক্রম শুরু। এত এনার্জি কোথায় পেলেন?

মোহাম্মদ হোসেন: দীর্ঘ কারাবাস শেষে সবাই পরিবারকে সময় দেয় সবাই। আমরাও তো তাই করেছি। কারণ আমাদের পরিবারতো ডিস্ট্রিবিউটাররা। তারাই তো আমার পরিবার। মুক্ত হয়েই ১২টি বছরকে ১২ দিন মনে করেছি। এ সময়ের মধ্যে কারাগার থেকে বহু মানুষকে মারা যেতে দেখেছি, তাদের ডেডবডি বের হয়েছে, বহু দেখেছি। কিন্তু তারপরেও কখনো ভেঙে পড়িনি। কারণ ডেসটিনি পরিবারের যে ত্যাগ তিতিক্ষা সেটা মনে করেই এনার্জি পেতাম।

প্রশ্ন: বিগত ১২ বছরে নানা অপপ্রচারে ডেসটিনির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখন আবার ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছেন। কিন্তু আপনি কী মনে করেন পুনরায় আবার সেই আগের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে পারবেন?

মোহাম্মদ হোসেন: ৬ মাসের মধ্যেই ভাবমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

প্রশ্ন: আপনাদের মুক্তির পর যে বিনিয়োগকারীদের বাঁধভাঙা জোয়ার। এর কারণ কী? এখন তো ব্যবসাও নেই, টাকা দেয়াও শুরু হয়নি। তাহলে কেন এই বাঁধভাঙা জোয়ার?

মোহাম্মদ হোসেন: এটা আমরা ১২ বছর ধরেই দেখছি। কেউ আমাদের কাছে টাকার জন্য আসে না। ভালোবাসার থেকে আমাদের দেখতে আসে…এক  সঙ্গে কাজ করতে চায়। সেই আগ্রহ ও ভালোবাসার তাগিদ থেকে আসে।

প্রশ্ন: সারাদেশ থেকে যে মানুষ আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে আসছে। তাদের উদ্দেশে আপনার কী বলতে চান?

মোহাম্মদ হোসেন: তাদের উদ্দেশে শুধু বলব, আপনারা কিছুদিন আমাদের একটু দেখেন। আমরা পুরোদমে কাজ শুরু করব। আর সমস্যা হবে না। দ্রুত কাজ শুরু করব।

প্রশ্ন: সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা আশা করেন?

মোহাম্মদ হোসেন: অবশ্যই আশা করব। যেহেতু সরকার দেশ থেকে বেকারত্ব দূর করতে চাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য তো সেটাই। সেক্ষেত্রে অবশ্যই পারস্পরিক সহযোগিতা কাম্য।

প্রশ্ন:  দৈনিক ডেসটিনির পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

মোহাম্মদ হোসেন: দৈনিক ডেসটিনি পরিবারকে অনেক ধন্যবাদ।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিগারেটে মূল্যস্তর তিনটি হলে রাজস্ব বাড়বে, ব্যবহার কমবে

বিশেষ সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ হোসেন

দেশের উন্নয়ন ও বেকারত্ব দূর করতে এসেছি

আপডেট সময় ০৬:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

দীর্ঘ এক যুগ কারাবাস শেষে মুক্ত হয়েছেন ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। ডেসটিনির দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় তাদের পাড়ি দিতে হয়েছে বন্ধুর পথ। ১২ বছর পর মুক্ত হতেই শুরু হয়েছে তাদের নতুন আরেক পথচলা। সামনের দিনগুলোতে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডকে ঘুরে দাঁড় করাতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও এমডির জন্য অপেক্ষা করছে নতুন সব চ্যালেঞ্জ। হারানো ভাবমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার নানা দিক নিয়ে দৈনিক ডেসটিনির সঙ্গে কথা বলেছেন ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো:

প্রশ্ন: ২০১২ সালে ডেসটিনি গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠান ডিএমসিএসএল ও ডিটিপিএল-এর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। এ ধরনের মামলার পর সাধারণত বাংলাদেশে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আত্মগোপনে চলে যান। কিন্তু আপনারা তা না করে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এর পেছনে কারণ কী ছিল?

মোহাম্মদ হোসেন: আমরা কোনো অপরাধ করিনি। আমাদের বিশ্বাস ছিল, আমরা চুল পরিমাণ অপরাধও করিনি। আমাদের ডিস্ট্রিবিউটরটাও কোনো অপরাধ করিনি। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমরা আত্মসর্মপণ করি। কিন্তু সুবিচার পাইনি। দুদকের তৎকালীন চেয়ারম্যান গোলাম রহমান দুদককে দন্তহীন বাঘ বলেছিলেন। কিন্তু এ দন্তহীন বাঘ যে এত বড় আঁচড় দিতে পারে সেটা জানা ছিল না।

প্রশ্ন: উনার (দুদকের তৎকালীন চেয়ারম্যান ) কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, আপনাদের কাছে অভিযোগ কে করেছে? বিনিয়োগকারীরা করেছে? তখন তিনি বলেছিলেন, আপানারা সাংবাদিকরাই অভিযোগ করেছেন।

মোহাম্মদ হোসেন: সাংবাদিকরা কোনো অভিযোগ করেননি। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তিনি মারা গেছেন, তাই তার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলতে চাই না। শুধু এতটুকু বলব, উনার কারণেই পুরো ঘটনাটা হয়েছে।

প্রশ্ন: এক মাসের কথা বলে দীর্ঘ ১২ বছর তিন মাস পেরিয়ে গেল। ডেসটিনির ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো কী খোলা হয়েছে?

মোহাম্মদ হোসেন: না। এখনো খোলা হয়নি। কারণ উনাদের প্রেতাত্মারা এখনো রয়ে গেছে। তাই হচ্ছে না।

প্রশ্ন: আপনাদের ৪৫ লাখ ডিস্ট্রিবিউটর অর্থাৎ ক্রেতা-পরিবেশক। তাদের মধ্যে সাড়ে আট লাখ মাল্টিপারপাসের এবং ১৭ লাখ ৫০ হাজার হলেন ট্রি প্ল্যান্টেশনের। তাদের মধ্যে একজন ব্যক্তি মামলা করেনি। এর পেছনে কারণ কী?

মোহাম্মদ হোসেন: কারণ তারা জানেন, আমরা কারা। আমাদের ওপর তাদের এত আস্থা রয়েছে যে, তাদের একজনও মামলা করে নাই। তারা ভালো করেই জানে আমি ও রফিকুল আমীন কে? আমাদের দুজনের কেউই কিন্তু অর্থ উপার্জন করতে আসিনি। একটা কনসেপ্ট থেকেই আমাদের আসা- সেটা হলো, এ দেশকে উন্নত করা ও বেকারত্ব দূর করা। বেকারত্ব থাকলে কিন্তু দেশে অপরাধ-অনাচার বাড়ে। এটা দূর করতেই আমাদের আসা। এটা করতে গিয়ে ১২ বছর তিন মাস পাঁচ দিন জেল খাটলাম। এই দীর্ঘ সময় কারাবাসে একবারও নিজের পরিবার নিয়ে ভাবিনি। শুধু ডিস্ট্রিবিউটিরদের চিন্তা করেছি। কারণ তারা ভালবেসে আমাদের ওপরই আস্থা রেখেছে। অথচ এক যুগেরও বেশি কেটে গেল। দেশের ইতিহাসে বোধ হয় এমন ঘটনা আর নেই যে, বিচার ছাড়া এত বছর কারাগারে…..

প্রশ্ন: এক যুগের বেশি সময় বা এত দীর্ঘ সময় পর মুক্ত হয়ে সাধারণত আমরা সচিব বা রাজনীতিবিদদের দেখি চিকিৎসা নিতে এবং পরিবারকে সময় দিতে। কিন্তু আপনরাদের দুজনকেই (চেয়ারম্যান ও এমডি) দেখা গেল মুক্ত হয়ে একদম প্রথম দিনই চলে গেলেন বিনিয়োগকারীদের কাছে। এবং ঘোষণা দিলেন যে কাল থেকেই কার্যক্রম শুরু। এত এনার্জি কোথায় পেলেন?

মোহাম্মদ হোসেন: দীর্ঘ কারাবাস শেষে সবাই পরিবারকে সময় দেয় সবাই। আমরাও তো তাই করেছি। কারণ আমাদের পরিবারতো ডিস্ট্রিবিউটাররা। তারাই তো আমার পরিবার। মুক্ত হয়েই ১২টি বছরকে ১২ দিন মনে করেছি। এ সময়ের মধ্যে কারাগার থেকে বহু মানুষকে মারা যেতে দেখেছি, তাদের ডেডবডি বের হয়েছে, বহু দেখেছি। কিন্তু তারপরেও কখনো ভেঙে পড়িনি। কারণ ডেসটিনি পরিবারের যে ত্যাগ তিতিক্ষা সেটা মনে করেই এনার্জি পেতাম।

প্রশ্ন: বিগত ১২ বছরে নানা অপপ্রচারে ডেসটিনির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখন আবার ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছেন। কিন্তু আপনি কী মনে করেন পুনরায় আবার সেই আগের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে পারবেন?

মোহাম্মদ হোসেন: ৬ মাসের মধ্যেই ভাবমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

প্রশ্ন: আপনাদের মুক্তির পর যে বিনিয়োগকারীদের বাঁধভাঙা জোয়ার। এর কারণ কী? এখন তো ব্যবসাও নেই, টাকা দেয়াও শুরু হয়নি। তাহলে কেন এই বাঁধভাঙা জোয়ার?

মোহাম্মদ হোসেন: এটা আমরা ১২ বছর ধরেই দেখছি। কেউ আমাদের কাছে টাকার জন্য আসে না। ভালোবাসার থেকে আমাদের দেখতে আসে…এক  সঙ্গে কাজ করতে চায়। সেই আগ্রহ ও ভালোবাসার তাগিদ থেকে আসে।

প্রশ্ন: সারাদেশ থেকে যে মানুষ আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে আসছে। তাদের উদ্দেশে আপনার কী বলতে চান?

মোহাম্মদ হোসেন: তাদের উদ্দেশে শুধু বলব, আপনারা কিছুদিন আমাদের একটু দেখেন। আমরা পুরোদমে কাজ শুরু করব। আর সমস্যা হবে না। দ্রুত কাজ শুরু করব।

প্রশ্ন: সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা আশা করেন?

মোহাম্মদ হোসেন: অবশ্যই আশা করব। যেহেতু সরকার দেশ থেকে বেকারত্ব দূর করতে চাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য তো সেটাই। সেক্ষেত্রে অবশ্যই পারস্পরিক সহযোগিতা কাম্য।

প্রশ্ন:  দৈনিক ডেসটিনির পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

মোহাম্মদ হোসেন: দৈনিক ডেসটিনি পরিবারকে অনেক ধন্যবাদ।