ঢাকা , সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Logo মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠের গভীরে রয়েছে তরল পানির ভাণ্ডার Logo ‘একজন প্রবাসী শ্রমিক ৭৩০ কোটি টাকা এনে বলছেন এটা আয়করমুক্ত’ Logo মুন্সীগঞ্জে স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড Logo রাজৈরে ইসলামী আন্দোলনের গণইফতার মাহফিল Logo শিশু সন্তানের হাতপা ভেঙ্গে মা জাতিকে কলঙ্কিত করেছ Logo বাহুবলে ফুটবলার হামজা চৌধুরী’র শোডাউনে বাইক দুর্ঘটনায় যুবকের পা দ্বিখন্ডিত Logo গড়িমসি নয়, জালিমদের বিচার নিশ্চিত দেখতে চাই: জামায়াতের আমির Logo উন্নত জাতি গঠনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা নিতে হবে: বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি Logo নিয়োগে সুপারিশ, নাহিদ ও নুসরাতকে নিয়ে মুখ খুললেন মাসুদ Logo জুলাই অভ্যুত্থানে হামলায় অভিযুক্ত ঢাবির ১২৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

দ্বিতীয় বছরের মতো বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমানোর ঘোষণা কানাডার

টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ২০২৫ সালে দেশে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রবেশে লাগাম টানার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কানাডা। আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য পরিষেবার ওপর চাপ কমানোর প্রচেষ্টা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে।

শুক্রবার দেশটির অভিবাসন-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর ৪ লাখ ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য পারমিট জারি করবে কানাডা; যা ২০২৪ সালের তুলনায় ১০ শতাংশ কম।

গত কয়েক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিপুলসংখ্যক নাগরিক কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন। এর ফলে দেশটিতে ব্যাপক আবাসন সংকট তৈরি হয়েছে। যে কারণে দেশটির সরকার জনসংখ্যায় লাগাম টানতে ২০২৪ সালে বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্টাডি পারমিটের সংখ্যা হ্রাস করে।

আগামী মার্চে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার কথা রয়েছেন জাস্টিন ট্রুডোর। দেশটিতে অভিবাসনের হার কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন জরিপে দেশটিতে নতুন করে আসা অভিবাসীদের প্রতি জনসমর্থন প্রচুর কমতে দেখা গেছে।

এর আগে, ২০২৩ সালে সাড়ে ৬ লাখের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীকে দেশটিতে পড়াশোনার অনুমতি দিয়েছিল কানাডা। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর শিক্ষার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে শীর্ষ পছন্দের দেশ কানাডা।

দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে কানাডায় সক্রিয় ভিসাধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখে পৌঁছায়। ১০ বছর আগে, ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার।

অভিবাসনের কারণে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটিতে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো বিভিন্ন পরিষেবায় ব্যাপক চাপ তৈরি এবং আবাসন ব্যয় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অভিবাসীদের আশ্রয় এবং কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য কানাডার সুখ্যাতি আছে। কিন্তু আবাসনের ব্যয় বাড়ার কারণে চাপের মুখে পড়েছে দেশটির সরকার।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমাতে কানাডার সরকারের গত বছরের নেওয়া পদক্ষেপের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এখন থেকে স্টাডি পারমিট আবেদনকারীদের কানাডার যেকোনও একটি প্রাদেশিক বা টেরিটোরিয়ায় প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। চলতি বছরে যারা দেশটিতে মাস্টার্স এবং পোস্ট-ডক্টরাল করার জন্য যাবেন, সেই শিক্ষার্থীদেরও এই প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠের গভীরে রয়েছে তরল পানির ভাণ্ডার

দ্বিতীয় বছরের মতো বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমানোর ঘোষণা কানাডার

আপডেট সময় ০৯:০৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ২০২৫ সালে দেশে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রবেশে লাগাম টানার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কানাডা। আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য পরিষেবার ওপর চাপ কমানোর প্রচেষ্টা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে।

শুক্রবার দেশটির অভিবাসন-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর ৪ লাখ ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য পারমিট জারি করবে কানাডা; যা ২০২৪ সালের তুলনায় ১০ শতাংশ কম।

গত কয়েক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিপুলসংখ্যক নাগরিক কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন। এর ফলে দেশটিতে ব্যাপক আবাসন সংকট তৈরি হয়েছে। যে কারণে দেশটির সরকার জনসংখ্যায় লাগাম টানতে ২০২৪ সালে বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্টাডি পারমিটের সংখ্যা হ্রাস করে।

আগামী মার্চে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার কথা রয়েছেন জাস্টিন ট্রুডোর। দেশটিতে অভিবাসনের হার কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন জরিপে দেশটিতে নতুন করে আসা অভিবাসীদের প্রতি জনসমর্থন প্রচুর কমতে দেখা গেছে।

এর আগে, ২০২৩ সালে সাড়ে ৬ লাখের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীকে দেশটিতে পড়াশোনার অনুমতি দিয়েছিল কানাডা। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর শিক্ষার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে শীর্ষ পছন্দের দেশ কানাডা।

দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে কানাডায় সক্রিয় ভিসাধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখে পৌঁছায়। ১০ বছর আগে, ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার।

অভিবাসনের কারণে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটিতে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো বিভিন্ন পরিষেবায় ব্যাপক চাপ তৈরি এবং আবাসন ব্যয় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অভিবাসীদের আশ্রয় এবং কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য কানাডার সুখ্যাতি আছে। কিন্তু আবাসনের ব্যয় বাড়ার কারণে চাপের মুখে পড়েছে দেশটির সরকার।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমাতে কানাডার সরকারের গত বছরের নেওয়া পদক্ষেপের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এখন থেকে স্টাডি পারমিট আবেদনকারীদের কানাডার যেকোনও একটি প্রাদেশিক বা টেরিটোরিয়ায় প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। চলতি বছরে যারা দেশটিতে মাস্টার্স এবং পোস্ট-ডক্টরাল করার জন্য যাবেন, সেই শিক্ষার্থীদেরও এই প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে।