সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসন থেকে দুই বারের নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি অধ্যাপক ডা. মো.আব্দুল আজিজকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র্যাব-২ আটক করেছেন।
হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানায়, সোমবার রাত ১১ টায় প্রথমে পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল ঘিরে ফেলে একদল সাদা পোশাকধারী আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর ১০ মিনিটের মধ্যে র্যাবের পোশাক পরিহিত কয়েকজন তাকে আটক করে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি রাজধানীর বাংলামোটর কাঁঠাল বাগান এলাকার পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে তার চেম্বারে রোগী দেখছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-২ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার খান আসিফ তপু জানান- তার বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ একজন খ্যাতিমান শিশু সার্জন হিসেবে ঢাকা শিশু হাসপাতালে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হোন।
২০১৮ সালে তিনি শিশু হাসপাতালে পরিচালক পদে নিয়োগ পান এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতৃত্ব দেন। পাশাপাশি শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অটিজম বোর্ডের একজন মেম্বার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
শেখ পরিবারের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) সংসদ সদস্য পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। আর ওই নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর সময় বিএনপির প্রার্থী ও সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান তালুকদারের নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার গাড়িবহরে হামলা, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টা চালায় একদল সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে মদদদাতা হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজকে দায়ী করা হয়।
পরবর্তীতে ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও তিনি আওয়ামী লীগের টিকিটে এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হোন।
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর, ২০১৮ সালের বিএনপির প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান তালুকদারের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায়, উপজেলার বারুহাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান তাড়াশ থানায় বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টা ও বিষ্ফোরক আইনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৯৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়াও ওই মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩শ জনকে। এরপর থেকে সাবেক এমপি অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ আত্মগোপনে চলে যান।