দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টাকা ছাপিয়ে যোগান দেয়ার পর সেই অর্থ দ্রুত বাজার থেকে তুলে নেয়ার কথা থাকলেও তাতে নেই কাঙ্ক্ষিত গতি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, এ পর্যন্ত তোলা গেছে মাত্র সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। ফলে বাজারে বাড়তি তারল্য থাকায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ আরও কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
দুর্বল ব্যাংকগুলোতে গ্রাহক আস্থা ফেরাতে ৬ প্রতিষ্ঠানকে ২২ হাজার কোটি টাকা সহায়তার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। টাকা ছাপিয়ে যোগান দেয়ার এই সিদ্ধান্তের প্রভাব যাতে মূল্যস্ফীতিতে না পড়ে তারই পদক্ষেপ হিসেবে একই পরিমাণ অর্থ বাজার থেকে তুলে নেয়ারও ঘোষণা দেন গভর্নর।
তবে ঘোষণার অল্প সময়ে ব্যাংকগুলোকে প্রায় পুরো অর্থ দিয়ে দেয়া হলেও সমানতালে এগোয়নি তুলে নেয়ার প্রক্রিয়া। তথ্য বলছে, এই পর্যন্ত ১২টি নিলামের মাধ্যমে বাজার থেকে তোলা হয়েছে ৩ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। বর্তমানে যার স্থিতি ২ হাজার ৮০৫ কোটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি, বাজারে এই মূহূর্তে নগদ টাকার সরবরাহ কম। তাই কাঙ্ক্ষিত হারে উত্তোলন করতে না পারলেও বাড়বে না মূল্যস্ফীতি।
নতুন টাকা পাওয়ার পর বেশ খানিকটা উন্নতি হয়েছে দুর্বল ব্যাংকগুলোর। গ্রাহকরাও আগের চেয়ে বেশি অর্থ তুলতে পারছেন। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন টাকার যোগানে বাজারে বেড়েছে সরবরাহ। ফলে ঘোষণা অনুযায়ী তা তুলে না নিলে প্রভাব পড়তে পারে মূল্যস্ফীতিতে।
বর্তমানে ৯০ দিন মেয়াদি বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের বিপরীতে বর্তমানে সুদহার ১১ শতাংশের নিচে। বিপরীতে কিছু কিছু ব্যাংকে তা পাওয়া যাচ্ছে ১২’র কাছাকাছি।