ঢাকা , সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Logo সিগারেটে মূল্যস্তর তিনটি হলে রাজস্ব বাড়বে, ব্যবহার কমবে Logo আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন Logo ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে ভুয়া মেজর ধরা Logo এত কিছুর পরেও আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও পরিবর্তনের কোন লক্ষণ নাই: এবি পার্টি Logo তুরস্কে বিক্ষোভের সংবাদ প্রচারের সময় ৯ সাংবাদিককে গ্রেফতার Logo ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো ভেড়ার দেহে বার্ড ফ্লু ভাইরাস শনাক্ত Logo গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে : ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি প্রধান Logo সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি Logo ঈদের পরপরই ঢাকায় চালু হবে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টার Logo ২৬ মার্চ তোপধ্বনিতে স্বাধীনতা দিবসের সূচনা, থাকছে যেসব কর্মসূচি
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত

ইসিজি স্বাভাবিক থাকলেও হতে পারে হৃদরোগ

ইসিজি (ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম) হৃদরোগ নির্ণয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। আমাদের মনে হয় যে ইসিজি স্বাভাবিক মানে হৃদরোগ নেই, তবে এটি সব সময় সঠিক নয়। ইসিজি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকতে পারে।

হার্টের একটি ইলেকট্রিক সার্কিট থাকে, যা তার নির্দিষ্ট হার ও ছন্দে স্পন্দিত হয়। ইসিজি এই স্পন্দনের গ্রাফিক্যাল চিত্র ধারণ করে, যা থেকে হৃৎস্পন্দনের হার, ছন্দ, হার্টের চেম্বারের আকার, এবং ইলেকট্রিক সার্কিটে কোন ব্লক বা বাধা আছে কিনা বুঝতে সাহায্য করে।

হার্ট অ্যাটাকের সময়ে হৃৎপিণ্ডের সংকোচন দুর্বল হয়ে পড়ে, এবং প্রায় ৭০% হার্ট অ্যাটাক ইসিজি দেখেই শনাক্ত করা যায়। তবে, হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গগুলি, যেমন বুকের মাঝখানে হঠাৎ তীব্র ব্যথা বা ভার অনুভূতি, মুখ্য বিবেচ্য বিষয়। বয়স্ক ব্যক্তি বা দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যথার অনুভূতি কম হতে পারে, এবং তাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।

কিছু রোগ যেমন অ্যানজাইনা বা করোনারি হৃদরোগে পরিশ্রম করলে বুকের ব্যথা হয়, কিন্তু বিশ্রাম নিলে তা চলে যায়। এ ক্ষেত্রে ইসিজি স্বাভাবিকও থাকতে পারে। আবার, কিছু অ্যারিদমিয়া বা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের অসুখও ইসিজি তে স্বাভাবিক হতে পারে।

হার্টের ভালভের অসুখ, জন্মগত হৃদরোগ বা কার্ডিওমায়োপ্যাথির মতো কিছু রোগে ইসিজি তেমন পরিবর্তন দেখাতে পারে না। তাই শুধুমাত্র ইসিজির ওপর নির্ভর করে হৃদরোগের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে আরও নিরীক্ষণ যেমন ইকো পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে।

করণীয়: বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা বুক ধড়ফড়ের মতো উপসর্গে ইসিজি স্বাভাবিক থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ইসিজি স্বাভাবিক থাকলেও যদি হার্ট অ্যাটাকের সন্দেহ থাকে, তাহলে দীর্ঘসময় পর্যবেক্ষণ এবং পুনরায় ইসিজি করা প্রয়োজন। রক্তের ট্রপোনিন পরীক্ষা এবং অন্যান্য পরীক্ষা যেমন ইটিটি, হল্টার বা ইকো পরীক্ষার গুরুত্ব রয়েছে।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সিগারেটে মূল্যস্তর তিনটি হলে রাজস্ব বাড়বে, ব্যবহার কমবে

চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত

ইসিজি স্বাভাবিক থাকলেও হতে পারে হৃদরোগ

আপডেট সময় ০৪:০০:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ইসিজি (ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম) হৃদরোগ নির্ণয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। আমাদের মনে হয় যে ইসিজি স্বাভাবিক মানে হৃদরোগ নেই, তবে এটি সব সময় সঠিক নয়। ইসিজি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকতে পারে।

হার্টের একটি ইলেকট্রিক সার্কিট থাকে, যা তার নির্দিষ্ট হার ও ছন্দে স্পন্দিত হয়। ইসিজি এই স্পন্দনের গ্রাফিক্যাল চিত্র ধারণ করে, যা থেকে হৃৎস্পন্দনের হার, ছন্দ, হার্টের চেম্বারের আকার, এবং ইলেকট্রিক সার্কিটে কোন ব্লক বা বাধা আছে কিনা বুঝতে সাহায্য করে।

হার্ট অ্যাটাকের সময়ে হৃৎপিণ্ডের সংকোচন দুর্বল হয়ে পড়ে, এবং প্রায় ৭০% হার্ট অ্যাটাক ইসিজি দেখেই শনাক্ত করা যায়। তবে, হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গগুলি, যেমন বুকের মাঝখানে হঠাৎ তীব্র ব্যথা বা ভার অনুভূতি, মুখ্য বিবেচ্য বিষয়। বয়স্ক ব্যক্তি বা দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যথার অনুভূতি কম হতে পারে, এবং তাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।

কিছু রোগ যেমন অ্যানজাইনা বা করোনারি হৃদরোগে পরিশ্রম করলে বুকের ব্যথা হয়, কিন্তু বিশ্রাম নিলে তা চলে যায়। এ ক্ষেত্রে ইসিজি স্বাভাবিকও থাকতে পারে। আবার, কিছু অ্যারিদমিয়া বা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের অসুখও ইসিজি তে স্বাভাবিক হতে পারে।

হার্টের ভালভের অসুখ, জন্মগত হৃদরোগ বা কার্ডিওমায়োপ্যাথির মতো কিছু রোগে ইসিজি তেমন পরিবর্তন দেখাতে পারে না। তাই শুধুমাত্র ইসিজির ওপর নির্ভর করে হৃদরোগের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে আরও নিরীক্ষণ যেমন ইকো পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে।

করণীয়: বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা বুক ধড়ফড়ের মতো উপসর্গে ইসিজি স্বাভাবিক থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ইসিজি স্বাভাবিক থাকলেও যদি হার্ট অ্যাটাকের সন্দেহ থাকে, তাহলে দীর্ঘসময় পর্যবেক্ষণ এবং পুনরায় ইসিজি করা প্রয়োজন। রক্তের ট্রপোনিন পরীক্ষা এবং অন্যান্য পরীক্ষা যেমন ইটিটি, হল্টার বা ইকো পরীক্ষার গুরুত্ব রয়েছে।