ঢাকা , সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Logo এত কিছুর পরেও আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও পরিবর্তনের কোন লক্ষণ নাই: এবি পার্টি Logo তুরস্কে বিক্ষোভের সংবাদ প্রচারের সময় ৯ সাংবাদিককে গ্রেফতার Logo ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো ভেড়ার দেহে বার্ড ফ্লু ভাইরাস শনাক্ত Logo গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে : ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি প্রধান Logo সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি Logo ঈদের পরপরই ঢাকায় চালু হবে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টার Logo ২৬ মার্চ তোপধ্বনিতে স্বাধীনতা দিবসের সূচনা, থাকছে যেসব কর্মসূচি Logo সাকিব আল হাসানের সম্পদ ক্রোক করার আদেশ Logo গারদখানায় হাজতির সঙ্গে সংঘর্ষ, পুলিশ সদস্য আহত Logo হঠাৎ মাঠেই হার্ট অ্যাটাক তামিমের, হার্টে পরানো হলো রিং

কেরানীগজ্ঞে নারীকে শ্লীলতাহানি, থানায় অভিযোগ 

রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় চর কালিগঞ্জ বরইতলায় নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ  ।

গত ২ মার্চ আনুমানিক বিকেল চারটার সময় বৃষ্টি নামের এক নারীর সাথে তার দুলাভাইয়ের সহিত পারিবারিক বিষয় নিয়া কথাকাটাকাটি হয়। উক্ত কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করিয়া বিবাদীগণসহ  অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন আসিয়া‌ অতর্কিতভাবে এলোপাথারী মারপিটে নীলাফুলা জখম হয়। মাথার চুল ধরে টানা হেঁচড়া করে।  তারপর খাম্বার সাথে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে।

এবিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ঐ গৃহবধু বৃষ্টি । অভিযোগের বিবাদী- মোঃ দেলোয়ার (৪৫),  মাকসু(৪০), কাসেম মিয়ার স্ত্রী ও দেলোয়ার মিয়ার তিন মেয়ে। এই মারপিটে  আরও উঠে আসে সনি ও জসিমের নাম ।

গতকাল ৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে এ লোমহর্ষক ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ঘটনার বর্নণা দেন গৃহবধু বৃষ্টি বেগম।

ভুক্তভোগী বৃষ্টি বলে, দেলোয়ারের মেয়ের জামাই সনি মিয়া ও তার বন্ধু জসিম আমাকে মারপিট করে এবং  ধরে নিয়ে বিএনপির ক্লাবে নিয়ে যায় । সেখানে হাত বেধে মারপিট করে। পরে রহমান মিয়ার ডগে নিয়ে যায়। চোখ উঠানোর ভয় দেখিয়ে শরীরের জামাকাপড় ছিড়ে ফেলে। সনি সবাইকে সরে যেতে বলে, তারপর শ্লীতাহানি করে। এঘটনার সত্যতা পায় পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

বৃষ্টি আরও জানায়, তার বাসা থেকে দুইটি মোবাইল একটি অপ্পো অপরটি ভিভো মোবাইল সেট যাহার মূল্য চল্লিশ হাজার টাকা  নিয়ে যায়। দেলোয়ারের মেয়ে তার কানে থাকা স্বর্নের দুল ওজন অনুমান চার আনা মূল্য অনুমান ত্রিশ হাজার টাকা নিয়া যায়। বাদী বৃষ্টি ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা তাকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি নামে এক গৃহবধূ অভিযোগ করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করছে। বিষয় সত্যতা পাওয়া গেলে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

এত কিছুর পরেও আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও পরিবর্তনের কোন লক্ষণ নাই: এবি পার্টি

কেরানীগজ্ঞে নারীকে শ্লীলতাহানি, থানায় অভিযোগ 

আপডেট সময় ০৮:১১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় চর কালিগঞ্জ বরইতলায় নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ  ।

গত ২ মার্চ আনুমানিক বিকেল চারটার সময় বৃষ্টি নামের এক নারীর সাথে তার দুলাভাইয়ের সহিত পারিবারিক বিষয় নিয়া কথাকাটাকাটি হয়। উক্ত কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করিয়া বিবাদীগণসহ  অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন আসিয়া‌ অতর্কিতভাবে এলোপাথারী মারপিটে নীলাফুলা জখম হয়। মাথার চুল ধরে টানা হেঁচড়া করে।  তারপর খাম্বার সাথে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে।

এবিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ঐ গৃহবধু বৃষ্টি । অভিযোগের বিবাদী- মোঃ দেলোয়ার (৪৫),  মাকসু(৪০), কাসেম মিয়ার স্ত্রী ও দেলোয়ার মিয়ার তিন মেয়ে। এই মারপিটে  আরও উঠে আসে সনি ও জসিমের নাম ।

গতকাল ৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে এ লোমহর্ষক ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ঘটনার বর্নণা দেন গৃহবধু বৃষ্টি বেগম।

ভুক্তভোগী বৃষ্টি বলে, দেলোয়ারের মেয়ের জামাই সনি মিয়া ও তার বন্ধু জসিম আমাকে মারপিট করে এবং  ধরে নিয়ে বিএনপির ক্লাবে নিয়ে যায় । সেখানে হাত বেধে মারপিট করে। পরে রহমান মিয়ার ডগে নিয়ে যায়। চোখ উঠানোর ভয় দেখিয়ে শরীরের জামাকাপড় ছিড়ে ফেলে। সনি সবাইকে সরে যেতে বলে, তারপর শ্লীতাহানি করে। এঘটনার সত্যতা পায় পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

বৃষ্টি আরও জানায়, তার বাসা থেকে দুইটি মোবাইল একটি অপ্পো অপরটি ভিভো মোবাইল সেট যাহার মূল্য চল্লিশ হাজার টাকা  নিয়ে যায়। দেলোয়ারের মেয়ে তার কানে থাকা স্বর্নের দুল ওজন অনুমান চার আনা মূল্য অনুমান ত্রিশ হাজার টাকা নিয়া যায়। বাদী বৃষ্টি ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা তাকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি নামে এক গৃহবধূ অভিযোগ করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করছে। বিষয় সত্যতা পাওয়া গেলে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।