ঢাকা , সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Logo সিগারেটে মূল্যস্তর তিনটি হলে রাজস্ব বাড়বে, ব্যবহার কমবে Logo আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন Logo ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে ভুয়া মেজর ধরা Logo এত কিছুর পরেও আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও পরিবর্তনের কোন লক্ষণ নাই: এবি পার্টি Logo তুরস্কে বিক্ষোভের সংবাদ প্রচারের সময় ৯ সাংবাদিককে গ্রেফতার Logo ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো ভেড়ার দেহে বার্ড ফ্লু ভাইরাস শনাক্ত Logo গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে : ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি প্রধান Logo সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি Logo ঈদের পরপরই ঢাকায় চালু হবে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টার Logo ২৬ মার্চ তোপধ্বনিতে স্বাধীনতা দিবসের সূচনা, থাকছে যেসব কর্মসূচি
মেরামতে ব্যস্ত শ্রমিকরা

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ঈদযাত্রার ১২০ কোচ

আসছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অধিকসংখ্যক যাত্রী পরিবহনে দেশের উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মব্যস্ততা বেড়েছে। ঈদে ঘরমুখো যাত্রী পরিষেবায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে দুই জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

সেই সঙ্গে প্রতিটি আন্তনগর ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এসব জোগান দিতে ১২০টি ভারী কোচ মেরামত করা হচ্ছে কারখানাটিতে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মোস্তফা জাকির হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপের ইনচার্জ ও ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম জানান, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ওভার টাইমসহ শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই অবস্থায় ১০ জন শ্রমিকের কাজ দুইজন শ্রমিক করছেন। যাতে ঈদে ঘরমুখো মানুষ নাড়ির টানে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় আমরা যাত্রীসেবা স্বাভাবিক রাখতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১২০টি কোচ মেরামতে কাজ করছি। আগামী ২০-২৫ তারিখের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কোচগুলো হস্তান্তর করতে পারি। এর মধ্যে রয়েছে ৯০টি ব্রডগেজ (বড়) ও ৩০টি মিটারগেজ (ছোট) কোচ। ইতোমধ্যে ৬৮টি কোচ রেলওয়ে পরিবহন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আশা করি, বাকি ৫২টি কোচ আগামী ২০-২৫ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগে হস্তান্তর করা হবে।’

কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মোস্তফা জাকির হাসান বলেন, ‘কারখানায় জনবলসংকট থাকা সত্ত্বেও ঈদুল ফিতরের যাত্রীসেবা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এবার ঈদে রাজধানী থেকে পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারেন সেজন্য প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পদ্মা সেতু চালুর পর পশ্চিমাঞ্চল রেলপথ সম্প্রসারিত হয়েছে। ফলে প্রতিটি রুটে ট্রেনের সংখ্যাও বেড়েছে।’

এদিকে, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-পার্বতীপুর রুটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য দুই জোড়া ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় অতিরিক্ত ১২০টি কোচ মেরামতের পাশাপাশি আরও ৬০টি কোচ মেরামত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। ওভারটাইমসহ নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে এসব কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সিগারেটে মূল্যস্তর তিনটি হলে রাজস্ব বাড়বে, ব্যবহার কমবে

মেরামতে ব্যস্ত শ্রমিকরা

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ঈদযাত্রার ১২০ কোচ

আপডেট সময় ০৬:৫৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

আসছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অধিকসংখ্যক যাত্রী পরিবহনে দেশের উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মব্যস্ততা বেড়েছে। ঈদে ঘরমুখো যাত্রী পরিষেবায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে দুই জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

সেই সঙ্গে প্রতিটি আন্তনগর ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এসব জোগান দিতে ১২০টি ভারী কোচ মেরামত করা হচ্ছে কারখানাটিতে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মোস্তফা জাকির হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপের ইনচার্জ ও ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম জানান, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ওভার টাইমসহ শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই অবস্থায় ১০ জন শ্রমিকের কাজ দুইজন শ্রমিক করছেন। যাতে ঈদে ঘরমুখো মানুষ নাড়ির টানে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় আমরা যাত্রীসেবা স্বাভাবিক রাখতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১২০টি কোচ মেরামতে কাজ করছি। আগামী ২০-২৫ তারিখের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কোচগুলো হস্তান্তর করতে পারি। এর মধ্যে রয়েছে ৯০টি ব্রডগেজ (বড়) ও ৩০টি মিটারগেজ (ছোট) কোচ। ইতোমধ্যে ৬৮টি কোচ রেলওয়ে পরিবহন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আশা করি, বাকি ৫২টি কোচ আগামী ২০-২৫ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগে হস্তান্তর করা হবে।’

কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মোস্তফা জাকির হাসান বলেন, ‘কারখানায় জনবলসংকট থাকা সত্ত্বেও ঈদুল ফিতরের যাত্রীসেবা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এবার ঈদে রাজধানী থেকে পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারেন সেজন্য প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পদ্মা সেতু চালুর পর পশ্চিমাঞ্চল রেলপথ সম্প্রসারিত হয়েছে। ফলে প্রতিটি রুটে ট্রেনের সংখ্যাও বেড়েছে।’

এদিকে, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-পার্বতীপুর রুটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য দুই জোড়া ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় অতিরিক্ত ১২০টি কোচ মেরামতের পাশাপাশি আরও ৬০টি কোচ মেরামত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। ওভারটাইমসহ নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে এসব কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।