লেবানন থেকে ছোড়া একাধিক রকেট হামলার পর পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলা পাল্টা হামলা তেল আবিব ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে কয়েক মাস আগে হওয়া যুদ্ধবিরতিকে ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর অস্ত্র থাকবে না এবং ওই এলাকায় লেবাননের সরকারি বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
চুক্তিতে দক্ষিণ লেবাননের সব সামরিক স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া এবং সব অবৈধ অস্ত্র জব্দের ভারও লেবাননের সরকারের হাতে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে একাধিক রকেট ছোড়া হয়, যা ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। রকেট হামলার পর ইসরায়েল পাল্টা গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলা চালায়, যার ফলে লেবাননের দুই শহর এবং তেল আবিবের বিমান সীমান্ত সংলগ্ন তিনটি শহর আক্রান্ত হয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজা ঘিরে যে যুদ্ধ শুরু হয়, তার ধারাবাহিকতায় পরে হিজবুল্লাহও তেল আবিবের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। পরে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর একাধিক শীর্ষ নেতা, অস্ত্রভাণ্ডারের বড় অংশ ও অসংখ্য যোদ্ধাকে হত্যা করার পর ইরানঘনিষ্ঠ সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ঝিমিয়ে পড়ে।
হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, তারা সীমান্তের ৬ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত লেবাননের একটি জেলা থেকে ছোড়া তিনটি রকেট প্রতিহত করেছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় সেনাবাহিনী গোলা ছুড়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনা রেডিও।
ইসরায়েলি গোলা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের দুটি শহরে আঘাত হেনেছে, তেল আবিবের বিমান সীমান্ত সংলগ্ন আরও তিনটি শহরে হামলা চালিয়েছে, বলেছে লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা।
সীমান্তের ওপার থেকে রকেট ছোড়ার জন্য কারা দায়ী, তা বলেনি ইসরায়েল।
রয়টার্স এ প্রসঙ্গে হিজবুল্লাহর মন্তব্য চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে গোষ্ঠীটির কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।
শনিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, সীমান্ত শহর মেটুলাতে রকেট ছোড়ার ঘটনার দায়ভার লেবাননের সরকারের ওপর বর্তায়।