ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হঠাৎ মাঠেই হার্ট অ্যাটাক তামিমের, হার্টে পরানো হলো রিং

সাভারের বিকেএসপিতে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তারকা তামিম ইকবাল। দেশের সাবেক এই অধিনায়কের শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় ধারণা করা হয় হার্ট অ্যাটাকের। পরে সেই শঙ্কাই সত্যি হয়।

গতকাল সোমবার সাভারের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে তামিমের হার্টে একটি রিং পরানো হয়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা গণমাধ্যমকে জানান, দেশের সাবেক এই অধিনায়কের অবস্থা অনুকূলে আছে, তবে গুরুতর সমস্যা হওয়ায় তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

কেপিজি হাসপাতালের মিডিয়া পরিচালক ড. রাজীব হাসান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা সবাই জানি তামিম ইকবাল ভাই আজ সকাল বেলা অসুস্থ হয়েছিলেন। ৯টা-সাড়ে ৯টার দিকে বিকেএসপিতে অসুস্থ হন। এখানে নিয়ে আসার পর চিকিৎসা শুরু হয়। পরবর্তীতে আমরা চিন্তা করি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া যাবে কি না। কিন্তু উনার অবস্থা গুরুতর হয়ে যায়, এই গুরুতর অবস্থায় আবার আমাদের কাছে আসেন। গুরুতর অবস্থা থেকে যত রকম চিকিৎসা দরকার সবই করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে উনার অবস্থা অনুকূলে আছে।’

তিনি যোগ করেন, ‘উনার একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, এটার জন্য এনজিওগ্রাম করে এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্ট করা হয়েছে। স্টেন্টিং খুব স্মুথ ও কার্যকরভাবে হয়েছে। এটা করেছেন ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ। উনার ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে এখন। এখনো উনি পর্যবেক্ষণে আছে, গুরুতর অবস্থা এখনো কাটেনি। এটা একটু সময় লাগবে। সবাই উনার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছি।’

এর আগে সকালে সাভারের বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে যান মোহামেডানের তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসও করেন তিনি। এরপরই বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন তামিম। স্থানীয় ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থবোধ করায় মাঠে ফিরে আবার অসুস্থ হন। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় চিকিৎসকরা দ্রুত কেপিজে হাসপাতালেই চিকিৎসা করাতে পরামর্শ দেন।

এদিন দুপুর ১২টায় মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেশ কিছু জরুরি বিষয় নিয়ে সভায় বসার কথা ছিলো বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের। কিন্তু তামিমের গুরুতর অসুস্থতার খবর পেয়ে তা স্থগিত করা হয়। সভা স্থগিত হলেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের তিনটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয়।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

হঠাৎ মাঠেই হার্ট অ্যাটাক তামিমের, হার্টে পরানো হলো রিং

আপডেট সময় ০৪:১১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

সাভারের বিকেএসপিতে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তারকা তামিম ইকবাল। দেশের সাবেক এই অধিনায়কের শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় ধারণা করা হয় হার্ট অ্যাটাকের। পরে সেই শঙ্কাই সত্যি হয়।

গতকাল সোমবার সাভারের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে তামিমের হার্টে একটি রিং পরানো হয়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা গণমাধ্যমকে জানান, দেশের সাবেক এই অধিনায়কের অবস্থা অনুকূলে আছে, তবে গুরুতর সমস্যা হওয়ায় তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

কেপিজি হাসপাতালের মিডিয়া পরিচালক ড. রাজীব হাসান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা সবাই জানি তামিম ইকবাল ভাই আজ সকাল বেলা অসুস্থ হয়েছিলেন। ৯টা-সাড়ে ৯টার দিকে বিকেএসপিতে অসুস্থ হন। এখানে নিয়ে আসার পর চিকিৎসা শুরু হয়। পরবর্তীতে আমরা চিন্তা করি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া যাবে কি না। কিন্তু উনার অবস্থা গুরুতর হয়ে যায়, এই গুরুতর অবস্থায় আবার আমাদের কাছে আসেন। গুরুতর অবস্থা থেকে যত রকম চিকিৎসা দরকার সবই করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে উনার অবস্থা অনুকূলে আছে।’

তিনি যোগ করেন, ‘উনার একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, এটার জন্য এনজিওগ্রাম করে এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্ট করা হয়েছে। স্টেন্টিং খুব স্মুথ ও কার্যকরভাবে হয়েছে। এটা করেছেন ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ। উনার ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে এখন। এখনো উনি পর্যবেক্ষণে আছে, গুরুতর অবস্থা এখনো কাটেনি। এটা একটু সময় লাগবে। সবাই উনার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছি।’

এর আগে সকালে সাভারের বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে যান মোহামেডানের তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসও করেন তিনি। এরপরই বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন তামিম। স্থানীয় ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থবোধ করায় মাঠে ফিরে আবার অসুস্থ হন। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় চিকিৎসকরা দ্রুত কেপিজে হাসপাতালেই চিকিৎসা করাতে পরামর্শ দেন।

এদিন দুপুর ১২টায় মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেশ কিছু জরুরি বিষয় নিয়ে সভায় বসার কথা ছিলো বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের। কিন্তু তামিমের গুরুতর অসুস্থতার খবর পেয়ে তা স্থগিত করা হয়। সভা স্থগিত হলেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের তিনটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয়।