ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেফতারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শহরে রাতভর চলা বিক্ষোভের সংবাদ প্রচারের সময় ৯ সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার (২৪ মার্চ) তুরস্কের সাংবাদিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, ঠিক কী কারণে সাংবাদিকদের আটক করা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সাংবাদিক ইউনিয়ন আরও জানিয়েছে, গ্রেফতার সাংবাদিকদের মধ্যে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি’র একজন ফটোগ্রাফারও রয়েছেন।
রবিবার প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে বিচার চলাকালীন কারাগারে রাখার আদেশ দেয় এক তুর্কি আদালত। এই ঘটনার পর তুরস্কজুড়ে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে।
অনেক শহরে রাস্তার জমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও, রবিবার টানা পঞ্চম রাতেও বেশিরভাগ স্থানে শান্তিপূর্ণ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে কমপক্ষে ৫৫টিতে বিক্ষোভ হয়েছে, যা পুরো দেশের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি।
তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র পার্টি (সিএইচপি) আদালতের এই রায়কে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অগণতান্ত্রিক’ বলে আখ্যায়িত করেছে এবং জনগণকে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তুরস্ক সরকার অবশ্য দাবি করেছে যে, এই তদন্ত রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় এবং আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন।
ইমামোগলুকে ‘অপরাধী সংগঠন গঠন ও পরিচালনা, ঘুষ গ্রহণ, চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ ও টেন্ডার জালিয়াতি’র অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
ইমামোগলু তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ‘কল্পনাতীত মিথ্যা ও অপবাদ’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন।
ইস্তাম্বুলের সারাচানে জেলার পৌরসভা ভবনের সামনে সিএইচপি নেতা ওজগুর ওজেল বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা ইমামোগলুর মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।’