চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মোহাম্মদ জাবেদ (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
আজ বুধবার (২৬ মার্চ) উপজেলার বারৈয়াহাট পৌরসভার শান্তিরহাট রাস্তার মাথায় এ সংঘর্ষ হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত জাবেদ চট্টগ্রাম শহরের বায়েজিদ থানা এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি সাব্বির মো. সেলিম বলেন, গণমাধ্যমকে জানান, মিরসরাই উপজেলা, বারৈয়াহাট ও মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন হয়। এ গঠিত কমিটি নিয়ে দু’দিন ধরে এলাকার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে দুপুরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুটি পক্ষ। হতাহতরা সবাই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে।
ওসি সেলিম বলেন, নিহত ওই যুবক থাকত শহরে। কেন সে এখানে এসেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এড়াতে স্বাধীনতা দিবসের দিন সকাল ৬টা থেকে মিরসরাই শহীদ মিনারে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে জানিয়ে স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার (২৪ মার্চ) মিরসরাই উপজেলা, বারৈয়াহাট ও মিরসরাই পৌরসভার তিন ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে পদধারী ও পদবঞ্চিতদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার একটি পক্ষ মহাসড়ক অবরোধ করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, সকালে বারৈয়াহাট পৌর বিএনপির আহ্ববায়ক মাঈনুদ্দিন লিটনের বাড়িতে জড়ো হয় তার অনুসারীরা। পরে সেখানে মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে।