আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া। দীর্ঘ ১২ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ডেসটিনি পরিবারে ঈদের আনন্দের দ্যুতি ছড়ালেন আমাদের প্রাণপ্রিয় দুই মহানায়ক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন ও এমডি মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। তারা আজ সশরীরে আমাদের মাঝে উপস্থিত।
একযুগ পর তাঁদের সাথে প্রত্যাশিত ঈদ উদযাপন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। আজকের এই বিশেষ দিনটিতে ৪৫ লাখ মানুষ পরম সুখ অনুভব করছে।
রুটি-রুজির প্রতিষ্ঠান ডেসটিনির পাশাপাশি এমডি স্যারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চেয়ারম্যান ও এমডি স্যারের মুক্তির জন্য রাজপথে সংগ্রাম করেছেন হাজার হাজার নিবেদিতপ্রাণ। দীর্ঘ সংগ্রাম ও আন্দোলনের মাধ্যমে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য আমরা ১২টি বছর রাজপথে সংগ্রাম করেছি। কিন্তু দলকানা রাষ্ট্রযন্ত্র বিভিন্ন অজুহাতে শুধু কালক্ষেপণ করে বিলম্বিত করেছে মুক্তির সনদ দিতে।
আমরা তো কখনো জ্বালাও-পোড়াও করিনি! শান্তিপ্রিয়ভাবে আমরা একযোগে ৬৪টি জেলায় মানববন্ধন করেছি, প্রেস কনফারেন্স করেছি, রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক দপ্তরে এবং এমপি, মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছি, সারা দেশে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাঁটিয়েছি, লিপলেট বিতরণ করেছি এবং মসজিদে মসজিদে , ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া-প্রার্থনার আয়োজন করেছি। এই কাজটিই আমরা করেছি কায়মনোবাক্যে।
এই আন্দোলনের সাফল্য হিসেবে আমরা চেয়ারম্যান ও এমডি স্যারকে মুক্ত করতে পেরেছি। এটা আমাদের জন্য বিশাল অর্জন। বিশাল সফলতা।
এই বিজয়ে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি আমাদের সেই সহকর্মীদের, যারা দীর্ঘ আন্দোলনে রোগে-শোকে প্রাণ হারিয়েছেন। আজ আমরা এমডি-চেয়ারম্যান স্যারকে আমাদের মাঝে ফেরত পেয়েছি, কিন্তু ত্যাগী সহযোদ্ধাদের হারিয়েছি জীবনের তরে। আজকের এই আনন্দঘন দিনে তাদের খুব মিস করছি এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পাশাপাশি মহান আল্লাহর কুদরতি দরবারে প্রার্থনা করছি, ‘হে আল্লাহ, যাদের জন্য আমাদের এ আন্দোলন, আমাদের এই প্রতীক্ষা, আমাদের সেই দুই কর্ণধার চেয়ারম্যান ও এমডি স্যারকে নেক হায়াত দান করুন, তাঁদের সুস্থ রাখুন’।
আমরা ডেসটিনি পরিবারের প্রতিটি ব্যক্তি এক ও অভিন্ন। আমরা ১২ বছর ধরে যেভাবে ধৈর্যের সঙ্গে এই ঐক্যকে ধরে রেখেছিলাম, সেভাবে যেন ভবিষ্যতেও ধরে রাখতে পারি, এটাই প্রত্যাশা। তাই সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান, আসুন, ডেসটিনি পুনর্গঠনে সকল ভেদাভেদ ভুলে এই ঐক্যকে আরো মজবুত করি, চেয়ারম্যান ও এমডি স্যারের হাতকে শক্তিশালী করি। এটাই যেন হয় আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়।
আমরা দেশকে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যম হানাদারমুক্ত করেছি, চব্বিশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছি, এখন এমডি মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে ডেসটিনির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন ও বেকারমুক্ত করে জাতিকে জানান দিতে চাই, আমরা সঠিক পথে ছিলাম, সঠিক পথে আছি এবং ভবিষ্যতও সঠিক পথে থাকব, এই দেশকে বেকারমুক্ত করেই ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। ‘টুগেদার উই বিল্ড আওয়ার ড্রিম’
লেখক: সভাপতি, ডিএসএমএফ-ব্লু