ঈদের ছুটিকে উপভোগ করতে স্বজনদের নিয়ে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানগুলোতে মানুষের সমাগম চোখে পড়ার মতো। সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ঈদের তৃতীয় দিনেও লোকে লোকারণ্য।
সোনারগাঁয়ের বাংলাদেশ লোক কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, পানাম নগরী ও বাংলার তাজমহলসহ, কাইকাটেক সেতু,বারদীর ছটাকিয়াখাট, ভাটিবন্দর বালুর মাঠ, বৈদ্যের বাজার লঞ্চঘাট, মায়াদ্বীপসহ আশপাশের পর্যটন স্পটগুলোতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
সরেজমিনে সোনারগাঁয়ের পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও পরিবার পরিজন সাথে ঈদের ছুটিতে ভ্রমণপ্রেমীরা ভিড় জমিয়েছেন দর্শনীয় স্থানগুলোতে। তবে পর্যটন স্পটগুলোর সামনের রাস্তায় অতিরিক্ত গাড়ি চলাচলের কারণে যানজট লক্ষ্য করা যায় ৷
সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ থেকে আসা মো.আরিফ নামের একজন বলেন,প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ের ইতিহাসের কথা বইতে পরেছি এবং আমি সোনারগঁয়ের অনেক ইতিহাস জানি। আজকে আমি বন্ধুদের নিয়ে ঐতিহাসিক পানাম নগরী দেখতে আসেছি। সোনারগাঁয়ের যতগুলো পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে পানাম নগরী আমার কাছে সবচেয়ে পছন্দের। আমি আগেও বেশ কয়েকবার এখানে এসেছি। ঈদের মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে এমন সুন্দর জায়গাগুলোতে ঘুরতে ভালোই লাগে।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা সাইফুল ইসলাম জানা, আমার পরিবার নিয়ে আমি সবসময় সোনারগাঁ জাদুঘর ঘুরতে আসি৷ এখানে আসলে আমার ছোট ছোট বাচ্চা মেয়েরা অনেক ইতিহাস জানতে পারে এবং হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা পায় ৷ আমি মনে করি পরিবার নিয়ে ইতিহাস-ঐতিহ্যকে খুব কাছ থেকে দেখতে ঘুরে আসুন সোনারগাঁ জাদুঘর আসা উচিত।এবং ছুটির দিনে ঘোরার জন্য উপযুক্ত স্থান এই জাদুঘর।
এদিকে সোনারগাঁয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা যাতে নিরাপত্তার সঙ্গে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ করতে পারে সেজন্য সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করেছে সোনারগাঁ প্রশাসন। পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা ও নিয়মিত নিরাপত্তার জন্য কাজ করছেন।