ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
উদীয়মান শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে

বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ৪৭তম

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের তালিকায় ৪৭তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইউএস নিউজ সম্প্রতি ৮৯টি দেশের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত এ তালিকায় বাংলাদেশ পেয়েছে এই স্থান, যা ইউরোপীয় দেশ আয়ারল্যান্ডকেও পিছনে ফেলেছে।

তালিকার শীর্ষে রয়েছে যথারীতি যুক্তরাষ্ট্র। এরপর রয়েছে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি। দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, জাপান, সৌদি আরব ও ইসরায়েল রয়েছে শীর্ষ দশে।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ১২তম। তবে পাকিস্তান, ভুটান, মালদ্বীপ কিংবা উত্তর কোরিয়ার নাম এই তালিকায় নেই। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন রয়েছে ১৪তম স্থানে।

বিশ্বজুড়ে একটি দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভাব, রপ্তানি ক্ষমতা, আন্তর্জাতিক মিত্রতা, পররাষ্ট্রনীতি, সামরিক বাজেট ও বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে এই র‌্যাংকিং তৈরি করেছে ইউএস নিউজ।

এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ব্যবসার জন্য উন্মুক্ততা (Open for Business) বিভাগে বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো করেছে—এই বিভাগে দেশের অবস্থান ২৯তম এবং স্কোর ৬৩.৮। এটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং ব্যবসায়িক সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

তবে চাঞ্চল্যতা (Agility) ও অ্যাডভেঞ্চার বিভাগে বাংলাদেশের অবস্থান যথাক্রমে ৮৬তম, যা দেশের অভিযোজন ক্ষমতা ও পর্যটন আকর্ষণে দুর্বলতা প্রকাশ করে। সামাজিক উদ্দেশ্য (Social Purpose) বিভাগেও দেশ পিছিয়ে, অবস্থান ৮৪তম।

ক্ষমতা (Power) বিভাগে ৪৭তম এবং পরিবর্তনের সম্ভাবনা (Movers) বিভাগে ৫৫তম অবস্থানে থাকায়, দেশটি একটি উদীয়মান শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

উদ্যোক্তা (Entrepreneurship) ও জীবনের মান (Quality of Life) বিভাগে অবস্থান যথাক্রমে ৬৬তম ও ৬৪তম। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য (Cultural Influence ও Heritage) বিভাগেও বাংলাদেশের অবস্থান মাঝামাঝি পর্যায়ে—৭২তম ও ৭৪তম।

জনপ্রিয় সংবাদ

উদীয়মান শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে

বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ৪৭তম

আপডেট সময় ০৮:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের তালিকায় ৪৭তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইউএস নিউজ সম্প্রতি ৮৯টি দেশের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত এ তালিকায় বাংলাদেশ পেয়েছে এই স্থান, যা ইউরোপীয় দেশ আয়ারল্যান্ডকেও পিছনে ফেলেছে।

তালিকার শীর্ষে রয়েছে যথারীতি যুক্তরাষ্ট্র। এরপর রয়েছে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি। দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, জাপান, সৌদি আরব ও ইসরায়েল রয়েছে শীর্ষ দশে।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ১২তম। তবে পাকিস্তান, ভুটান, মালদ্বীপ কিংবা উত্তর কোরিয়ার নাম এই তালিকায় নেই। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন রয়েছে ১৪তম স্থানে।

বিশ্বজুড়ে একটি দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভাব, রপ্তানি ক্ষমতা, আন্তর্জাতিক মিত্রতা, পররাষ্ট্রনীতি, সামরিক বাজেট ও বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে এই র‌্যাংকিং তৈরি করেছে ইউএস নিউজ।

এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ব্যবসার জন্য উন্মুক্ততা (Open for Business) বিভাগে বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো করেছে—এই বিভাগে দেশের অবস্থান ২৯তম এবং স্কোর ৬৩.৮। এটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং ব্যবসায়িক সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

তবে চাঞ্চল্যতা (Agility) ও অ্যাডভেঞ্চার বিভাগে বাংলাদেশের অবস্থান যথাক্রমে ৮৬তম, যা দেশের অভিযোজন ক্ষমতা ও পর্যটন আকর্ষণে দুর্বলতা প্রকাশ করে। সামাজিক উদ্দেশ্য (Social Purpose) বিভাগেও দেশ পিছিয়ে, অবস্থান ৮৪তম।

ক্ষমতা (Power) বিভাগে ৪৭তম এবং পরিবর্তনের সম্ভাবনা (Movers) বিভাগে ৫৫তম অবস্থানে থাকায়, দেশটি একটি উদীয়মান শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

উদ্যোক্তা (Entrepreneurship) ও জীবনের মান (Quality of Life) বিভাগে অবস্থান যথাক্রমে ৬৬তম ও ৬৪তম। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য (Cultural Influence ও Heritage) বিভাগেও বাংলাদেশের অবস্থান মাঝামাঝি পর্যায়ে—৭২তম ও ৭৪তম।