ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুন্সীগঞ্জে পিস্তল-ম্যাগাজিনসহ শিক্ষক গ্রেপ্তার, পরিবারের দাবী ফাঁসানো হয়েছে

আটক শিক্ষক মো. মঈনউদ্দিন মোহন। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব মাকহাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিদেশী পিস্তল ও ম্যাগাজিনসহ এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। তার নাম মো. মঈনউদ্দিন মোহন (৩৯)।

গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত ৭ টার দিকে সদরের পূর্ব মাকহাটি গ্রামের মাকহাটি জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তারকৃত মঈনউদ্দিন মোহন একই উপজেলার মহাকালী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিষয়ক সহকারি শিক্ষক ও মাকহাটি গ্রামের মো.মোবারক আলীর ছেলে।

এদিকে, কয়েকজন বন্ধু নিজেদের পিস্তল ও ম্যাগাজিন দিয়ে স্কুল শিক্ষককে র‌্যাবের হাতে ফাঁসিয়ে দিয়েছে বলে দাবী করেছে পরিবার। স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী নাজমা আক্তার দাবী করেন, পলাশ ও রাহাত নামে ২ বন্ধু ডেকে নিয়ে পিস্তল ও ম্যাগাজিনভর্তি একটি ব্যাগ হাতে ধরিয়ে দিয়ে তার শিক্ষক স্বামীকে র‌্যাবের কাছে ধরিয়ে দিয়েছে। ওই পিস্তল-ম্যাগাজিন তার স্বামীর নয়।

স্ত্রী নাজমা জানান, জেলার লৌহজং উপজেলার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে পলাশ ও রাহাতের সঙ্গে তার স্বামীর পরিচয় হয়। সেই থেকে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। তিনি অভিযোগ করেন র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ার পর মোবাইল ফোন কল করে মিথুন নামে অপর আরেক বন্ধু ছাড়িয়ে নিতে ২ লাখ টাকা দাবী করেছিল। টাকা না দেওয়ার কারনেই পরবর্তীতে তার স্বামীকে র‌্যাব ধরে নিয়ে যায়।

র‌্যাব-১০ এর মিডিয়া সেলের সহকারী পরিচালক শামীম হাসান সরদার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের ঢাকার লালবাগ র‌্যাব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল অভিযান চালায়। এ সময় ১ টি বিদেশী পিস্তল ও ২ টি ম্যাগাজিনসহ মঈনউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে র‌্যাব-১০ এর জেলার শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ক্যাম্পে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় সদর থানায় অস্ত্র আইনে গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

পরিবারের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, নির্ভুল নিখুঁত ভাবে একজন দায়িত্বশীল অফিসারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়েছে। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া রাতেই অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারকৃতকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। যাতে কোনো কথা না থাকে।

তিনি আরো বলেন, তারপরও এ ঘটনায় কোনো অনিয়ম থাকলে থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে পিস্তল-ম্যাগাজিনসহ শিক্ষক গ্রেপ্তার, পরিবারের দাবী ফাঁসানো হয়েছে

আপডেট সময় ১২:১৭:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব মাকহাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিদেশী পিস্তল ও ম্যাগাজিনসহ এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। তার নাম মো. মঈনউদ্দিন মোহন (৩৯)।

গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত ৭ টার দিকে সদরের পূর্ব মাকহাটি গ্রামের মাকহাটি জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তারকৃত মঈনউদ্দিন মোহন একই উপজেলার মহাকালী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিষয়ক সহকারি শিক্ষক ও মাকহাটি গ্রামের মো.মোবারক আলীর ছেলে।

এদিকে, কয়েকজন বন্ধু নিজেদের পিস্তল ও ম্যাগাজিন দিয়ে স্কুল শিক্ষককে র‌্যাবের হাতে ফাঁসিয়ে দিয়েছে বলে দাবী করেছে পরিবার। স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী নাজমা আক্তার দাবী করেন, পলাশ ও রাহাত নামে ২ বন্ধু ডেকে নিয়ে পিস্তল ও ম্যাগাজিনভর্তি একটি ব্যাগ হাতে ধরিয়ে দিয়ে তার শিক্ষক স্বামীকে র‌্যাবের কাছে ধরিয়ে দিয়েছে। ওই পিস্তল-ম্যাগাজিন তার স্বামীর নয়।

স্ত্রী নাজমা জানান, জেলার লৌহজং উপজেলার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে পলাশ ও রাহাতের সঙ্গে তার স্বামীর পরিচয় হয়। সেই থেকে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। তিনি অভিযোগ করেন র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ার পর মোবাইল ফোন কল করে মিথুন নামে অপর আরেক বন্ধু ছাড়িয়ে নিতে ২ লাখ টাকা দাবী করেছিল। টাকা না দেওয়ার কারনেই পরবর্তীতে তার স্বামীকে র‌্যাব ধরে নিয়ে যায়।

র‌্যাব-১০ এর মিডিয়া সেলের সহকারী পরিচালক শামীম হাসান সরদার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের ঢাকার লালবাগ র‌্যাব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল অভিযান চালায়। এ সময় ১ টি বিদেশী পিস্তল ও ২ টি ম্যাগাজিনসহ মঈনউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে র‌্যাব-১০ এর জেলার শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ক্যাম্পে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় সদর থানায় অস্ত্র আইনে গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

পরিবারের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, নির্ভুল নিখুঁত ভাবে একজন দায়িত্বশীল অফিসারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়েছে। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া রাতেই অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারকৃতকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। যাতে কোনো কথা না থাকে।

তিনি আরো বলেন, তারপরও এ ঘটনায় কোনো অনিয়ম থাকলে থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।