ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁ পত্নীতলা বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর পদত্যাগের হুমকি

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক আক্কাস আলীকে তার পদ থেকে অপসারণ না করা হলে হাজার হাজার নেতাকর্মী পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। এই মর্মে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা। 

গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে দলটির প্রধান কার্যালয়ে মহসচিব বরাবর এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।

স্মারকে সাক্ষরকারীদের নাম উল্লেখ করে বলেন, আমার নিম্ন সাক্ষরগণ পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির আহ্বয়াক অমিটিয় সদস্যবৃন্দ। আমরা এই মর্মে আবেদন করছি যে, ০৬/১০/২০১৪ ইং তারিখে নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিবদের একক সাক্ষরে আক্কাস আলী আহ্বায়ক নিয়োগ পান যা নিয়ে কেন্দ্রে অভিযোগ আছে। তারপরও জেলা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিদের পরামর্শে তিনি দলীয় কার্যক্রম পরিচলনা করছেন। তিনি নিয়োগ পাওয়ার পর প্রতিটি কর্মকাণ্ড আহ্বায়ক কমিটির সাথে আলোচনা না করে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যার ফলে পত্মীতোলা উপজেলা বিএনপির সাংগাঠনিক কর্মকাণ্ড বেহাল অবস্থা।

স্মারকে বলেন, তিনি সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত নন। উপজেলা সদর থেকে তার বাড়ি অনেক দূরে। তড়িঘড়ি দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গেলে আমাদের প্রচণ্ড অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। ইউনিয়ন কমিটি গঠনে তিনি কাউন্সিল না করেই একক ব্যক্তির কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। এই নিয়ে আমাদের সাথে মত বিরোধ হলে পরে ৪টি কমিটি গঠন প্রক্রিয়া কার্যক্রম স্থগিত হয়। এই সব কর্মকাণ্ডের ফলে এলাকায় বিএলপি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ১১টি ইউনিয়ন কমিটির মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন কমিটি গঠন সম্পূর্ণ না করে গত ১৪/০৩/২০২৫ ইং তারিখে আহ্বায়ক কমিটির সাথে কোনো বৈঠক না করেই এককভাবে কাউন্সিলের তফসিল ঘোষণা একটি নীল নকশা ষড়যন্ত্রে অংশ।

আরও বলেন, আহ্বায়ক হিসেবে তিনি নিরপেক্ষ নয়। তিনি দলের দুঃসময়ের পরিক্ষীত, ত্যাগী, কারা নির্যাতিত, জননন্দিত সাবেক চেয়ারম্যানসহ দলের একটি বৃহৎ অংশকে বাদ দিয়ে কাউন্সিল করার চেষ্টা করেছেন, যা দলের জন্য ক্ষতিকর। ১৪/০৩/২০২৫ ইং তারিখে ত্যাগী ও পরিক্ষীত নেতাদেরকে দিয়ে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলে আমরা গণ পদত্যাগ করবো।

তরা স্মারকে আরও বলেন, বিধায়, অতএব জনাব অনুগ্রহ পূর্বক আক্কাস আলীকে আহ্বায়ক পদ থেকে অপসারণ করে একজন দক্ষ, নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে আহ্বায়ক নিয়োগ দিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড সঠিক ভাবে পরিচালনা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে এমন একজন ব্যক্তিকে অহ্বায়ক হিসাবে নিয়োগ দিয়ে দলকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনার যেন মর্জি হয়।

স্মারকে সাক্ষর করা পত্নীতোলা উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য বৃন্দরা হলেন, মো. হাবিবুর রহমান, মো. সাজেদুর রহমান দুলাল, মো. আব্দুল হামিদ, মো. খাজা নজিবুল্লাহ চৌধুরী, মো. আবু তাহের চৌধুরী, মো. আব্দুস সবুর, মো. আব্দুস সামাদ, মো.আতাউর রহমান, মো. আব্দুস ছাত্তার ও মো. মতিউর রহমান।

জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁ পত্নীতলা বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর পদত্যাগের হুমকি

আপডেট সময় ১২:২৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক আক্কাস আলীকে তার পদ থেকে অপসারণ না করা হলে হাজার হাজার নেতাকর্মী পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। এই মর্মে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা। 

গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে দলটির প্রধান কার্যালয়ে মহসচিব বরাবর এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।

স্মারকে সাক্ষরকারীদের নাম উল্লেখ করে বলেন, আমার নিম্ন সাক্ষরগণ পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির আহ্বয়াক অমিটিয় সদস্যবৃন্দ। আমরা এই মর্মে আবেদন করছি যে, ০৬/১০/২০১৪ ইং তারিখে নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিবদের একক সাক্ষরে আক্কাস আলী আহ্বায়ক নিয়োগ পান যা নিয়ে কেন্দ্রে অভিযোগ আছে। তারপরও জেলা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিদের পরামর্শে তিনি দলীয় কার্যক্রম পরিচলনা করছেন। তিনি নিয়োগ পাওয়ার পর প্রতিটি কর্মকাণ্ড আহ্বায়ক কমিটির সাথে আলোচনা না করে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যার ফলে পত্মীতোলা উপজেলা বিএনপির সাংগাঠনিক কর্মকাণ্ড বেহাল অবস্থা।

স্মারকে বলেন, তিনি সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত নন। উপজেলা সদর থেকে তার বাড়ি অনেক দূরে। তড়িঘড়ি দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গেলে আমাদের প্রচণ্ড অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। ইউনিয়ন কমিটি গঠনে তিনি কাউন্সিল না করেই একক ব্যক্তির কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। এই নিয়ে আমাদের সাথে মত বিরোধ হলে পরে ৪টি কমিটি গঠন প্রক্রিয়া কার্যক্রম স্থগিত হয়। এই সব কর্মকাণ্ডের ফলে এলাকায় বিএলপি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ১১টি ইউনিয়ন কমিটির মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন কমিটি গঠন সম্পূর্ণ না করে গত ১৪/০৩/২০২৫ ইং তারিখে আহ্বায়ক কমিটির সাথে কোনো বৈঠক না করেই এককভাবে কাউন্সিলের তফসিল ঘোষণা একটি নীল নকশা ষড়যন্ত্রে অংশ।

আরও বলেন, আহ্বায়ক হিসেবে তিনি নিরপেক্ষ নয়। তিনি দলের দুঃসময়ের পরিক্ষীত, ত্যাগী, কারা নির্যাতিত, জননন্দিত সাবেক চেয়ারম্যানসহ দলের একটি বৃহৎ অংশকে বাদ দিয়ে কাউন্সিল করার চেষ্টা করেছেন, যা দলের জন্য ক্ষতিকর। ১৪/০৩/২০২৫ ইং তারিখে ত্যাগী ও পরিক্ষীত নেতাদেরকে দিয়ে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলে আমরা গণ পদত্যাগ করবো।

তরা স্মারকে আরও বলেন, বিধায়, অতএব জনাব অনুগ্রহ পূর্বক আক্কাস আলীকে আহ্বায়ক পদ থেকে অপসারণ করে একজন দক্ষ, নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে আহ্বায়ক নিয়োগ দিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড সঠিক ভাবে পরিচালনা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে এমন একজন ব্যক্তিকে অহ্বায়ক হিসাবে নিয়োগ দিয়ে দলকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনার যেন মর্জি হয়।

স্মারকে সাক্ষর করা পত্নীতোলা উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য বৃন্দরা হলেন, মো. হাবিবুর রহমান, মো. সাজেদুর রহমান দুলাল, মো. আব্দুল হামিদ, মো. খাজা নজিবুল্লাহ চৌধুরী, মো. আবু তাহের চৌধুরী, মো. আব্দুস সবুর, মো. আব্দুস সামাদ, মো.আতাউর রহমান, মো. আব্দুস ছাত্তার ও মো. মতিউর রহমান।