ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদালতের অনুমতি পেলে বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দিতে প্রস্তুত: ড. রফিকুল আমীন

ডেসটিনি গ্রুপের এমডি ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীন বলেছেন, আদালতে জজ সাহেবকে বলেছি আপনি আমাকে কি রায় দেবেন আমি জানি না। দয়া করে আপনি একটি নির্দেশনা দেবেন যাতে আমি মানুষের টাকাগুলো ফেরত দিয়ে দিতে পারি। আমার ব্যাংক একাউন্ট খুলে দিয়ে আমার দায়িত্ব ফিরিয়ে দেবেন। আমার সম্পত্তিগুলো আমার কোম্পানির দখলে দেবেন। আমি হিসাব করে বলছি ফেব্রুয়ারি বাদ দিয়ে মার্চের মধ্যে মানুষের টাকা ফিরিয়ে দেব।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর কচিকাঁচা হল রুমে ডেসটিনি বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশক মিলনমেলা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রফিকুল আমীন বলেন, মানুষ এসব আলোচনা বাদ দিয়ে বলতে লাগল আমি মার্চ থেকে টাকা ফেরত দেব। আশ্চর্য! আমি কী বোঝালাম আর তারা কী বুঝল!

তিনি আরো বলেন, আজকে সামাজিক গণমাধ্যমে যে আলোচনা হচ্ছে সে বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে কিছু জবাবদিহিতামূলক আলোচনা করতে চাই। আমি পরিস্কারভাবে বলতে চাই সরকার যদি আমাকে দায়িত্ব দেয়, ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেয় এবং সম্পত্তিগুলো দেয়া হয় অবশ্যই আমি পরের মাস থেকে টাকা দেব। কিন্তু বিষয়টা কেউ আমলে নিচ্ছে না।

ডেসটিনির কর্ণধার আরো বলেন, আপনারা দেখেন বারবার একটা কথা আসতেছে যে, আপনি জেল থেকে বের হয়েছেন, আমরা টাকা ফেরত পাব কবে। বলছেন মার্চ মাসে টাকা দেবেন। এই যে কতগুলা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে এটাকে আমি সংশোধন করতে চাই।

তিনি বলেন, আগে চিহ্নিত করেন আপনারা কার কাছে টাকা পাবেন। আপনারা ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের মালিকের কাছে নয়, পাবেন ডেসটিনি ট্রি-প্লান্টেশন বর্তমান কোম্পানির কাছে। আর ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি কোম্পানির কাছে। নিয়ম হচ্ছে এটার যারা দায়িত্বে থাকবে এটা তাদের দায়। তারা শোধ করার ব্যাপারে আপনাদের সাথে আলাপ করবে। সেই দুই জায়গায় কোথাও আমাকে রাখা হয়নি ষড়যন্ত্র করে। আমাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। তাহলে টাকা তো আপনারা আমার কাছে পাবেন না। পাবেন প্রতিষ্ঠানের কাছে। কাজেই আপনার টাকা কীভাবে আনা যায় এ বিষয়ে আপনাকে আমি হেল্প করব। কারণ আমার একটা মোরাল দায় তো আছে। কেননা আমাকে দেখেই তো টাকাটা দিয়েছেন। তাই এই দায় আমার থাকবে। কিন্তু আমাকে কাজটা করতে দেয়া হচ্ছে না। বরং আমাকে হাত বেঁধে ছেড়ে দিয়ে বলা হচ্ছে ‘এবার সাঁতার কাটো’।

এ সময় নিজের প্রতিষ্ঠা করা রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টির কথা উল্লেখ করে রফিকুল আমীন বলেন, আপনারা জেনেছেন আমরা একটা রাজনৈতিক দল গঠন করেছি দেশের প্রয়োজনে। এটা কেন দরকার আপনাদের বুঝতে সময় লাগবে। মানুষের চিরাচরিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো, মানুষ কোনো পরিবর্তনকে সহজে গ্রহণ করতে চায় না। তবে সেটাকে ধীরে ধীরে গ্রহণ করে। এই পরিবর্তন আপনারাও সহজে গ্রহণ করবেন না- আমি জানি। ধাপে ধাপে আপনারা বুঝে ফেলবেন আসলে এটার প্রয়োজন ছিল।

‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সংগঠনের প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের সংগঠনের সাথে ১৫/২০ বছর ধরে আমি যুক্ত আছি। উনার সংগঠনকে কেন্দ্র করে রাস্তাঘাটে মানুষ যেন নিরাপদভাবে চলাচল করে সে জন্য আমি এই সেক্টরে কাজ করব রাজনীতির মঞ্চ থেকে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সুখদেব চন্দ্র দাস বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর অপ্রাপ্তি, আমি মনে করি আপনাদের প্রাপ্তি শুরু হতে যাচ্ছে এবার। আপনারা প্রত্যেকটি মানুষ এই প্রতিষ্ঠানের জন্য নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজনকে ত্যাগ করে ডেসটিনির জন্য সর্বোচ্চটুকু বিলিয়ে দিয়েছেন। তবে আমি বিশ্বাস করি এই প্রতিষ্ঠান টিকে রয়েছে জনাব রফিকুল আমীন স্যারের নেতৃত্বের কারণে।

জনপ্রিয় সংবাদ

আদালতের অনুমতি পেলে বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দিতে প্রস্তুত: ড. রফিকুল আমীন

আপডেট সময় ১০:৪৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

ডেসটিনি গ্রুপের এমডি ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীন বলেছেন, আদালতে জজ সাহেবকে বলেছি আপনি আমাকে কি রায় দেবেন আমি জানি না। দয়া করে আপনি একটি নির্দেশনা দেবেন যাতে আমি মানুষের টাকাগুলো ফেরত দিয়ে দিতে পারি। আমার ব্যাংক একাউন্ট খুলে দিয়ে আমার দায়িত্ব ফিরিয়ে দেবেন। আমার সম্পত্তিগুলো আমার কোম্পানির দখলে দেবেন। আমি হিসাব করে বলছি ফেব্রুয়ারি বাদ দিয়ে মার্চের মধ্যে মানুষের টাকা ফিরিয়ে দেব।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর কচিকাঁচা হল রুমে ডেসটিনি বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশক মিলনমেলা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রফিকুল আমীন বলেন, মানুষ এসব আলোচনা বাদ দিয়ে বলতে লাগল আমি মার্চ থেকে টাকা ফেরত দেব। আশ্চর্য! আমি কী বোঝালাম আর তারা কী বুঝল!

তিনি আরো বলেন, আজকে সামাজিক গণমাধ্যমে যে আলোচনা হচ্ছে সে বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে কিছু জবাবদিহিতামূলক আলোচনা করতে চাই। আমি পরিস্কারভাবে বলতে চাই সরকার যদি আমাকে দায়িত্ব দেয়, ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেয় এবং সম্পত্তিগুলো দেয়া হয় অবশ্যই আমি পরের মাস থেকে টাকা দেব। কিন্তু বিষয়টা কেউ আমলে নিচ্ছে না।

ডেসটিনির কর্ণধার আরো বলেন, আপনারা দেখেন বারবার একটা কথা আসতেছে যে, আপনি জেল থেকে বের হয়েছেন, আমরা টাকা ফেরত পাব কবে। বলছেন মার্চ মাসে টাকা দেবেন। এই যে কতগুলা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে এটাকে আমি সংশোধন করতে চাই।

তিনি বলেন, আগে চিহ্নিত করেন আপনারা কার কাছে টাকা পাবেন। আপনারা ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের মালিকের কাছে নয়, পাবেন ডেসটিনি ট্রি-প্লান্টেশন বর্তমান কোম্পানির কাছে। আর ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি কোম্পানির কাছে। নিয়ম হচ্ছে এটার যারা দায়িত্বে থাকবে এটা তাদের দায়। তারা শোধ করার ব্যাপারে আপনাদের সাথে আলাপ করবে। সেই দুই জায়গায় কোথাও আমাকে রাখা হয়নি ষড়যন্ত্র করে। আমাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। তাহলে টাকা তো আপনারা আমার কাছে পাবেন না। পাবেন প্রতিষ্ঠানের কাছে। কাজেই আপনার টাকা কীভাবে আনা যায় এ বিষয়ে আপনাকে আমি হেল্প করব। কারণ আমার একটা মোরাল দায় তো আছে। কেননা আমাকে দেখেই তো টাকাটা দিয়েছেন। তাই এই দায় আমার থাকবে। কিন্তু আমাকে কাজটা করতে দেয়া হচ্ছে না। বরং আমাকে হাত বেঁধে ছেড়ে দিয়ে বলা হচ্ছে ‘এবার সাঁতার কাটো’।

এ সময় নিজের প্রতিষ্ঠা করা রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টির কথা উল্লেখ করে রফিকুল আমীন বলেন, আপনারা জেনেছেন আমরা একটা রাজনৈতিক দল গঠন করেছি দেশের প্রয়োজনে। এটা কেন দরকার আপনাদের বুঝতে সময় লাগবে। মানুষের চিরাচরিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো, মানুষ কোনো পরিবর্তনকে সহজে গ্রহণ করতে চায় না। তবে সেটাকে ধীরে ধীরে গ্রহণ করে। এই পরিবর্তন আপনারাও সহজে গ্রহণ করবেন না- আমি জানি। ধাপে ধাপে আপনারা বুঝে ফেলবেন আসলে এটার প্রয়োজন ছিল।

‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সংগঠনের প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের সংগঠনের সাথে ১৫/২০ বছর ধরে আমি যুক্ত আছি। উনার সংগঠনকে কেন্দ্র করে রাস্তাঘাটে মানুষ যেন নিরাপদভাবে চলাচল করে সে জন্য আমি এই সেক্টরে কাজ করব রাজনীতির মঞ্চ থেকে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সুখদেব চন্দ্র দাস বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর অপ্রাপ্তি, আমি মনে করি আপনাদের প্রাপ্তি শুরু হতে যাচ্ছে এবার। আপনারা প্রত্যেকটি মানুষ এই প্রতিষ্ঠানের জন্য নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজনকে ত্যাগ করে ডেসটিনির জন্য সর্বোচ্চটুকু বিলিয়ে দিয়েছেন। তবে আমি বিশ্বাস করি এই প্রতিষ্ঠান টিকে রয়েছে জনাব রফিকুল আমীন স্যারের নেতৃত্বের কারণে।