আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী চৌধুরী। প্রায় একযুগ আগে আম জনতা খেলাফত পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলাম। যার চেয়ারম্যান ছিলাম আমি ও সেক্রেটারি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আফাদুল হক। এ জন্য আমরা ঢাকায় একটা কার্যালয় নিয়েছিলাম তোপখানা রোড শিশুকল্যাণ পরিষদ ভবনের পাঁচ তলায়। চট্টগ্রামে মোমিন রোডে নিয়েছি একটি কার্যালয়। কয়েকদিন পর দলটির নাম পাল্টিয়ে আম জনতা পার্টি’ নামকরণ করি।
এভাবে বাংলাদেশের অনেক জায়গায় আমরা কার্যালয় নিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন সংগঠন করার পরে এককভাবে সংগঠন চালানো দুরূহ হয়ে পড়লো। তবে দলটির নিবন্ধনের ব্যাপারে চেষ্টা করেছিলাম। তখনকার সময়ে আমাদের নির্বাচন কমিশনার ছিলেন চট্টগ্রামের মোবারক সাহেব। তিনি আমাকে এ ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করলেন।
উনি বলতে চাচ্ছেন বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক দলগুলো কমিয়ে আনতে চাচ্ছেন। কারণ উনাদের কষ্ট হয়ে যায় সবার সাথে যোগাযোগ করে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা। এজন্য রাজনৈতিক দল কমিয়ে ফেলবে। নিবন্ধনের আবেদন করতে না পেরে দুঃখ ও পরিতাপের সাথে আর এগুলাম না। পরে আমাদের সেক্রেটারিও ভিন্ন একটা দল দাড় করালেন। ‘গ্রামীণ বাংলাদেশ গ্রামীণ পার্টি’ নামে।
আমি পরবর্তিতে আমার দলের নাম পাল্টিয়েছি। কারণ আম জনতা খেলাফত পার্টির ‘খেলাফত’ নামটি শুনে অনেকেই বিভিন্ন রকম মন্তব্য করতেছিল। তারা বলছিলো আম জনতা খেলাফত পার্টির সাথে খেলাফত থাকলে নাকি নামটি মৌলবাদ হয়ে যাচ্ছে।
যাইহোক, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাকে অনেকেই তিরস্কার করলো। যার কারণে খেলাফত বাদ দিয়ে আম জনতা পার্টি হিসেবে দাড় করিয়ে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলাম। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখন ভালো ছিলনা আমি আবার সরে আসলাম। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি থেকে দূরে ছিলাম।
এখন আমি ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’ একটি রাজনৈতিক দলে যোগদান করেছি। ওখানে আমি কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে। এখন আমি আর আম জনতা পার্টি আর চালাবো না। ওটার কর্মকাণ্ড আপাতত বন্ধ রেখেছি।
এখন আমি শুনছি জনাব রফিকুল আমীন আম জনতা পার্টি নামে ইতোপূর্বে দল গঠন করেছেন। পত্র-পত্রিকায় দেখলাম সংবাদ সম্মেলন করে নাম ঘোষণাও দিয়েছেন। যেহেতু আমি আর দলটা করছি না এই নামে উনি করলে আমার কোনো অসুবিধা নেই। বরং আমি উনার সাফল্য কামনা করি। উনি যেন সুন্দরভাবে দাড়িয়ে যান বাংলাদেশে এ প্রত্যাশা করি।
জনগণের কল্যাণে উনি যেন নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারে। এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি এবং উনার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি।
উল্লেখ্য যে জনাব হায়দার আলী চৌধুরীর জেঠা নুরুল হক চৌধুরী ছিলেন নেজামে ইসলাম পার্টি থেকে নির্বাচিত পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী।