ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোদাগাড়ীতে ৬ কেজি হেরোইনসহ ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার: আটক ১

রাজশাহী গোদাগাড়ীতে ৬ কেজি হেরোইন,  নগদ ১৩ লাখ টাকাসহ তারেক হোসেনকে (৩৬) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার  সকাল ১০টার দিকে উপজেলার তিরিন্দা ভাজানপুরে সেনাবাহিনীর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা অফিস অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে।

বিকেলে নগরীর লিলি হলের মোড় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. গোলাম আজম এসব তথ্য জানান। গোদাগাড়ী উপজেলার মাদারপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে তিনি।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা অফিসের উপপরিচালক মোহা. জিললুর রহমান বলেন, তারেক আমাদের নজরদারিতে ছিল। আমাদের তৎপরতায় সে আটক হয়েছে। আইও নিয়োগ হয়েছেন। ঘটনার তদন্ত হবে। জব্দ হেরোইনের দাম প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে তারেককে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. গোলাম আজম জানান, তারেকের কাছে সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে বাদামী বর্ণের ৮টি পলি প্যাকেটে ৫০০ গ্রাম করে ৪ কেজি এবং একই বস্তায় ২৫ প্যাকেটে ১০০ গ্রাম করে আরও আড়াই কেজি হেরোইন পাওয়া গেছে। এছাড়া তার কাছে ১৩ লাখ টাকা, একটি মোবাইল ও ইলেকট্রিক সীল মেশিন জব্দ করা হয়েছে। গম ও ভুট্টার বস্তার আড়ালে এগুলো লুকানো ছিল বলে জানান তিনি।

অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরো বলেন, বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের টিম তাকে আটক করে। পরে সে মাদকের কথা স্বীকার করে। তার নিজস্ব খামার ও মার্কেট রয়েছে। সেখানে তাকে নিয়ে গিয়ে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইন ও ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। অধিদফতরের ইতিহাসে এযাবতকালের সর্ববৃহৎ হেরোইন চালান এটি। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চক্রের অন্যান্য হোতাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আগামীতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদও জানান তিনি।

এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মাসুদ হোসেন বলেন, আফগানিস্তানে আফিম নিষিদ্ধ হয়েছে। সেটা পুরোপুরি মিয়ানমারে শিফট হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের বর্ডার আছে। তাই দেশে মাদক ঢোকা সহজ হয়েছে। সেক্ষেত্রে এখানে ঢুকছে। তবে ডিএনসি বসে নেই। ধরা পড়ছে বেশি, আইনের আওতায় আসছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ৬ কেজি হেরোইনসহ ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার: আটক ১

আপডেট সময় ০৭:১১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

রাজশাহী গোদাগাড়ীতে ৬ কেজি হেরোইন,  নগদ ১৩ লাখ টাকাসহ তারেক হোসেনকে (৩৬) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার  সকাল ১০টার দিকে উপজেলার তিরিন্দা ভাজানপুরে সেনাবাহিনীর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা অফিস অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে।

বিকেলে নগরীর লিলি হলের মোড় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. গোলাম আজম এসব তথ্য জানান। গোদাগাড়ী উপজেলার মাদারপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে তিনি।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা অফিসের উপপরিচালক মোহা. জিললুর রহমান বলেন, তারেক আমাদের নজরদারিতে ছিল। আমাদের তৎপরতায় সে আটক হয়েছে। আইও নিয়োগ হয়েছেন। ঘটনার তদন্ত হবে। জব্দ হেরোইনের দাম প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে তারেককে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. গোলাম আজম জানান, তারেকের কাছে সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে বাদামী বর্ণের ৮টি পলি প্যাকেটে ৫০০ গ্রাম করে ৪ কেজি এবং একই বস্তায় ২৫ প্যাকেটে ১০০ গ্রাম করে আরও আড়াই কেজি হেরোইন পাওয়া গেছে। এছাড়া তার কাছে ১৩ লাখ টাকা, একটি মোবাইল ও ইলেকট্রিক সীল মেশিন জব্দ করা হয়েছে। গম ও ভুট্টার বস্তার আড়ালে এগুলো লুকানো ছিল বলে জানান তিনি।

অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরো বলেন, বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের টিম তাকে আটক করে। পরে সে মাদকের কথা স্বীকার করে। তার নিজস্ব খামার ও মার্কেট রয়েছে। সেখানে তাকে নিয়ে গিয়ে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইন ও ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। অধিদফতরের ইতিহাসে এযাবতকালের সর্ববৃহৎ হেরোইন চালান এটি। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চক্রের অন্যান্য হোতাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আগামীতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদও জানান তিনি।

এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মাসুদ হোসেন বলেন, আফগানিস্তানে আফিম নিষিদ্ধ হয়েছে। সেটা পুরোপুরি মিয়ানমারে শিফট হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের বর্ডার আছে। তাই দেশে মাদক ঢোকা সহজ হয়েছে। সেক্ষেত্রে এখানে ঢুকছে। তবে ডিএনসি বসে নেই। ধরা পড়ছে বেশি, আইনের আওতায় আসছে।