ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম সমিতির পুনর্গঠিত এডহক কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার পুনর্গঠিত এডহক কমিটির এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সমিতি ভবন চত্বরে সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক এম এ হাশেম রাজু ও অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাড. ফরিদ উদ্দিন খান। 

এতে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মুসা খান, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন মিজান, এ্যাড. আব্দুল মান্নান, এ্যাড. নাজিম উদ্দিন, সমন্বয়ক মোহাম্মদ মুবিনুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব মনজুর মোর্শেদ মামুন, সদস্য নাছির উদ্দিন, শাহজাহান মন্টু, এ্যাড. মাসুদ উল আলম চৌধুরী, মো. ইসমাঈল, আবু তৈয়ব হাবিলদার, আব্দুর রহমান রাসেল, মোস্তফা আল ইহযায প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, রাজধানী ঢাকায় বসবাসরত সকল চট্টগ্রামবাসীকে পর্যায়ক্রমে সদস্য করা হবে। শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম সমিতিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী মতবাদের সদস্য অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়।

বক্তারা বলেন, ঢাকাস্থ চট্টগ্রামবাসীর যথাযথ জনকল্যাণমূলক সেবা নিশ্চিত করার জন্য একটি হটলাইন নাম্বার চালুর করা হবে। সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনার মাধ্যমে উক্ত সমিতিকে কার্যকর করে নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য নির্বাহী কমিটি ও জীবন সদস্যদের দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান হয়।

বক্তরা বলেন, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী ফ্যাসিবাদের দোসর শাহাদাত হোসেন হিরু গং কর্তৃক দুই বছরে আগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের পক্ষে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের প্রাণনাশের হুমকিদাতার বিরুদ্ধে আইনিযুদ্ধ পরিচালনাকারী চট্টগ্রাম সমিতির আহ্বায়ক ৯০’র ছাত্রনেতা এম এ হাশেম রাজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমুলক মামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

এই শাহাদাত হোসেন হিরু গং গত ১৩ এপ্রিল এম এ হাশেম রাজু ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে নেতৃত্বদানকারী। চোখ হারানো সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ বাবুর উপর সমিতির অফিসে অতির্কিত হামলা করে গুরুতর আহত করে। কিন্তু সেই ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হওয়ার পরও আজ পর্যন্ত হামলাকারী আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ।

ফ্যাসিবাদের যেই দোসরদের জায়গা হওয়ার কথা কারাগারে তারা এখন প্রকাশ্যে দেশপ্রেমিক বিপ্লবী শক্তির ওপর হামলা করছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নমনীয়তায় তারা সারাদেশে আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

সভায় অবিলম্বে খুনি হাসিনার দোসর রাষ্ট্রের সম্পদ লুটকারী এস আলমের ক্যাশিয়ার শাহাদাত হোসেন হিরু গং এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সভায় সমিতি প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে সকল সদস্য পরলোকগমন করেছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। চট্টগ্রাম সমিতি দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটি কল্যাণকামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম ও দেশবাসীর সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রাম সমিতির পুনর্গঠিত এডহক কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৮:৫৫:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার পুনর্গঠিত এডহক কমিটির এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সমিতি ভবন চত্বরে সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক এম এ হাশেম রাজু ও অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাড. ফরিদ উদ্দিন খান। 

এতে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মুসা খান, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন মিজান, এ্যাড. আব্দুল মান্নান, এ্যাড. নাজিম উদ্দিন, সমন্বয়ক মোহাম্মদ মুবিনুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব মনজুর মোর্শেদ মামুন, সদস্য নাছির উদ্দিন, শাহজাহান মন্টু, এ্যাড. মাসুদ উল আলম চৌধুরী, মো. ইসমাঈল, আবু তৈয়ব হাবিলদার, আব্দুর রহমান রাসেল, মোস্তফা আল ইহযায প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, রাজধানী ঢাকায় বসবাসরত সকল চট্টগ্রামবাসীকে পর্যায়ক্রমে সদস্য করা হবে। শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম সমিতিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী মতবাদের সদস্য অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়।

বক্তারা বলেন, ঢাকাস্থ চট্টগ্রামবাসীর যথাযথ জনকল্যাণমূলক সেবা নিশ্চিত করার জন্য একটি হটলাইন নাম্বার চালুর করা হবে। সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনার মাধ্যমে উক্ত সমিতিকে কার্যকর করে নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য নির্বাহী কমিটি ও জীবন সদস্যদের দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান হয়।

বক্তরা বলেন, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী ফ্যাসিবাদের দোসর শাহাদাত হোসেন হিরু গং কর্তৃক দুই বছরে আগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের পক্ষে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের প্রাণনাশের হুমকিদাতার বিরুদ্ধে আইনিযুদ্ধ পরিচালনাকারী চট্টগ্রাম সমিতির আহ্বায়ক ৯০’র ছাত্রনেতা এম এ হাশেম রাজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমুলক মামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

এই শাহাদাত হোসেন হিরু গং গত ১৩ এপ্রিল এম এ হাশেম রাজু ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে নেতৃত্বদানকারী। চোখ হারানো সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ বাবুর উপর সমিতির অফিসে অতির্কিত হামলা করে গুরুতর আহত করে। কিন্তু সেই ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হওয়ার পরও আজ পর্যন্ত হামলাকারী আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ।

ফ্যাসিবাদের যেই দোসরদের জায়গা হওয়ার কথা কারাগারে তারা এখন প্রকাশ্যে দেশপ্রেমিক বিপ্লবী শক্তির ওপর হামলা করছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নমনীয়তায় তারা সারাদেশে আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

সভায় অবিলম্বে খুনি হাসিনার দোসর রাষ্ট্রের সম্পদ লুটকারী এস আলমের ক্যাশিয়ার শাহাদাত হোসেন হিরু গং এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সভায় সমিতি প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে সকল সদস্য পরলোকগমন করেছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। চট্টগ্রাম সমিতি দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটি কল্যাণকামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম ও দেশবাসীর সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।