রাশিয়া রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে অন্তত ১২ জনকে হত্যা করেছে। এটি এ বছর ইউক্রেনের রাজধানীতে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা । এই ঘটনার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উদ্দেশ করে বলেছেন: ভ্লাদিমির, থেমে যাও!
এই হামলাকে “অপ্রয়োজনীয়” এবং “খুবই খারাপ সময়ে হয়েছে” বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, যিনি বর্তমানে দুই দেশকে শান্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় আরও ৯০ জন আহত হয়েছেন, বহু ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং আগুন লেগেছে। ১২ ঘণ্টা পরও উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহ উদ্ধার করছেন।
২০২২ সালে মস্কোর পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সংকটময় মুহূর্তে এই হামলা হলো। অন্যদিকে কিয়েভ ও মস্কো উভয়ই ট্রাম্পকে বোঝাতে চাইছে যে, তারা তার প্রত্যাশিত দ্রুত শান্তি চুক্তির লক্ষ্যে অগ্রগতি করছে।
“আমি কিয়েভে রুশ হামলায় খুশি নই। এটা অপ্রয়োজনীয় এবং খুব খারাপ সময়ে হয়েছে। ভ্লাদিমির, থেমে যাও! প্রতি সপ্তাহে ৫,০০০ সৈন্য মারা যাচ্ছে। চলো, শান্তিচুক্তি সম্পন্ন করি!” — ট্রুথ সোশাল-এ পোস্ট করে এমন মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, যদি দ্রুত অগ্রগতি না হয়, তারা তাদের প্রচেষ্টা বন্ধ করে দিতে পারে। বুধবার, ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে তিরস্কার করেন, কারণ তিনি আবারও বলেছেন কিয়েভ কখনই ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার দখল হিসাবে স্বীকৃতি দেবে না।
পুতিন সম্পর্কে ট্রাম্প বরাবরই অনেক কোমল ভাষা ব্যবহার করেছেন, অন্যদিকে জেলেনস্কিকে একপর্যায়ে “একনায়ক” বলেও আখ্যা দিয়েছেন। ট্রাম্পের বিশেষ দূত শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে আরও আলোচনা করতে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন একজন মার্কিন কর্মকর্তা।
জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে বুধবার লন্ডনে ইউক্রেনীয় ও পশ্চিমা কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা থেকে উঠে আসা প্রস্তাবনা সংবলিত একটি নথি এখন ট্রাম্পের টেবিলে আছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আজ এই ফরম্যাট, এই নথি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টেবিলে আছে। আমাদের মূল্যবোধ বা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক এমন কোনো কিছু কোনো চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না।