শেরপুরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন ছানার পায়েসের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত দেশের ২৪টি পণ্যকে জিআই সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে এ সনদ গ্রহণ করেন তিনি।
সনদ তুলে দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এর আগে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর শেরপুরের দ্বিতীয় পণ্য ও দেশের ৪৪তম পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পায় শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন ছানার পায়েস।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, গত বছর স্বীকৃতি পাওয়ার পর ৩০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে সনদ প্রদান করা হলো। শেরপুরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে ছানার পায়েসের বেশ সুনাম রয়েছে। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় ছানার পায়েসের কদর আরও বেড়েছে।
উল্লেখ্য,শেরপুরের ছানার পায়েসের ঐতিহ্য শত বছরের পুরনো।বৃটিশ আমলে এই মিষ্টি প্রথম তৈরি হয় শেরপুরের গোয়ালপট্রিতে।তখন হাতেগোনা দু-একটি দোকানে এই মিষ্টি তৈরি হতো। বর্তমানে জেলা সদরেই অন্তত ২০টি দোকানে ছানার পায়েস তৈরি হচ্ছে। এসব দোকানে দৈনিক গড়ে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ কেজি ছানার পায়েস বিক্রি হয়।শেরপুর শহরের বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে প্রতি কেজি ছানার পায়েস প্রকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৪০০টাকায় বিক্রি হয়।
জেলার নালিতাবাড়ী,ঝিনাইগাতি,নকলা ও শ্রীবরদী উপজেলাতেও এই মিষ্টি পাওয়া যায়।
এই ছানার পায়েস জেলা এবং জেলার বাহিরে বিয়ে,জন্মদিন,ঈদুল ফিতর,ঈদুল আযহা,দূর্গাপূজা, আত্মীয়স্বজনদের বাসায় বেড়াতে যাওয়াসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব ও যেকোনো অনুষ্ঠানে আপ্যায়নের জন্য শেরপুরের মানুষের পছন্দের মিষ্টি।