ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীপুরে প্রশিক্ষণ গ্রহণে চাষাবাদে সুফল পাচ্ছে কৃষকরা

গ্রামের প্রান্তিক কৃষকদের জন্য ব্যতিক্রমী স্কুল হলো ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল’। বিভিন্ন বয়সের কৃষক-কৃষাণীরা হচ্চেন এই স্কুলের ছাত্রছাত্রী। তাদের হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে পুষ্টি উন্নয়ন, উদ্যোক্তা তৈরি ও পরিবেশবান্ধব চাষাবাদের নানা উপায়। কৃষকদের বাড়ির উঠানে বা জমির পাশে, রাস্তার পাশে ও খোলা জায়গায় বসে ক্লাস করছেন কৃষক ও কৃষাণীরা। 

গাজীপুরের শ্রীপুরে পার্টনার ফিল্ড স্কুলে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণের ফলে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও উৎপাদন সুফল পাচ্ছে চাষিরা। বর্তমানে ২৪ -২৫ অর্থ বছরে শ্রীপুর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ১০ টি পার্টনার ফিল্ড স্কুল চলছে। পার্টনার প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে পার্টনার ফিল্ড স্কুলের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কৃষক-কৃষাণী পার্টনার ফিল্ড স্কুলে টাকার নাশতা ও দশ সেশন শেষে ২০০০ ভাতা দেওয়া হবে। এ প্রকল্পের কার্যক্রম ২০২৩ সালের জুলাই মাসে শুরু ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের কার্যক্রম চলবে। প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদশে (পার্টনার) প্রকল্পের আওতায় এই পার্টনার ফিল্ড স্কুল পরিচালিত হচ্ছে।

প্রতিটি স্কুলে ২৫ জন কৃষক কৃষানি নিয়ে একটি দল। তারা সপ্তাহে একদিন ৩ ঘন্টা করে মোট দশ দিন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে হলো কৃষকদের কৃষি কাজে স্মার্ট ও দক্ষ করে তোলা। পাশাপাশি পুষ্টি উন্নয়ন, উদ্যোক্তা তৈরি ও পরিবেশ বান্ধব চাষাবাদের নানা প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা।

কৃষক জামাল উদ্দিন জানান,পার্টনার ফিল্ড স্কুলে মাধ্যমে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও কীটনাশক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম শিখেছি। এখানে হাতে-কলমে চাষাবাদের কৌশল শিখানো হয়, যা আমাদের মাঠের কাজে কাজে লাগে। কৃষক খাইরুল ইসলাম জানান, আগে আমরা শুধু অভ্যাসমতো চাষ করতাম, এখন বৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিই। আমাদের ফলন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কৃষাণী তারাবানু জানান, ফিল্ড স্কুল থেকে শেখা পদ্ধতি প্রয়োগ করে আমাদের ফলন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিসার সুমাইয়া সুলতানা বন্যা জানান, নতুন নতুন কলাকৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি এবং ধানের বীজ থেকে শুরু করে যেকোনো ফসলের বীজ উৎপাদন ও নিরাপদ পদ্ধতিতে কীভাবে ফসল উৎপাদন করা যায় সেই বিষয়ে শেখানো হচ্ছে।প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কৃষক-কৃষাণী পার্টনার ফিল্ড স্কুলে সেশন শেষে দুই হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে।

 

এএস/

 

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীপুরে প্রশিক্ষণ গ্রহণে চাষাবাদে সুফল পাচ্ছে কৃষকরা

আপডেট সময় ০৮:২২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

গ্রামের প্রান্তিক কৃষকদের জন্য ব্যতিক্রমী স্কুল হলো ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল’। বিভিন্ন বয়সের কৃষক-কৃষাণীরা হচ্চেন এই স্কুলের ছাত্রছাত্রী। তাদের হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে পুষ্টি উন্নয়ন, উদ্যোক্তা তৈরি ও পরিবেশবান্ধব চাষাবাদের নানা উপায়। কৃষকদের বাড়ির উঠানে বা জমির পাশে, রাস্তার পাশে ও খোলা জায়গায় বসে ক্লাস করছেন কৃষক ও কৃষাণীরা। 

গাজীপুরের শ্রীপুরে পার্টনার ফিল্ড স্কুলে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণের ফলে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও উৎপাদন সুফল পাচ্ছে চাষিরা। বর্তমানে ২৪ -২৫ অর্থ বছরে শ্রীপুর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ১০ টি পার্টনার ফিল্ড স্কুল চলছে। পার্টনার প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে পার্টনার ফিল্ড স্কুলের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কৃষক-কৃষাণী পার্টনার ফিল্ড স্কুলে টাকার নাশতা ও দশ সেশন শেষে ২০০০ ভাতা দেওয়া হবে। এ প্রকল্পের কার্যক্রম ২০২৩ সালের জুলাই মাসে শুরু ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের কার্যক্রম চলবে। প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদশে (পার্টনার) প্রকল্পের আওতায় এই পার্টনার ফিল্ড স্কুল পরিচালিত হচ্ছে।

প্রতিটি স্কুলে ২৫ জন কৃষক কৃষানি নিয়ে একটি দল। তারা সপ্তাহে একদিন ৩ ঘন্টা করে মোট দশ দিন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে হলো কৃষকদের কৃষি কাজে স্মার্ট ও দক্ষ করে তোলা। পাশাপাশি পুষ্টি উন্নয়ন, উদ্যোক্তা তৈরি ও পরিবেশ বান্ধব চাষাবাদের নানা প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা।

কৃষক জামাল উদ্দিন জানান,পার্টনার ফিল্ড স্কুলে মাধ্যমে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও কীটনাশক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম শিখেছি। এখানে হাতে-কলমে চাষাবাদের কৌশল শিখানো হয়, যা আমাদের মাঠের কাজে কাজে লাগে। কৃষক খাইরুল ইসলাম জানান, আগে আমরা শুধু অভ্যাসমতো চাষ করতাম, এখন বৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিই। আমাদের ফলন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কৃষাণী তারাবানু জানান, ফিল্ড স্কুল থেকে শেখা পদ্ধতি প্রয়োগ করে আমাদের ফলন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিসার সুমাইয়া সুলতানা বন্যা জানান, নতুন নতুন কলাকৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি এবং ধানের বীজ থেকে শুরু করে যেকোনো ফসলের বীজ উৎপাদন ও নিরাপদ পদ্ধতিতে কীভাবে ফসল উৎপাদন করা যায় সেই বিষয়ে শেখানো হচ্ছে।প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কৃষক-কৃষাণী পার্টনার ফিল্ড স্কুলে সেশন শেষে দুই হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে।

 

এএস/