শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ৭ বছরেও বিধবা মমেনা বেগম (৬০) উরফে মালার ভাগ্যে জুটেনি একটি বিধবা ভাতার কার্ড। মমেনা উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া গ্রামের দিনমজুর মরহুম ফজল হকের স্ত্রী।
মমেনা বেগম বলেন, তার ৩ ছেলে বিয়ে সাদী করে আলাদা। তারা জীবিকা নির্বাহের তাগিদে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে গেছে। তাদের সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয়। ৭ বছর পুর্বে মমেনা বেগমের স্বামীর মৃত্যু হয়।
তার সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই। নেই ঘর বাড়িও। অন্যের বাড়িতে রাত কাটাতে হয় মমেনা বেগমকে। দিনমজুরি করে চলতো তার সংসার। কিন্তু বয়সের ভারে মমেনা বেগম এখন আর মজুরিও খাটতে পারেন না। তবুও থেমে নেই মমেনা বেগমের বেচে থাকার যুদ্ধ।
একটি ঠেলা জাল নিয়ে বাড়ির সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া মহারশি নদী থেকে মাছ ধরে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে চলে তার সংসার জীবন। প্রতিদিন সকালে মমেনা বেগম ২ /৩ ঘন্টা মাছ ধরে ৪০/৫০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি।
আর এ টাকায় কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। মমেনার ভাগ্যে জুটেনি গুচ্ছ গ্রামের একটি সরকারি ঘর অথবা বিধবা ভাতার কার্ডসহ কোন সাহায্য-সহযোগিতা।
তিনি জানান, তার জীবনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে একটি চালের স্লীপও পাননি তিনি। মোটকথা মমেনা বেগম নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাকে পুনর্বাসনের জন্য মোমেনা বেগম সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো,রুকুনুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি ওই বিধবা নারী মমেনা বেগমকে সরকারি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
এএস/