স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ মে) মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ভারত-পাকিস্তানের দুই দিনের সংঘর্ষে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তা কমানোর দায়িত্ব ভারতের ওপরই বর্তায়।
দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে কোনো আলোচনা চলছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদ (এনএসসি) পর্যায়ে যোগাযোগ হয়েছে। কিন্তু তারপর যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং যেসব কথাবার্তা বলা হচ্ছে, তাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমিত হওয়া উচিত।’
তবে এই যোগাযোগের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। সাইদ শেখ বলেন, ‘এখন উত্তেজনা কমানোর দায়ভার ভারতের ওপর বর্তায়। সংযম দেখানোর ক্ষেত্রেও তো একটা সীমাবদ্ধতা থাকে। পাকিস্তানের জবাব দেয়ার অধিকার আছে। আমাদের দেশের জনমত অনুযায়ী সরকারের ওপর পাল্টা জবাব দেয়ার প্রবল চাপ রয়েছে।
এর আগে তুরস্কের গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, পাকিস্তান ভূখণ্ডে ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক হামলার পরও উভয় দেশের শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশ নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদকে উত্তেজনা কমাতে এবং যোগাযোগের পথ খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে। ওয়াশিংটন সরাসরি সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার, পাকিস্তান ও ভারত পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলার অভিযোগ করেছে। দুই দিনের সংঘর্ষে উভয় দেশের অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
দশক ধরে চলা ভারত-পাকিস্তানের সর্বশেষ উত্তেজনা শুরু হয় ২২ এপ্রিল। ওই দিন ভারত-শাসিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এই হামলার জন্য নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করে, তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানায় পাকিস্তান।
সূত্র: রয়টার্স
ইউ