রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, আওয়ামী লীগকে এমনভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে যেন আবার তারা ফিরে আসতে না পারে এবং নতুন করে কেউ আওয়ামী লীগের মতো জুলুমবাজ, পাচারকারী হয়ে উঠতে না পারে।
শুক্রবার (৯ মে) রাজধানীর পল্টন মোড়ে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, আওয়ামীতন্ত্র নিষিদ্ধ, দক্ষিণ এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জড়িয়ে পড়ার শংকা, সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা বন্ধ এবং সংবিধান সংস্কার সভা ও জাতীয় নির্বাচন একসাথে সম্পন্ন করার দাবিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সেজন্য গণহত্যার, পাচারের বিচার জরুরি। জরুরি হলো সরকার ও ক্ষমতাসীনদের লুটপাট, পাচার করার সকল আইনী সুযোগ বন্ধ করতে হবে।রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। এবং তা এমনভাবে করতে হবে যেন পরবর্তীতে কোন সরকার বা বিচার বিভাগ তা বাতিল করতে না পারে। সেজন্য আমরা একই নির্বাচনে সংবিধান সংস্কার সভা ও জাতীয় নির্বাচনকে সবচেয়ে টেকসই উপায় বলে মনে করি।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ এক গভীর ষড়যন্ত্রের মুখে। দেশি বিদেশী চক্রান্তকারীরা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যুক্ত করতে চায়। বাংলাদেশ কোন বিদেশী শক্তির যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে না। বিশেষ করে যখন বাংলাদেশের অর্থনীতি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সামাজিক নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে; তখন আরো অবশ্যই না।
তিনি বলেন, আমাদের আগে সকল জনগণের জান, জবান, সম্মানের অধিকার নিরংকুশ ও নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করতে হবে।
এসম আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য নাইমুল ইসলাম নয়ন, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য শেখ নাসির উদ্দীন, ফরিদুল ইসলাম, ছামিউল আলম রাসু, আব্দুল জলিল; রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লামিয়া ইসলাম, ঢাকা দক্ষিন কমিটির দপ্তর সমন্বয়ক সারোয়ার আলম, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের নারায়নগঞ্জ জেলা সভাপতি জিয়াউল ইসলাম সুমন প্রমুখ।
এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক লিটন কবিরাজ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সমন্বয়ক সোহেল শিকদার।
মানববন্ধন শেষে একটি মিছিল করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।