ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ডিআরইউ র “মিট দ্যা রিপোর্টাস” ড. রফিকুল আমীন

দুদক একটি ভয়ঙ্কর টর্চার সেলে পরিনত হয়েছিল

দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) একটা টর্চার সেলে পরিনত হয়ে ছিল এবং সেখানে আমাদের চোখে কাপর বেঁধে মুখে গরম পানি ঢেলে অমানবিক নির্যাতন করা হতো। এমন তথ্য দিয়েছেন ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। 

বুধবার (১৪ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে “মিট দ্যা রিপোর্টাস” অনুষ্ঠানে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

রফিকুল আমীন বলেন, যখন ডেসটিনির কার্যক্রম শুরু করি তখন ফ্যাসিস্ট সরকারের রোশানলে পড়ে যাই। আমি সততার সর্বোচ্চ পন্থা নিয়ে ডেসটিনি শুরু করি। আমার প্রতি রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেয়। তারা যে মামলা করেছে সেখানে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল না। তবে আমি নিয়ম মেনে একটা সমবায় সমিতি করি। সেখানে একটি ভুলকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষ তলব কারণ আমরা ঐ আইন সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। ঐ আইনে ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করা যাবে না আমরা তার বেশি বিনিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু অন্যায় মেনে আবেদন করে সে ঝামেলা মেটানোর পরেও আমাকে হয়রানি করার অংশ হিসেবে দেওয়ানী মামলার পরিবর্তে ফৌজদারি মামলা দেওয়া হয় দুদকের কয়েকজন কর্মকর্তার উৎসাহে। তারা বলেছিলেন আমার নামে মানি লন্ডারিং এর মামলা করা হবে। আমার সকল কার্যক্রমই মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়।

তিনি বলেন, মুদ্রা পাচার আইন নাম থাকলেও আমাকে সেই আইনে মামলা না দেখিয়ে ২০১২ সালের আইনে ফেলে দীর্ঘ কারাবাসের ব্যবস্থা করা হয়। আমাকে ২০০৯, ২০১২ সালের আইনে জড়িয়েছে আমাকে যা ছিল অন্যায়। এমনকি তারিখ পরিবর্তন করে দিয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে অনেক বড় ষড়যন্ত্র করা করা হয়। ২০১২ সালে যখন একটি মামলার রায় হয় তখন জজ সাহেব বুঝতে পারলেন মামলাটা দুদক সাজিয়ে করেছে। তখন ওই সব কর্মকর্তাদের ডাকা হয় আদালতে তারা তখন কয়েকটি পত্রিকার রিপোর্ট উপস্থাপন করে আমাকে অপরাধী প্রমাণের চেষ্টা করে। এতে আদালত প্রকাশ্যে দুদক কর্মকর্তাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, আমাকে ১৬৪ ধারায় সাক্ষী দিতে বলেছিলেন। আমি দেইনি বলে আমার সাথে গ্রেপ্তার হওয়া ডেসটিনি ২০০০-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে রিমান্ডের নামে প্রচণ্ড মারধর করে।

দুদককে শয়তানের আখড়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওখানে একটা টর্চার সেল ছিল, সেখানে যা হতো তা কল্পনা করতে পারবেন না। দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। বেদম মারধর করে।

তিনি বলেন, দুদক তো দুর্নীতি দমন করে। তারা কেন টর্চার করবে?

রফিকুল আমীন বলেন, আমাকে হুমকি দেয়া হয়েছে, আপনি যদি আমাদের কথা না শুনেন আপনার বউ বাচ্চা ধরে নিয়ে আসবো। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় আমার বউকে আসামি করা হয়েছে। আমার বউ এখনো জেলে আছে। আমার দুইটা নাবালক বাচ্চা একা একা বারোটা বছর বড় হয়েছে। আমার বাচ্চাদের জবাব দিতে পারি না, তারা বলে আমার আম্মুকে নিয়ে আসো।  গ্রেপ্তার হওয়া ডেসটিনির সবাই এখন বাইরে। কিন্তু সাজানো মামলায় আমার স্ত্রী এখনো জেলে আছে। আমার স্ত্রী ডেসটিনির সঙ্গে জড়িত ছিল না। তাহলে আমার স্ত্রীর কি দোষ? শুনেছি ফ্যাসিস্ট সরকারের দুদকের যে আইনজীবি ছিলেন। তিনি দূর থেকে এখানো কলকাঠি নাড়েন। এসব অবিচার জুলুমের প্রতিবাদ করতেই আজ রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করব। আজকের আমজনগণ পার্টি তারই অংশ।

তিনি বলেন, বিনা অপরাধে কত মানুষ জেল খাটছে। হাসিনার অত্যাচারে যারা বিনাদোষে জেলে গেছেন তারা এখনো বের হতে পারেনি। জেলে থাকতে আমি সবাইকে কথা দিয়ে এসেছি আমি রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করব সেখানে আপনাদের নির্যাতনের কথা বলব।

আমজনগন পার্টির আহ্বায়ক বলেন, জামিন পাওয়া তো নাগরিকের জন্মগত অধিকার তারা কেন জামিন পাবেন না। আমার দাবি হলো, যে কোনো মামলায় ছয় মাসের বেশি চার্জশিট দিতে দেরি হয় তাহলে ওইসব আসামিদের জামিন দেওয়া হোক, এমন আইন তৈরি করা হোক।

 

তিনি বলেন, আমি ২৩ দিন ছিলাম দুদকে। আমাদের মারধর করে সাইকোলোজিক্যালি ডাউন করা হয়। আমাদের লোকদের বলা হতো সাক্ষী হবা, নাকি আসামি হবা। তারা বলতেন, আমরা অন্যায় করিনি। দুদকের ষড়যন্ত্রকারীরা কোন মামলায় ডেসটিনির ৪৫ বিনিয়োগকারীদের সাক্ষী রাখেনি। সাক্ষী হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা, বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এভাবে ২১৯ জন সাক্ষী বানায়। আমি জানতে চাইলে দুদক কর্মকর্তারা বলে সাক্ষী নিতে নিতে দীর্ঘ সময় লাগবে। মামলা দীর্ঘায়িত করি। আমি বিনা দোষে সাজা ভোগ করেছি। আমাকে রিমান্ডে নিয়ে দুদক থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, বিদেশে চলে যান। আমি বলেছি আমি যাব না। কারণ আপনারা যা করবেন সেটা আমি জানি। আমাকে ক্রস ফায়ার করবেন। দুদকের কর্মকর্তারা তাকিয়ে ছিলেন সেদিন। তারা আবার অফার করে ডেসটিনি সব বন্ধ করে দেন এক সপ্তাহের মধ্যে জামিন দেব। আমি বললাম বিনিয়োগ কারিরা বেকার হয়ে যাবে। এরা সরকারকে ভোট দেবে না। তারা বলেন, সরকার ভোটের চিন্তা করে না। এভাবে আমাদের রিমান্ড শেষ হয়।

রফিকুল আমীন বলেন, আমি জেলে থাকা অবস্থায় প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, একদিন গণমাধ্যমের সামনে আসব এবং সবার কাছে সেই অন্ধকার, অপকৌশল তুলে ধরব। আজ সেই দিন এসেছে। আমি মানুষের পাশে দাড়াতে রাজনৈতিক দল গঠন করেছি।

পার্টির নাম পরিবর্তন সম্পর্কে রফিকুল আমীন বলেন, আমজনতা নাম ছিল শুরুতে এটি ২০২২ সালে আমি চিন্তা করেছিলাম। ৫ আগস্টের পর আমজনতা দল নামে একটি দল এলো এরপর আমজনতা দলের নেতা তারেক রহমানের অনুরোধ করেন দলের নাম পরিবর্তনের জন্য। তিনি আমাকে হুমকি দেয় নাম পরিবর্তন না করলে এমন কোনো কাজ বাদ রাখব না যাতে আপনি বিরক্ত না হোন। তারপর তিনি বলেন, আপোষে আপনারা এটা করেন। আমি প্রতিহিংসা না করে তাদের সম্মানে আমজনগণ পার্টি নামকরণ করা হয়।

তিনি বলেন, এই সরকার পরিবেশ বান্ধব, রাজনীতি বান্ধব। এ সরকারের সময়ে অনেক রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছে। যত বেশি দল তত বেশি মত প্রকাশের সুযোগ তৈরি হয়।

এখনি সংসদে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখছেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি; আমি মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে এসেছি।

ভবিষ্যতে কোনো জোট করবেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আমার উচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবে। আমি একটা ভোট দিতে পারি সেখানে। তিনি বলেন, আপাতত জোটের কোনো চিন্তা নেই।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় মিট দ্যা প্রেসে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন।

ডিআরইউ র “মিট দ্যা রিপোর্টাস” ড. রফিকুল আমীন

দুদক একটি ভয়ঙ্কর টর্চার সেলে পরিনত হয়েছিল

আপডেট সময় ০৪:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) একটা টর্চার সেলে পরিনত হয়ে ছিল এবং সেখানে আমাদের চোখে কাপর বেঁধে মুখে গরম পানি ঢেলে অমানবিক নির্যাতন করা হতো। এমন তথ্য দিয়েছেন ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। 

বুধবার (১৪ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে “মিট দ্যা রিপোর্টাস” অনুষ্ঠানে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

রফিকুল আমীন বলেন, যখন ডেসটিনির কার্যক্রম শুরু করি তখন ফ্যাসিস্ট সরকারের রোশানলে পড়ে যাই। আমি সততার সর্বোচ্চ পন্থা নিয়ে ডেসটিনি শুরু করি। আমার প্রতি রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেয়। তারা যে মামলা করেছে সেখানে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল না। তবে আমি নিয়ম মেনে একটা সমবায় সমিতি করি। সেখানে একটি ভুলকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষ তলব কারণ আমরা ঐ আইন সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। ঐ আইনে ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করা যাবে না আমরা তার বেশি বিনিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু অন্যায় মেনে আবেদন করে সে ঝামেলা মেটানোর পরেও আমাকে হয়রানি করার অংশ হিসেবে দেওয়ানী মামলার পরিবর্তে ফৌজদারি মামলা দেওয়া হয় দুদকের কয়েকজন কর্মকর্তার উৎসাহে। তারা বলেছিলেন আমার নামে মানি লন্ডারিং এর মামলা করা হবে। আমার সকল কার্যক্রমই মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়।

তিনি বলেন, মুদ্রা পাচার আইন নাম থাকলেও আমাকে সেই আইনে মামলা না দেখিয়ে ২০১২ সালের আইনে ফেলে দীর্ঘ কারাবাসের ব্যবস্থা করা হয়। আমাকে ২০০৯, ২০১২ সালের আইনে জড়িয়েছে আমাকে যা ছিল অন্যায়। এমনকি তারিখ পরিবর্তন করে দিয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে অনেক বড় ষড়যন্ত্র করা করা হয়। ২০১২ সালে যখন একটি মামলার রায় হয় তখন জজ সাহেব বুঝতে পারলেন মামলাটা দুদক সাজিয়ে করেছে। তখন ওই সব কর্মকর্তাদের ডাকা হয় আদালতে তারা তখন কয়েকটি পত্রিকার রিপোর্ট উপস্থাপন করে আমাকে অপরাধী প্রমাণের চেষ্টা করে। এতে আদালত প্রকাশ্যে দুদক কর্মকর্তাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, আমাকে ১৬৪ ধারায় সাক্ষী দিতে বলেছিলেন। আমি দেইনি বলে আমার সাথে গ্রেপ্তার হওয়া ডেসটিনি ২০০০-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে রিমান্ডের নামে প্রচণ্ড মারধর করে।

দুদককে শয়তানের আখড়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওখানে একটা টর্চার সেল ছিল, সেখানে যা হতো তা কল্পনা করতে পারবেন না। দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। বেদম মারধর করে।

তিনি বলেন, দুদক তো দুর্নীতি দমন করে। তারা কেন টর্চার করবে?

রফিকুল আমীন বলেন, আমাকে হুমকি দেয়া হয়েছে, আপনি যদি আমাদের কথা না শুনেন আপনার বউ বাচ্চা ধরে নিয়ে আসবো। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় আমার বউকে আসামি করা হয়েছে। আমার বউ এখনো জেলে আছে। আমার দুইটা নাবালক বাচ্চা একা একা বারোটা বছর বড় হয়েছে। আমার বাচ্চাদের জবাব দিতে পারি না, তারা বলে আমার আম্মুকে নিয়ে আসো।  গ্রেপ্তার হওয়া ডেসটিনির সবাই এখন বাইরে। কিন্তু সাজানো মামলায় আমার স্ত্রী এখনো জেলে আছে। আমার স্ত্রী ডেসটিনির সঙ্গে জড়িত ছিল না। তাহলে আমার স্ত্রীর কি দোষ? শুনেছি ফ্যাসিস্ট সরকারের দুদকের যে আইনজীবি ছিলেন। তিনি দূর থেকে এখানো কলকাঠি নাড়েন। এসব অবিচার জুলুমের প্রতিবাদ করতেই আজ রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করব। আজকের আমজনগণ পার্টি তারই অংশ।

তিনি বলেন, বিনা অপরাধে কত মানুষ জেল খাটছে। হাসিনার অত্যাচারে যারা বিনাদোষে জেলে গেছেন তারা এখনো বের হতে পারেনি। জেলে থাকতে আমি সবাইকে কথা দিয়ে এসেছি আমি রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করব সেখানে আপনাদের নির্যাতনের কথা বলব।

আমজনগন পার্টির আহ্বায়ক বলেন, জামিন পাওয়া তো নাগরিকের জন্মগত অধিকার তারা কেন জামিন পাবেন না। আমার দাবি হলো, যে কোনো মামলায় ছয় মাসের বেশি চার্জশিট দিতে দেরি হয় তাহলে ওইসব আসামিদের জামিন দেওয়া হোক, এমন আইন তৈরি করা হোক।

 

তিনি বলেন, আমি ২৩ দিন ছিলাম দুদকে। আমাদের মারধর করে সাইকোলোজিক্যালি ডাউন করা হয়। আমাদের লোকদের বলা হতো সাক্ষী হবা, নাকি আসামি হবা। তারা বলতেন, আমরা অন্যায় করিনি। দুদকের ষড়যন্ত্রকারীরা কোন মামলায় ডেসটিনির ৪৫ বিনিয়োগকারীদের সাক্ষী রাখেনি। সাক্ষী হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা, বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এভাবে ২১৯ জন সাক্ষী বানায়। আমি জানতে চাইলে দুদক কর্মকর্তারা বলে সাক্ষী নিতে নিতে দীর্ঘ সময় লাগবে। মামলা দীর্ঘায়িত করি। আমি বিনা দোষে সাজা ভোগ করেছি। আমাকে রিমান্ডে নিয়ে দুদক থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, বিদেশে চলে যান। আমি বলেছি আমি যাব না। কারণ আপনারা যা করবেন সেটা আমি জানি। আমাকে ক্রস ফায়ার করবেন। দুদকের কর্মকর্তারা তাকিয়ে ছিলেন সেদিন। তারা আবার অফার করে ডেসটিনি সব বন্ধ করে দেন এক সপ্তাহের মধ্যে জামিন দেব। আমি বললাম বিনিয়োগ কারিরা বেকার হয়ে যাবে। এরা সরকারকে ভোট দেবে না। তারা বলেন, সরকার ভোটের চিন্তা করে না। এভাবে আমাদের রিমান্ড শেষ হয়।

রফিকুল আমীন বলেন, আমি জেলে থাকা অবস্থায় প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, একদিন গণমাধ্যমের সামনে আসব এবং সবার কাছে সেই অন্ধকার, অপকৌশল তুলে ধরব। আজ সেই দিন এসেছে। আমি মানুষের পাশে দাড়াতে রাজনৈতিক দল গঠন করেছি।

পার্টির নাম পরিবর্তন সম্পর্কে রফিকুল আমীন বলেন, আমজনতা নাম ছিল শুরুতে এটি ২০২২ সালে আমি চিন্তা করেছিলাম। ৫ আগস্টের পর আমজনতা দল নামে একটি দল এলো এরপর আমজনতা দলের নেতা তারেক রহমানের অনুরোধ করেন দলের নাম পরিবর্তনের জন্য। তিনি আমাকে হুমকি দেয় নাম পরিবর্তন না করলে এমন কোনো কাজ বাদ রাখব না যাতে আপনি বিরক্ত না হোন। তারপর তিনি বলেন, আপোষে আপনারা এটা করেন। আমি প্রতিহিংসা না করে তাদের সম্মানে আমজনগণ পার্টি নামকরণ করা হয়।

তিনি বলেন, এই সরকার পরিবেশ বান্ধব, রাজনীতি বান্ধব। এ সরকারের সময়ে অনেক রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছে। যত বেশি দল তত বেশি মত প্রকাশের সুযোগ তৈরি হয়।

এখনি সংসদে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখছেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি; আমি মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে এসেছি।

ভবিষ্যতে কোনো জোট করবেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আমার উচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবে। আমি একটা ভোট দিতে পারি সেখানে। তিনি বলেন, আপাতত জোটের কোনো চিন্তা নেই।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় মিট দ্যা প্রেসে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন।