আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন এবং বর্ধিত হারে ঈদ বোনাস পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে৷
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান জানিয়েছেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আগামী ৫ জুন থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগেই বেতন ও বোনাস পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও এপ্রিল মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস একসঙ্গে নাও আসতে পারে, তবে বোনাস আগে ছাড় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এছাড়া, অর্থ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই ঈদ বোনাসে বাড়তি সুবিধার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এবার মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে ঈদুল আজহার বোনাস পাবেন। তবে কর্মচারীরা পূর্বের নিয়মেই বোনাস পাবেন।
মাউশি সূত্রে আরও জানা গেছে, ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের বকেয়া বেতন ও ভাতার বিভিন্ন ধাপের সরকারি আদেশ (জিও) জারি করা হয়েছে। এরমধ্যে বৈশাখী ভাতাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাব অনুযায়ী, এপ্রিল মাসের প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯০৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী, ডিসেম্বরের সপ্তম ধাপে ১ হাজার ২৪২ জন, জানুয়ারির চতুর্থ ধাপে ১ হাজার ৫৫৬ জন, ফেব্রুয়ারির তৃতীয় ধাপে (আংশিক) ১ হাজার ৫৭৩ জন এবং মার্চের দ্বিতীয় ধাপে (আংশিক) ১ হাজার ৫৭৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বকেয়া বেতন-ভাতা ছাড় করা হবে।
তবে এ অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা ও ভোগান্তির বিষয়ও উঠে এসেছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে সরাসরি বেতন-ভাতা পেলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত ৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে অ্যানালগ পদ্ধতিতে অর্থ ছাড় করা হতো। যদিও বর্তমানে অনেক শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন পাচ্ছেন, তবে ইএমআইএস সেলের দায়িত্বে থাকা কিছু প্রকল্পভুক্ত কর্মকর্তা এবং উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্তদের গাফিলতির কারণে অনেক শিক্ষক এখনো নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, আজ (বুধবার) বেতন-বকেয়া পরিশোধের দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে শিক্ষক-কর্মচারীদের পদযাত্রায় পুলিশের বাধার মুখে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। যার প্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দ্রুতই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
ইউ