ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিক্ষা অফিসারের সময়জ্ঞানহীনতায়

ঈদের আগে বেতন পাচ্ছেন না সুবর্ণচরের ২৮ শিক্ষক

সুবর্ণচরের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ২৮ জন শিক্ষক ঈদুল আজহার পূর্বে বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার ঈদের আগে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের শেষ কর্ম দিবস ছিল কিন্তু উপজেলা শিক্ষা অফিস সময়মতো বেতন সংক্রান্ত ফাইল অনুমোদন না দেওয়ার কারণেই এমন অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষকরা জানান, সময়মতো বেতন না পেয়ে তারা ভীষণ উদ্বিগ্ন ও হতাশ। বিশেষ করে ঈদের মতো উৎসবের সময় বেতন না পাওয়া তাদের জীবনে সৃষ্টি করেছে গভীর সংকট। শিক্ষকরা দাবি করছেন, বেতন বিল প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট অফিসে পাঠানো ও অনুমোদনের ব্যাপারে অপ্রত্যাশিত দায়িত্বহীন ও গাফিলতিই এ সমস্যার মূল কারণ।

ক্ষোভ প্রকাশ করে এক শিক্ষক বলেন, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই, কারণ বেতন মেলেনি। আমরা অনেক সময়ই অফিসের গাফিলতির শিকার হচ্ছি, যা একদমই অগ্রহণযোগ্য।

শিক্ষকরা বলছেন, ঈদের মতো বড় ধর্মীয় উৎসবের আগে বেতন না পাওয়া চরম মানবিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বলেন, ঈদের বাজার তো দূরের কথা, সংসার চালানোই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আমরা কারো দয়ায় বেতন পাই না, এটা আমাদের অধিকার।

বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব শাহ আলম ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব রতন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের কেউ ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

তাদের দাবি, এ ধরনের গাফিলতির দায় যেন আর কোনো শিক্ষককে না বইতে হয়। তাঁরা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এমএম

শিক্ষা অফিসারের সময়জ্ঞানহীনতায়

ঈদের আগে বেতন পাচ্ছেন না সুবর্ণচরের ২৮ শিক্ষক

আপডেট সময় ০৬:২২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

সুবর্ণচরের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ২৮ জন শিক্ষক ঈদুল আজহার পূর্বে বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার ঈদের আগে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের শেষ কর্ম দিবস ছিল কিন্তু উপজেলা শিক্ষা অফিস সময়মতো বেতন সংক্রান্ত ফাইল অনুমোদন না দেওয়ার কারণেই এমন অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষকরা জানান, সময়মতো বেতন না পেয়ে তারা ভীষণ উদ্বিগ্ন ও হতাশ। বিশেষ করে ঈদের মতো উৎসবের সময় বেতন না পাওয়া তাদের জীবনে সৃষ্টি করেছে গভীর সংকট। শিক্ষকরা দাবি করছেন, বেতন বিল প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট অফিসে পাঠানো ও অনুমোদনের ব্যাপারে অপ্রত্যাশিত দায়িত্বহীন ও গাফিলতিই এ সমস্যার মূল কারণ।

ক্ষোভ প্রকাশ করে এক শিক্ষক বলেন, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই, কারণ বেতন মেলেনি। আমরা অনেক সময়ই অফিসের গাফিলতির শিকার হচ্ছি, যা একদমই অগ্রহণযোগ্য।

শিক্ষকরা বলছেন, ঈদের মতো বড় ধর্মীয় উৎসবের আগে বেতন না পাওয়া চরম মানবিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বলেন, ঈদের বাজার তো দূরের কথা, সংসার চালানোই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আমরা কারো দয়ায় বেতন পাই না, এটা আমাদের অধিকার।

বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব শাহ আলম ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব রতন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের কেউ ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

তাদের দাবি, এ ধরনের গাফিলতির দায় যেন আর কোনো শিক্ষককে না বইতে হয়। তাঁরা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এমএম