ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গলায় মাংসের হাড় আটকে গেলে যা করবেন

খাওয়ার সময় মাছের কাঁটা বা মাংসের ছোট হাড় গলায় আটকে যেতে পারে। অনেক সময় ছোট শিশুরা খেলার সময় কোনো কিছু মুখে দিলে তা গলায় আটকে যায়। এটি একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি। এ অবস্থায় রোগীকে যতটা দ্রুত সম্ভব হাসপাতালের জরুরি বিভাগে অথবা কাছের নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে হবে। নয়তো এ ছোট ঘটনা থেকে হতে পারে মহাবিপদ।

ধাতব মুদ্রা বা পয়সা, খেলনার ছোট ছোট অংশ, বাঁধানো দাঁত, মাছের কাঁটা, মাংসের ছোট হাড়, সুই, সেফটিপিন এমন আরও অনেক কিছু আছে যা গলায় আটক যেতে পারে।

খাদ্যনালির কোথায় আটকায়
গলবিল ও খাদ্যনালির সংযুক্ত স্থান হলো খাদ্যনালির সবচেয়ে সংকীর্ণ জায়গা। এখানেই বেশির ভাগ জিনিস আটকায়। এ ছাড়াও খাদ্যনালিতে চারটি সংকোচিত পয়েন্টে যে কোনো কিছু আটকাতে পারে।

রোগের লক্ষণগুলো
রোগীর বা রোগীর লোকজন কোনো কিছু খেয়ে ফেলার অথবা গলায় আটকে যাওয়ার কথা বলবে
ঢোক গিলতে অসুবিধা হতে পারে, গলাব্যথা হতে পারে, অতিরিক্ত লালা বের হওয়া বমি বমি ভাব হওয়া।

রোগ নির্ণয় করার উপায়
রোগের লক্ষণগুলো থেকে গলার বা বুকের এক্স-রে করে দেখা যাবে,ইসোফ্যাগোস্কপির (এন্ডোসকপি) মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারি।

চিকিৎসা
যেহেতু এটি একটি মেডিকেল ইমারজেন্সি অবস্থা, সে জন্য রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। এরপর সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে ইসোফ্যাগোস্কপির (এন্ডোসকপি) মাধ্যমে খাদ্যনালিতে আটকানো জিনিস বের করতে হবে।

কী কী অসুবিধা হতে পারে
খাদ্যনালিতে ইনফেকশন হতে পারে। খাদ্যনালি ফুটা হয়ে ফুসফুসে ইনফেকশন অথবা পুঁজ জমতে পারে। (যদি ধারালো কিছু হয়) এমনকি রোগী মৃত্যুবরণও করতে পারে।

এটি একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি অবস্থা। সুতরাং রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। এরপর সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে ইসোফ্যাগোস্কপির (এন্ডোসকপি) মাধ্যমে খাদ্যনালিতে আটকানো জিনিস বের করতে হবে। চিকিৎসা না করলে বিপদ হতে পারে। যেমন ১. খাদ্যনালিতে সংক্রমণ হতে পারে ২. খাদ্যনালি ফুটো হয়ে ফুসফুসে সংক্রমণ অথবা পুঁজ জমতে পারে। যদি ধারালো কিছু হয়, রোগী মারাও যেতে পারে।

ইউ

গলায় মাংসের হাড় আটকে গেলে যা করবেন

আপডেট সময় ০৫:১১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

খাওয়ার সময় মাছের কাঁটা বা মাংসের ছোট হাড় গলায় আটকে যেতে পারে। অনেক সময় ছোট শিশুরা খেলার সময় কোনো কিছু মুখে দিলে তা গলায় আটকে যায়। এটি একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি। এ অবস্থায় রোগীকে যতটা দ্রুত সম্ভব হাসপাতালের জরুরি বিভাগে অথবা কাছের নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে হবে। নয়তো এ ছোট ঘটনা থেকে হতে পারে মহাবিপদ।

ধাতব মুদ্রা বা পয়সা, খেলনার ছোট ছোট অংশ, বাঁধানো দাঁত, মাছের কাঁটা, মাংসের ছোট হাড়, সুই, সেফটিপিন এমন আরও অনেক কিছু আছে যা গলায় আটক যেতে পারে।

খাদ্যনালির কোথায় আটকায়
গলবিল ও খাদ্যনালির সংযুক্ত স্থান হলো খাদ্যনালির সবচেয়ে সংকীর্ণ জায়গা। এখানেই বেশির ভাগ জিনিস আটকায়। এ ছাড়াও খাদ্যনালিতে চারটি সংকোচিত পয়েন্টে যে কোনো কিছু আটকাতে পারে।

রোগের লক্ষণগুলো
রোগীর বা রোগীর লোকজন কোনো কিছু খেয়ে ফেলার অথবা গলায় আটকে যাওয়ার কথা বলবে
ঢোক গিলতে অসুবিধা হতে পারে, গলাব্যথা হতে পারে, অতিরিক্ত লালা বের হওয়া বমি বমি ভাব হওয়া।

রোগ নির্ণয় করার উপায়
রোগের লক্ষণগুলো থেকে গলার বা বুকের এক্স-রে করে দেখা যাবে,ইসোফ্যাগোস্কপির (এন্ডোসকপি) মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারি।

চিকিৎসা
যেহেতু এটি একটি মেডিকেল ইমারজেন্সি অবস্থা, সে জন্য রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। এরপর সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে ইসোফ্যাগোস্কপির (এন্ডোসকপি) মাধ্যমে খাদ্যনালিতে আটকানো জিনিস বের করতে হবে।

কী কী অসুবিধা হতে পারে
খাদ্যনালিতে ইনফেকশন হতে পারে। খাদ্যনালি ফুটা হয়ে ফুসফুসে ইনফেকশন অথবা পুঁজ জমতে পারে। (যদি ধারালো কিছু হয়) এমনকি রোগী মৃত্যুবরণও করতে পারে।

এটি একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি অবস্থা। সুতরাং রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। এরপর সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে ইসোফ্যাগোস্কপির (এন্ডোসকপি) মাধ্যমে খাদ্যনালিতে আটকানো জিনিস বের করতে হবে। চিকিৎসা না করলে বিপদ হতে পারে। যেমন ১. খাদ্যনালিতে সংক্রমণ হতে পারে ২. খাদ্যনালি ফুটো হয়ে ফুসফুসে সংক্রমণ অথবা পুঁজ জমতে পারে। যদি ধারালো কিছু হয়, রোগী মারাও যেতে পারে।

ইউ