ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় ওরা ১১জন: গরুর হাটের টাকা বন্টনে অনিয়ম

 

ঢাকার উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ায় ইয়ারপুর ইউনিয়ন নরসিংহপুর বটতলা এলাকার ঐতিহ্যবাহি গরুর হাটের দ্বায়িত্বে থাকা ওরা ১১জনের অনিয়মে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সহ জনমনে এক প্রকার চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এই হাটের ইজারাদার ছিলেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই আল হাদি। এছাড়া ইয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসেন সরকার, আশুলিয়া থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো: জিল্লুর রহমান, নবী দেওয়ান, ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আপেল মাহমুদ হান্নান, সাধারণ সম্পাদক কিসমত সরকার ও হানিফ পলান সহ ১১ জনে এই হাটটির দ্বায়িত্বে ছিলেন।

গত ঈদ উল আযহা উপলক্ষে এই হাটটি ১০ লাখ ১১ হাজার টাকায় ডাক নেওয়া হয়। গরু বেচাবিক্রির হাসিল বাবদ মোট ৪৭ লাখ টাকা আয় হয়। যার ৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন ভলেন্টিয়ারকে ৫ হাজার করে মোট ২ লাখ ৭৫ হাজার, ৮ জন নাইট গার্ডকে ১০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া ১০ হাজার করে ১০ জন রাইটারকে ১ লাখ এবং অন্য ৮ জনকে ৭ হাজার টাকা করে মোট ৫৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। হাঁটটির ডাক সহ মোট খরচ হয় ১৫ লাখ ২২ হাজার টাকা।

অদৃত্ত ৩১ লাখ ২৮ হাজার টাকা থেকে দ্বায়িত্বে থাকা ১১ জন অতিরিক্ত ১ লাখ করে তাদের পকেটে ঢুকায় বলে অভিযোগ উঠে। এছাড়া এলাকাবাসী সহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অন্য নেতাকর্মীদেরকে কোন টাকা দেয়নি বলে অভিযোগ ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি ১৭ বছর ধরে ক্ষুধার্ত। তাই তারা তাদের ক্ষুধা নিবারণে ১৭ বছরের ক্ষুধা এই এক বছরে নিবারণ করতে চাচ্ছে। বিগত সময়ে গরুর হাঁট থেকে যা আয় হতো, তা সবার মাঝে সঠিকভাবে বন্টন করা হতো। হাট নিয়ে এরকম বদনাম কখনও শুনি নাই। এই হাটে অনেকে পরিশ্রম করেও কোন টাকা পায়নি। তা দ্বায়িত্বে থাকা রাঘববোয়ালেরা গিলে খেয়েছে। চাঁন রাইতে কিভাবে কি বন্টন হবে এনিয়ে ১১ জনের মতামত নেওয়া হয়। সেখানে দেলোয়ার হোসেন সরকার সবাইর মাঝে সুষমভাবে টাকা বন্টনের প্রস্তাব রাখেন। তার কথায় বাকিরা রাজি না থাকায়, সে হাটের স্থান থেকে রাগ করে চলে যান। এই সুযোগে বাকিরা যে যার মত যাকে যা পেরেছেন তাই দিয়ে চলে যান। অথচ, এলাকাবাসী সহ কর্মীরা কোন টাকা না পেয়ে তাদের মধ্যে এক প্রকার চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা দলের দুর্দিনে থাকবো, সুদিনে আমাদেরকে অবমূল্যায়ন করা হবে, তাতো মেনে নেওয়া যায় না। এই হাট থেকে কিছু টাকা পাবো এই আশায় ছিলাম এবং আমাদেরকে দিবে বলেও অপেক্ষায় রেখেছিলো। চাঁন রাতে টাকা না পেয়ে ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে বাসায় ফিরে আসি।

নাম না প্রকাশের শর্তে যুবদলের এক কর্মীর সাথে এবিষয়ে কথা হলে তিনিও বলেন, ভাই ঘটনা সত্য। আমিও কোন টাকা পাইনি। এই হাটের ইজারাদার এর দ্বায়িত্ব যদি জাহিদ হাসান বিকাশ নিতো, তাহলে আমরা সবাই ঠিকঠাক মত টাকা পেতাম। আমার মত আরও অনেকে কোন টাকা পাইনি। বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারলো না, অথচ এত তাড়াতাড়ি যদি তাদের ন্যাচারের ভোল্ট পাল্টে যায় তাহলে ক্ষমতায় আসলে কি যে হবে তা আমাদের বোঝা হয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের যদি নেতারা মূল্যায়ন না করে, তাহলে অদূর ভবিষ্যত খারাপ দেখছি বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তাই এই হাটের ঘটনায় যারা যারা অনিয়ম করেছে, সুষ্ঠু তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

এবিষয়ে ইজারাদার আব্দুল হাই আল হাদি বলেন, আমি অসুস্থ ছিলাম তাই বেশি সময় থাকতে পারিনি। মিটিং শেষে কমিটির সবাই তাদের ভাগের টাকা বুঝে নিছে। সবাই যার যার ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদেরকে টাকা বন্টন করে দিবে বলে জানি। আমি এর বেশি জানিনা আপনি (প্রতিনিধিকে) যদি আরো কিছু জানতে চান? তাহলে জিল্লু মাস্টার, কিসমত, হান্নান, মনির, আপেল মাহমুদ হান্নান, হানিফ পলান ও নবী দেওয়ান ওদের সাথে কথা বলুন। ওরা ভালো বলতে পারবে।

পরে, ইয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসেন সরকারকে এবিষয়ে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি ধরেন নি।

এরপরে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মনির হোসেন মোল্লাকে ফোন করা হলে এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না, ইজারাদার জানেন বলে ফোন কেটে দেন। এরপরে পূনরায় এই প্রতিনিধিকে ফোন করে বলেন, আমাকে মাত্র ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। ঐ ২০ হাজার টাকার সাথে আমি পকেট থেকে আরো বেশি টাকা যোগ করে টোটাল ৫৫ হাজার টাকা আমার এলাকায় দিয়েছি।

অন্যদিকে, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো: জিল্লুর রহমান বলেন, টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি মিথ্যা। সবাইকে টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাত বেশী হওয়ায় কিছু লোক বাদ পড়েছিল, তাই তাদেরকে পরের দিন টাকা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তালিকা নিয়ে মতবিরোধ ছিলো বলে একটু জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। উল্লেখ্য যে অন্যান্যদের মত মো: জিল্লুর রহমানও নিজের দায় এড়াতে প্রথমে হাট ইজারাদার আব্দুল হাই আল হাদির উপর দায় চাপিয়ে দেন। কথোপকথনের শেষ পর্যায়ে এই প্রতিনিধিকে চা প্রাণের দাওয়াতও দেন তিনি।

ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আপেল মাহমুদ হান্নান বলেন, আমি কিছুই জানিনা, আপনি ইজারাদারের সাথে কথা বলেন। হাঁটের দায়িত্ব ছিলো নবী দেওয়ান ও দেলোয়ার সরকার। এবিষয়ে তারা ভালো বলতে পারবেন।

সাধারণ সম্পাদক কিসমত সরকার বলেন- টাকার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা আপনি ইজারাদারের সাথে কথা বলেন। হাটের দায়িত্ব ছিলো নবী দেওয়ান ও দেলোয়ার সরকার। এবিষয়ে তারা ভালো জানেন। আর বিশেষ করে আমি একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছি।

এব্যাপারে, আশুলিয়া থানা বিএনপির নেতা নবী দেওয়ানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

 

এএস/

 

 

আশুলিয়ায় ওরা ১১জন: গরুর হাটের টাকা বন্টনে অনিয়ম

আপডেট সময় ০৬:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

 

ঢাকার উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ায় ইয়ারপুর ইউনিয়ন নরসিংহপুর বটতলা এলাকার ঐতিহ্যবাহি গরুর হাটের দ্বায়িত্বে থাকা ওরা ১১জনের অনিয়মে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সহ জনমনে এক প্রকার চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এই হাটের ইজারাদার ছিলেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই আল হাদি। এছাড়া ইয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসেন সরকার, আশুলিয়া থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো: জিল্লুর রহমান, নবী দেওয়ান, ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আপেল মাহমুদ হান্নান, সাধারণ সম্পাদক কিসমত সরকার ও হানিফ পলান সহ ১১ জনে এই হাটটির দ্বায়িত্বে ছিলেন।

গত ঈদ উল আযহা উপলক্ষে এই হাটটি ১০ লাখ ১১ হাজার টাকায় ডাক নেওয়া হয়। গরু বেচাবিক্রির হাসিল বাবদ মোট ৪৭ লাখ টাকা আয় হয়। যার ৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন ভলেন্টিয়ারকে ৫ হাজার করে মোট ২ লাখ ৭৫ হাজার, ৮ জন নাইট গার্ডকে ১০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া ১০ হাজার করে ১০ জন রাইটারকে ১ লাখ এবং অন্য ৮ জনকে ৭ হাজার টাকা করে মোট ৫৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। হাঁটটির ডাক সহ মোট খরচ হয় ১৫ লাখ ২২ হাজার টাকা।

অদৃত্ত ৩১ লাখ ২৮ হাজার টাকা থেকে দ্বায়িত্বে থাকা ১১ জন অতিরিক্ত ১ লাখ করে তাদের পকেটে ঢুকায় বলে অভিযোগ উঠে। এছাড়া এলাকাবাসী সহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অন্য নেতাকর্মীদেরকে কোন টাকা দেয়নি বলে অভিযোগ ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি ১৭ বছর ধরে ক্ষুধার্ত। তাই তারা তাদের ক্ষুধা নিবারণে ১৭ বছরের ক্ষুধা এই এক বছরে নিবারণ করতে চাচ্ছে। বিগত সময়ে গরুর হাঁট থেকে যা আয় হতো, তা সবার মাঝে সঠিকভাবে বন্টন করা হতো। হাট নিয়ে এরকম বদনাম কখনও শুনি নাই। এই হাটে অনেকে পরিশ্রম করেও কোন টাকা পায়নি। তা দ্বায়িত্বে থাকা রাঘববোয়ালেরা গিলে খেয়েছে। চাঁন রাইতে কিভাবে কি বন্টন হবে এনিয়ে ১১ জনের মতামত নেওয়া হয়। সেখানে দেলোয়ার হোসেন সরকার সবাইর মাঝে সুষমভাবে টাকা বন্টনের প্রস্তাব রাখেন। তার কথায় বাকিরা রাজি না থাকায়, সে হাটের স্থান থেকে রাগ করে চলে যান। এই সুযোগে বাকিরা যে যার মত যাকে যা পেরেছেন তাই দিয়ে চলে যান। অথচ, এলাকাবাসী সহ কর্মীরা কোন টাকা না পেয়ে তাদের মধ্যে এক প্রকার চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা দলের দুর্দিনে থাকবো, সুদিনে আমাদেরকে অবমূল্যায়ন করা হবে, তাতো মেনে নেওয়া যায় না। এই হাট থেকে কিছু টাকা পাবো এই আশায় ছিলাম এবং আমাদেরকে দিবে বলেও অপেক্ষায় রেখেছিলো। চাঁন রাতে টাকা না পেয়ে ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে বাসায় ফিরে আসি।

নাম না প্রকাশের শর্তে যুবদলের এক কর্মীর সাথে এবিষয়ে কথা হলে তিনিও বলেন, ভাই ঘটনা সত্য। আমিও কোন টাকা পাইনি। এই হাটের ইজারাদার এর দ্বায়িত্ব যদি জাহিদ হাসান বিকাশ নিতো, তাহলে আমরা সবাই ঠিকঠাক মত টাকা পেতাম। আমার মত আরও অনেকে কোন টাকা পাইনি। বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারলো না, অথচ এত তাড়াতাড়ি যদি তাদের ন্যাচারের ভোল্ট পাল্টে যায় তাহলে ক্ষমতায় আসলে কি যে হবে তা আমাদের বোঝা হয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের যদি নেতারা মূল্যায়ন না করে, তাহলে অদূর ভবিষ্যত খারাপ দেখছি বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তাই এই হাটের ঘটনায় যারা যারা অনিয়ম করেছে, সুষ্ঠু তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

এবিষয়ে ইজারাদার আব্দুল হাই আল হাদি বলেন, আমি অসুস্থ ছিলাম তাই বেশি সময় থাকতে পারিনি। মিটিং শেষে কমিটির সবাই তাদের ভাগের টাকা বুঝে নিছে। সবাই যার যার ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদেরকে টাকা বন্টন করে দিবে বলে জানি। আমি এর বেশি জানিনা আপনি (প্রতিনিধিকে) যদি আরো কিছু জানতে চান? তাহলে জিল্লু মাস্টার, কিসমত, হান্নান, মনির, আপেল মাহমুদ হান্নান, হানিফ পলান ও নবী দেওয়ান ওদের সাথে কথা বলুন। ওরা ভালো বলতে পারবে।

পরে, ইয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসেন সরকারকে এবিষয়ে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি ধরেন নি।

এরপরে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মনির হোসেন মোল্লাকে ফোন করা হলে এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না, ইজারাদার জানেন বলে ফোন কেটে দেন। এরপরে পূনরায় এই প্রতিনিধিকে ফোন করে বলেন, আমাকে মাত্র ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। ঐ ২০ হাজার টাকার সাথে আমি পকেট থেকে আরো বেশি টাকা যোগ করে টোটাল ৫৫ হাজার টাকা আমার এলাকায় দিয়েছি।

অন্যদিকে, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো: জিল্লুর রহমান বলেন, টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি মিথ্যা। সবাইকে টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাত বেশী হওয়ায় কিছু লোক বাদ পড়েছিল, তাই তাদেরকে পরের দিন টাকা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তালিকা নিয়ে মতবিরোধ ছিলো বলে একটু জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। উল্লেখ্য যে অন্যান্যদের মত মো: জিল্লুর রহমানও নিজের দায় এড়াতে প্রথমে হাট ইজারাদার আব্দুল হাই আল হাদির উপর দায় চাপিয়ে দেন। কথোপকথনের শেষ পর্যায়ে এই প্রতিনিধিকে চা প্রাণের দাওয়াতও দেন তিনি।

ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আপেল মাহমুদ হান্নান বলেন, আমি কিছুই জানিনা, আপনি ইজারাদারের সাথে কথা বলেন। হাঁটের দায়িত্ব ছিলো নবী দেওয়ান ও দেলোয়ার সরকার। এবিষয়ে তারা ভালো বলতে পারবেন।

সাধারণ সম্পাদক কিসমত সরকার বলেন- টাকার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা আপনি ইজারাদারের সাথে কথা বলেন। হাটের দায়িত্ব ছিলো নবী দেওয়ান ও দেলোয়ার সরকার। এবিষয়ে তারা ভালো জানেন। আর বিশেষ করে আমি একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছি।

এব্যাপারে, আশুলিয়া থানা বিএনপির নেতা নবী দেওয়ানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

 

এএস/