ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মিত্র গোষ্ঠীগুলোকে পুনরুজ্জীবিত

যেকোনো সময় সংঘাতে জড়াতে পারে ইরানের মিত্ররা

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতে ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত। এ ঘটনায় যেকোনো সময় সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে ইরান ঘনিষ্ঠ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। দ্রুত এসব মিত্র গোষ্ঠীগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে ইরান। কেননা ইসরায়েলের চারপাশের বিভিন্ন দেশেই ছড়িয়ে আছে এসব মিলিশিয়া বাহিনী।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় হলে তা সমগ্র অঞ্চলকেই অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। যদিও ইরানের মিত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো চাপের মুখে আছে এবং তাদের সক্ষমতা কমেছে, তবুও তারা টিকে আছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে বা তাদের ঘাঁটি থেকে ইরানের দিকে হামলা চালানো হয়, তবে ইরান এর কঠোর জবাব দেবে। আর সেই জবাব শুধু সরাসরি নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তাদের সহযোগী গোষ্ঠীগুলোকেও সক্রিয় করে দেওয়া হতে পারে।

ইসরায়েলের হামলায় গত কয়েক মাসে লেবাননে হিজবুল্লাহসহ একাধিক ইরান ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, তাদের মূল কাঠামো এখনো বিদ্যমান। বিশেষ করে ইরাকে ইরান ঘনিষ্ঠ মিলিশিয়ারা এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি ও লজিস্টিক কনভয়ে হামলা চালিয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে এসব হামলা আবার শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি শুধু ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর প্রভাব সিরিয়া, ইরাক, লেবানন, ইয়েমেন এমনকি উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ভোরে হঠাৎ ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।

সেই থেকে চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত উভয় দেশের অনেকে নিহত ও আহত হয়েছেন। তবে এই সহিংস পরিস্থিতি থামাতে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

ইউ

মিত্র গোষ্ঠীগুলোকে পুনরুজ্জীবিত

যেকোনো সময় সংঘাতে জড়াতে পারে ইরানের মিত্ররা

আপডেট সময় ০৮:৩৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতে ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত। এ ঘটনায় যেকোনো সময় সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে ইরান ঘনিষ্ঠ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। দ্রুত এসব মিত্র গোষ্ঠীগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে ইরান। কেননা ইসরায়েলের চারপাশের বিভিন্ন দেশেই ছড়িয়ে আছে এসব মিলিশিয়া বাহিনী।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় হলে তা সমগ্র অঞ্চলকেই অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। যদিও ইরানের মিত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো চাপের মুখে আছে এবং তাদের সক্ষমতা কমেছে, তবুও তারা টিকে আছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে বা তাদের ঘাঁটি থেকে ইরানের দিকে হামলা চালানো হয়, তবে ইরান এর কঠোর জবাব দেবে। আর সেই জবাব শুধু সরাসরি নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তাদের সহযোগী গোষ্ঠীগুলোকেও সক্রিয় করে দেওয়া হতে পারে।

ইসরায়েলের হামলায় গত কয়েক মাসে লেবাননে হিজবুল্লাহসহ একাধিক ইরান ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, তাদের মূল কাঠামো এখনো বিদ্যমান। বিশেষ করে ইরাকে ইরান ঘনিষ্ঠ মিলিশিয়ারা এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি ও লজিস্টিক কনভয়ে হামলা চালিয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে এসব হামলা আবার শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি শুধু ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর প্রভাব সিরিয়া, ইরাক, লেবানন, ইয়েমেন এমনকি উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ভোরে হঠাৎ ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।

সেই থেকে চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত উভয় দেশের অনেকে নিহত ও আহত হয়েছেন। তবে এই সহিংস পরিস্থিতি থামাতে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

ইউ