ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক দুই উপাচার্যসহ বেরোবির ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি)
সাবেক দুই উপাচার্যসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান- মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক ও উপাচার্য একেএম নূর-উন-নবী, সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু ও এম এম হাবিবুর রহমান।

দুদক মহাপরিচালক জানায়, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেন এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতিরেকে ৩০ কোটিরও অধিক মূল্যের চুক্তি সম্পাদন করেন। ঠিকাদারের বিল থেকে কর্তন করা নিরাপত্তা জামানতের টাকা এফডিআর করে তা লিয়েনে রেখে ৪ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্যারান্টার করা হয়।

তিনি আরও জানায়, অগ্রিম অর্থ প্রদানের অনুমোদন না থাকলেও ঠিকাদারকে অগ্রিম বিল দেওয়া হয় এবং বিল সমন্বয়ের আগেই ব্যাংক গ্যারান্টি অবমুক্ত করা হয়। এছাড়া, প্রথম পরামর্শকের ডিজাইন উপেক্ষা করে নিয়মবহির্ভূতভাবে দ্বিতীয় পরামর্শক নিয়োগ এবং দরপত্র মূল্যায়নে অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। এই কর্মকাণ্ড দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।

এমএম

সাবেক দুই উপাচার্যসহ বেরোবির ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় ১০:৪০:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি)
সাবেক দুই উপাচার্যসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান- মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক ও উপাচার্য একেএম নূর-উন-নবী, সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু ও এম এম হাবিবুর রহমান।

দুদক মহাপরিচালক জানায়, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেন এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতিরেকে ৩০ কোটিরও অধিক মূল্যের চুক্তি সম্পাদন করেন। ঠিকাদারের বিল থেকে কর্তন করা নিরাপত্তা জামানতের টাকা এফডিআর করে তা লিয়েনে রেখে ৪ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্যারান্টার করা হয়।

তিনি আরও জানায়, অগ্রিম অর্থ প্রদানের অনুমোদন না থাকলেও ঠিকাদারকে অগ্রিম বিল দেওয়া হয় এবং বিল সমন্বয়ের আগেই ব্যাংক গ্যারান্টি অবমুক্ত করা হয়। এছাড়া, প্রথম পরামর্শকের ডিজাইন উপেক্ষা করে নিয়মবহির্ভূতভাবে দ্বিতীয় পরামর্শক নিয়োগ এবং দরপত্র মূল্যায়নে অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। এই কর্মকাণ্ড দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।

এমএম