চট্টগ্রামে জেলার হাটহাজারীতে নির্বিচারে পাহাড় নিধন অব্যহত রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে পাহাড় নিধনের এই খেলায় মেথে উছেছে। এমন অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় একব্যক্তি আবুল মনছুর নামে। অন্যদিকে পাহাড় কেটে সমতল করে অবৈধভাবে বসতি স্থাপন করা হচ্ছে। প্রশাসন এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। পাহাড় কাটা বন্ধ না হলে বর্ষাকালে ভূমিধস ও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারকে (এসি ল্যান্ড) কে একাধিক বার লিখিত অভিযোগ দিলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। তারা আরও জানিয়েছেন, পাহাড় কাটার ফলে বর্ষাকালে ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়বে, যা জানমালের জন্য মারাত্মক হুমকি। একটি গুরুতর সমস্যা যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে দাড়িয়েছে।
এব্যপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, পাহাড় কাটা বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার যথাযথ প্রয়োগ করা হবে। স্থানীয়রা বলেন, পাহাড় রক্ষার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং স্থানীয়দের অংশগ্রহণে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাহাড় কাটার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবেশ পুনরুদ্ধার এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জরুরি দাবি জানিয়েছেন।
পাহাড় কাটার জন্য রেকর্ডীয় মালিক থেকে বিগত আড়াই বছর আগে একটি আমমোক্তারনামা নেয় এবং নির্বিঘ্নে পাহাড় কাটার জন্য সর্বসাধারণের যাতায়াতের রাস্তায় প্রথমে পাকা ওয়াল নির্মাণ করে পরবর্তীতে লোহার গেইট দিয়া মাটি কাটার জন্য এস্কেভেটর নিয়া গেইটে তালা বন্ধ করে রাখে। একইভাবে হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ নামক স্থানে পশ্চিম ছড়ার কূলে বদরপীর দরগাহ ও কবরস্থানের পশ্চিম পার্শ্বে সরকারী পাহাড় থেকে ২০ ফিট গভীর করে মাটি নিয়ে বিক্রি করে পরিবেশের চরম ক্ষতি করে। কিন্তু অর্থ ও লোকবলে বলীয়ান হওয়ায় তাহার ভয়ে এলাকাবাসী কেউ কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না।
এব্যপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক জমির উদ্দীন বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা কার্যালয়কে বলা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক সেলিনা আক্তার ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামানের মোবাইলে কল দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এএস/