ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁয়ে হত্যা মামলায় প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

 

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার হত্যা মামলার প্রধান প্রধান আসামি ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  র‍্যাব বলছে, এলাকায় মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয় রতনকে। এরপর লাশ ফেলা হয় খালে। 

হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটনের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১ এবং র‍্যাব-১৩, যৌথ দল  বুধবার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে  কুড়িগ্রাম জেলার সদর থানাধীন পাচগাছি হারুগারা ইউপির অন্তর্গত আরাজী কদমতলা এলাকা হতে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী ইয়ানুছকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার আসামী নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার বরাব মুগড়াকুল এলাকার মৃত নবুর ছেলে ইয়ানুছ।

আজ বৃহস্পতিবার (৩জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ এক সম্মেলনে এসব জানান র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক(সিও) লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য ও ঘটনার বিবরণ জানিয়ে র‍্যাব-১১ অধিনায়ক বলেন, আসামি ও ভুক্তভোগী পূর্বপরিচিত। তারা দুজনই একই এলাকার বাসিন্দা ও মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় মাঝে মাঝে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের বিরোধ হতো।

উল্লেখ্য: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার খালপাড় থেকে উদ্ধার করা হয় রতন নামে এক যুবকের গলাকাটা মরেদেহ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান আসামি ইয়াসিনকে।  র‍্যাব বলছে, আসামি এবং ভুক্তভোগী একই এলাকার বাসিন্দা। এলাকায় মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয় ভুক্তভোগী রতনকে। এরপর লাশ ফেলা হয় খালে।

নিহত রতন নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঁচপুর এলাকার মালেক মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সোনারগাঁয়ের নাওড়া বিটা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পরে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর রতনের গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ খালে ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনার পর থেকেই ইয়ানুছ কুড়িগ্রামে আত্বগোপন করে। গ্রেফতার এড়াতে সে পার্শ্ববর্তী দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় ১টি হত্যা চেষ্টার মামলাও রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, এ ঘটনায় মোট ৮ জন অংশ নেয়। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় র‍্যাব কর্তৃক গ্রেপ্তার মোট চারজন আসামী।

 

এএস/

 

সোনারগাঁয়ে হত্যা মামলায় প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৮:১৬:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার হত্যা মামলার প্রধান প্রধান আসামি ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  র‍্যাব বলছে, এলাকায় মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয় রতনকে। এরপর লাশ ফেলা হয় খালে। 

হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটনের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১ এবং র‍্যাব-১৩, যৌথ দল  বুধবার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে  কুড়িগ্রাম জেলার সদর থানাধীন পাচগাছি হারুগারা ইউপির অন্তর্গত আরাজী কদমতলা এলাকা হতে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী ইয়ানুছকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার আসামী নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার বরাব মুগড়াকুল এলাকার মৃত নবুর ছেলে ইয়ানুছ।

আজ বৃহস্পতিবার (৩জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ এক সম্মেলনে এসব জানান র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক(সিও) লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য ও ঘটনার বিবরণ জানিয়ে র‍্যাব-১১ অধিনায়ক বলেন, আসামি ও ভুক্তভোগী পূর্বপরিচিত। তারা দুজনই একই এলাকার বাসিন্দা ও মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় মাঝে মাঝে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের বিরোধ হতো।

উল্লেখ্য: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার খালপাড় থেকে উদ্ধার করা হয় রতন নামে এক যুবকের গলাকাটা মরেদেহ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান আসামি ইয়াসিনকে।  র‍্যাব বলছে, আসামি এবং ভুক্তভোগী একই এলাকার বাসিন্দা। এলাকায় মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয় ভুক্তভোগী রতনকে। এরপর লাশ ফেলা হয় খালে।

নিহত রতন নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঁচপুর এলাকার মালেক মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সোনারগাঁয়ের নাওড়া বিটা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পরে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর রতনের গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ খালে ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনার পর থেকেই ইয়ানুছ কুড়িগ্রামে আত্বগোপন করে। গ্রেফতার এড়াতে সে পার্শ্ববর্তী দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় ১টি হত্যা চেষ্টার মামলাও রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, এ ঘটনায় মোট ৮ জন অংশ নেয়। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় র‍্যাব কর্তৃক গ্রেপ্তার মোট চারজন আসামী।

 

এএস/