ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
‘মুক্তির ক্যালেন্ডার’

৩৬ জুলাই বিশ্বরেকর্ডের ইতিহাস: শামসুল আলম

‘৩৬ জুলাই’ এটা কি সত্যি কোনো দিন? কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন। বাস্তবে নয়, তবে আন্দোলনের ইতিহাসে এই দিনটি একটি প্রতীক। 

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ব্যাপক বিতর্কিত ও ‘ডামি’ নির্বাচন। এরপর বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা এবং ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের একাধিক সূত্র থেকে বলা হয়- ‘জুলাইয়ের মধ্যেই হাসিনা রেজিমের পতন ঘটবে’।

জুলাইয়ের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী চীনে ব্যর্থ কূটনৈতিক সফর শেষে দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ‘রাজাকারদের নাতি’ বলে তিরষ্কার করেন। এর আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল কোটাবিরোধী আন্দোলন। তখন থেকেই নির্ধারণ করা হয়- এই জুলাই মাসেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

জুলাই মাস পেরিয়ে গেলেও প্রত্যাশিত ফল আসেনি। তখনই শামসুল আলম একটি মনস্তাত্ত্বিক ধারণা দাঁড় করান- ‘জুলাই মাস টেনে দেয়া হলো বিজয় অবধি। আজ ৩২, কাল ৩৩…এভাবে চলবে, যতদিন না হাসিনার পতন হয়। মানি না আগস্ট-ফাগস্ট, পতন না হওয়া পর্যন্ত জুলাই চলবে।’

এই ঘোষণায় আন্দোলনের ভিত আরও শক্ত হয়। প্রতিদিনকার সংগ্রামের মাঝে ‘৩৬ জুলাই’ হয়ে ওঠে একটি লক্ষ্য- পতনের দিন। ৫ আগস্ট যখন ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি একদিন এগিয়ে এনে গণভবন ঘেরাও করা হয় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ ফ্যাসিবাদের পতনের সাক্ষী হয়, তখন সেই দিনটিকেই বলা হয়- ‘৩৬ জুলাই’।

একটি প্রতীকী তারিখ, যা ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে ‘মুক্তির ক্যালেন্ডার’ নামে।

ইউ

 

‘মুক্তির ক্যালেন্ডার’

৩৬ জুলাই বিশ্বরেকর্ডের ইতিহাস: শামসুল আলম

আপডেট সময় ০১:৫৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

‘৩৬ জুলাই’ এটা কি সত্যি কোনো দিন? কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন। বাস্তবে নয়, তবে আন্দোলনের ইতিহাসে এই দিনটি একটি প্রতীক। 

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ব্যাপক বিতর্কিত ও ‘ডামি’ নির্বাচন। এরপর বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা এবং ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের একাধিক সূত্র থেকে বলা হয়- ‘জুলাইয়ের মধ্যেই হাসিনা রেজিমের পতন ঘটবে’।

জুলাইয়ের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী চীনে ব্যর্থ কূটনৈতিক সফর শেষে দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ‘রাজাকারদের নাতি’ বলে তিরষ্কার করেন। এর আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল কোটাবিরোধী আন্দোলন। তখন থেকেই নির্ধারণ করা হয়- এই জুলাই মাসেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

জুলাই মাস পেরিয়ে গেলেও প্রত্যাশিত ফল আসেনি। তখনই শামসুল আলম একটি মনস্তাত্ত্বিক ধারণা দাঁড় করান- ‘জুলাই মাস টেনে দেয়া হলো বিজয় অবধি। আজ ৩২, কাল ৩৩…এভাবে চলবে, যতদিন না হাসিনার পতন হয়। মানি না আগস্ট-ফাগস্ট, পতন না হওয়া পর্যন্ত জুলাই চলবে।’

এই ঘোষণায় আন্দোলনের ভিত আরও শক্ত হয়। প্রতিদিনকার সংগ্রামের মাঝে ‘৩৬ জুলাই’ হয়ে ওঠে একটি লক্ষ্য- পতনের দিন। ৫ আগস্ট যখন ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি একদিন এগিয়ে এনে গণভবন ঘেরাও করা হয় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ ফ্যাসিবাদের পতনের সাক্ষী হয়, তখন সেই দিনটিকেই বলা হয়- ‘৩৬ জুলাই’।

একটি প্রতীকী তারিখ, যা ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে ‘মুক্তির ক্যালেন্ডার’ নামে।

ইউ