ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বন্ধ ঘোষণা ঘোষনার পরও বেপরোয়া প্রভাবশালীরা 

সুনামগঞ্জে বালুমহালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

সুনামগঞ্জে সরকারিভাবে জলমহাল ইজারা না দেওয়ায় প্রভাবশালীরা লুটপাট চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইজারার অভাবে জলমহালে মাছ ও বালু লুটপাটের ঘটনা ঘটছে এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও প্রকৃত মৎস্যজীবীরা। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জনিয়েছে স্থানীয়রা। জেলার সব বালুমহালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পরিবহন ও মজুত নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রশাসন। এর পরও বালু উত্তলন করা হচ্ছে।  

জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সুনামগঞ্জে অবস্থানরত সেনাবাহিনী ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিজিবি ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও জেলা পুলিশ সুপারকে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা ট্রাকমালিক ও শ্রমিক সমিতিকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। যেহেতু সুনামগঞ্জ জেলার কোনো বালুমহাল নতুন বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয়নি, তাই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পরিবহন ও মজুত বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সড়কপথে টহল জোরদারের অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।
স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত ইজারা দেওয়া হলে, সরকারের রাজস্ব আদায় হবে। একইসঙ্গে জলমহালগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে।  কিন্তু প্রশাসন ইজারা না দিয়ে উল্টো সুযোগ করে দিচ্ছে প্রভাবশালীদের অবৈধভাবে  বালু উত্তালনের জন্য। 
এতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি স্থানীয় অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।  

বিশেষ করে, বালু-পাথর মহালেও ইজারা বন্ধ থাকায় একই ধরনের ঘটনা ঘটছে। শ্রমিকরা কর্মসংস্থান হারাচ্ছে এবং প্রভাবশালীরা বালু-পাথর লুট করে নিজেদের পকেট ভারী করছে। 

স্থানীয় এক বাসিন্ধা আইয়ুব আলী জানান,  প্রতিদিনি বিপুল পরিমান বালু নৌকা বুঝাই দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তিনি আরও বলেন, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের গাফিলতির কারনে নৌকা প্রবেশ করছে এবং বালু নিয়ে বের হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী, নদীর পাশে পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। রাতে পুলিশের সামনে দিয়েই নৌকা প্রবেশ করছে কিন্তু পুলিশ বাঁধা দিচ্ছে না। আর এসব নৌকা ধুপাজান থেকে বালু নিয়ে বের হচ্ছে। জেলা পুলিশ বিভাগ যদি কঠোর ব্যবস্থা না নেয় তাহলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হবেনা।

পুলিশ জানায়, নৌকা থেকে ইট,পাথর ছুড়ে মারে নৌকার মাঝিরা। চরম ঝুঁকির মাঝে দায়িত্ব পালন করতে হয়। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, সুনিদৃষ্ঠ অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।। পুলিশ চেষ্ঠা করছে নৌকা প্রবেশ ঠেকানোর। আমাদের কোন গাফিলতি নেই।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায়, সরকারের উচিত দ্রুত জলমহালগুলোর ইজারা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা এবং লুটপাট বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া। স্থানীয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে করে সাধারণ মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।

 

এএস/

 

বন্ধ ঘোষণা ঘোষনার পরও বেপরোয়া প্রভাবশালীরা 

সুনামগঞ্জে বালুমহালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

আপডেট সময় ০১:২৩:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

সুনামগঞ্জে সরকারিভাবে জলমহাল ইজারা না দেওয়ায় প্রভাবশালীরা লুটপাট চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইজারার অভাবে জলমহালে মাছ ও বালু লুটপাটের ঘটনা ঘটছে এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও প্রকৃত মৎস্যজীবীরা। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জনিয়েছে স্থানীয়রা। জেলার সব বালুমহালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পরিবহন ও মজুত নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রশাসন। এর পরও বালু উত্তলন করা হচ্ছে।  

জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সুনামগঞ্জে অবস্থানরত সেনাবাহিনী ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিজিবি ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও জেলা পুলিশ সুপারকে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা ট্রাকমালিক ও শ্রমিক সমিতিকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। যেহেতু সুনামগঞ্জ জেলার কোনো বালুমহাল নতুন বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয়নি, তাই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পরিবহন ও মজুত বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সড়কপথে টহল জোরদারের অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।
স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত ইজারা দেওয়া হলে, সরকারের রাজস্ব আদায় হবে। একইসঙ্গে জলমহালগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে।  কিন্তু প্রশাসন ইজারা না দিয়ে উল্টো সুযোগ করে দিচ্ছে প্রভাবশালীদের অবৈধভাবে  বালু উত্তালনের জন্য। 
এতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি স্থানীয় অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।  

বিশেষ করে, বালু-পাথর মহালেও ইজারা বন্ধ থাকায় একই ধরনের ঘটনা ঘটছে। শ্রমিকরা কর্মসংস্থান হারাচ্ছে এবং প্রভাবশালীরা বালু-পাথর লুট করে নিজেদের পকেট ভারী করছে। 

স্থানীয় এক বাসিন্ধা আইয়ুব আলী জানান,  প্রতিদিনি বিপুল পরিমান বালু নৌকা বুঝাই দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তিনি আরও বলেন, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের গাফিলতির কারনে নৌকা প্রবেশ করছে এবং বালু নিয়ে বের হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী, নদীর পাশে পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। রাতে পুলিশের সামনে দিয়েই নৌকা প্রবেশ করছে কিন্তু পুলিশ বাঁধা দিচ্ছে না। আর এসব নৌকা ধুপাজান থেকে বালু নিয়ে বের হচ্ছে। জেলা পুলিশ বিভাগ যদি কঠোর ব্যবস্থা না নেয় তাহলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হবেনা।

পুলিশ জানায়, নৌকা থেকে ইট,পাথর ছুড়ে মারে নৌকার মাঝিরা। চরম ঝুঁকির মাঝে দায়িত্ব পালন করতে হয়। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, সুনিদৃষ্ঠ অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।। পুলিশ চেষ্ঠা করছে নৌকা প্রবেশ ঠেকানোর। আমাদের কোন গাফিলতি নেই।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায়, সরকারের উচিত দ্রুত জলমহালগুলোর ইজারা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা এবং লুটপাট বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া। স্থানীয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে করে সাধারণ মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।

 

এএস/