ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে বহুতল ভবনের দাবিতে মানববন্ধন

কুড়িগ্রামের রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে বহুতল ভবনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে অংশ নেন প্রায় ৪০০জন শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকগণ।

জানা যায়, রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজটি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১০ সালে এমপিওভুক্ত হয়। ২০২২ সালে কুড়িগ্রাম জেলায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান (কারিগরী) নির্বাচিত হয় ও ২০২২, ২০২৩, ২০২৪ সালে পরপর তিন বার জেলায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ এসএম হুমায়ুন কবির। ওই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রি-ভোকেশনাল (ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণি), এসএসসি ভোকেশনাল (নবম-দশম শ্রেণি), এইচএসসি (বিএমটি) একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি ও ছয় মাস মেয়াদি (৩৬০ ঘন্টা) বেসিক ট্রেড মোট ৮০০জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন।

রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ এসএম হুমায়ুন কবির মানববন্ধনের বক্তব্যে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অদ্যবধি ২৪ বছরে বিভিন্ন দপ্তরে বহুতল বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করেও কোনো সুফল মেলেনি। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের দুই বিভাগ থেকে একাডেমিক ভবন নির্মাণের তালিকা চেয়ে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করি। সে প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় দুই বিভাগের তালিকায় আমার প্রতিষ্ঠানটি শীর্ষে রেখে তালিকা পাঠান। শর্তানুযায়ি আমার প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত ও পাবলিক পরিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত। কিন্তু গত ৩০ জুলাই প্রকাশিত তালিকায় অজ্ঞাত কারণে প্রতিষ্ঠানটি বাদ পরে যায়। আমার প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত অবকাঠামো অন্য প্রতিষ্ঠানে ভেন্যু করে পরীক্ষা নিতে হয়। এতে ভেন্যু কেন্দ্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ব্যাঘাত ঘটে। অনতিবিলম্বে ওই প্রতিষ্ঠানে বহুতল ভবন নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শায়লা অন্তু বলেন, বহুতল ভবন না থাকায় প্রচন্ড গরমে টিন সেট কক্ষে আমাদেরকে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয়। এ ছাড়া বর্ষা মৌসুমে টিনের চালা ফুটো থাকায় বৃষ্টির পানিতে বই-খাতা ভিজে যায়। আমরা ঠিকমত ক্লাস করতে পারি না। ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমাদের নিজের প্রতিষ্ঠানের পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকায় অন্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। এতে আমাদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তাই বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য জোর দাবি ওই শিক্ষার্থী।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক একরামুল হক, প্রভাষক আব্দুস শহিদ, গোলাম মোহাম্মদ কামরুল ও শিক্ষার্থী হ্যাপী হায়দার, ময়না পারভীন, সোলায়মান আলী, শাকিব আল হাসন প্রমুখ।

রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে কাছে জানানো হবে। যাতে দ্রুত ওই প্রতিষ্ঠানে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়।

এসস/

রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে বহুতল ভবনের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৭:০১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

কুড়িগ্রামের রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে বহুতল ভবনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে অংশ নেন প্রায় ৪০০জন শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকগণ।

জানা যায়, রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজটি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১০ সালে এমপিওভুক্ত হয়। ২০২২ সালে কুড়িগ্রাম জেলায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান (কারিগরী) নির্বাচিত হয় ও ২০২২, ২০২৩, ২০২৪ সালে পরপর তিন বার জেলায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ এসএম হুমায়ুন কবির। ওই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রি-ভোকেশনাল (ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণি), এসএসসি ভোকেশনাল (নবম-দশম শ্রেণি), এইচএসসি (বিএমটি) একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি ও ছয় মাস মেয়াদি (৩৬০ ঘন্টা) বেসিক ট্রেড মোট ৮০০জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন।

রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ এসএম হুমায়ুন কবির মানববন্ধনের বক্তব্যে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অদ্যবধি ২৪ বছরে বিভিন্ন দপ্তরে বহুতল বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করেও কোনো সুফল মেলেনি। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের দুই বিভাগ থেকে একাডেমিক ভবন নির্মাণের তালিকা চেয়ে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করি। সে প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় দুই বিভাগের তালিকায় আমার প্রতিষ্ঠানটি শীর্ষে রেখে তালিকা পাঠান। শর্তানুযায়ি আমার প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত ও পাবলিক পরিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত। কিন্তু গত ৩০ জুলাই প্রকাশিত তালিকায় অজ্ঞাত কারণে প্রতিষ্ঠানটি বাদ পরে যায়। আমার প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত অবকাঠামো অন্য প্রতিষ্ঠানে ভেন্যু করে পরীক্ষা নিতে হয়। এতে ভেন্যু কেন্দ্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ব্যাঘাত ঘটে। অনতিবিলম্বে ওই প্রতিষ্ঠানে বহুতল ভবন নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শায়লা অন্তু বলেন, বহুতল ভবন না থাকায় প্রচন্ড গরমে টিন সেট কক্ষে আমাদেরকে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয়। এ ছাড়া বর্ষা মৌসুমে টিনের চালা ফুটো থাকায় বৃষ্টির পানিতে বই-খাতা ভিজে যায়। আমরা ঠিকমত ক্লাস করতে পারি না। ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমাদের নিজের প্রতিষ্ঠানের পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকায় অন্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। এতে আমাদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তাই বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য জোর দাবি ওই শিক্ষার্থী।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক একরামুল হক, প্রভাষক আব্দুস শহিদ, গোলাম মোহাম্মদ কামরুল ও শিক্ষার্থী হ্যাপী হায়দার, ময়না পারভীন, সোলায়মান আলী, শাকিব আল হাসন প্রমুখ।

রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে কাছে জানানো হবে। যাতে দ্রুত ওই প্রতিষ্ঠানে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়।

এসস/