মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশের এম,এল,এম ডেসটিনি-২০০০ লিঃ এর জনক কোটি মানুষের প্রানের ব্যক্তি এম,ডি মোঃ রফিকুল আমিন ৪৫ লাখ বিনিয়োগকারীর সাথে কোন প্রকার প্রতারনা করেননি।এমনকি নিজের স্বার্থে বিনিয়োগকারীর আমানত হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাননি। বরং বিনা বিচারে ১২ বছর কারাভোগ করছেন। অথচ ঐসময় অনেক মহল থেকে তাকে বলা হয়েছিল বিদেশে পালিয়ে গিয়ে আরাম আয়েশে জীবনযাপন করতে।
কিন্তু এই মানুষটি পারেননি তার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি-২০০০ লিঃ আর এরসাথে জড়িত ৪৫ লাখ বিনিয়োকারীর সাথে কোন প্রকার প্রতারনা করতে। বিনিয়োগকারীদের প্রতি তার এই ভালোবাসা উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দেশের ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ে।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, ডেসটিনি-২০০০ লিঃ এর শীর্ষ কর্মকর্তা এম,ডি রফিকুল আমিন এর বিরুদ্ধে গুটি কয়েক পত্রিকায় মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে টাকা বিদেশে পাঁচার সহ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে ডেসটিনি সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিল। ঐসময় কোম্পানীর এম,ডি রফিকুল আমিন সরকারের কাছে দাবি তুলেছিলেন, তদন্ত করে দেখুন আমরা বিনিয়োগকারীদের কোন অর্থ বিদেশে পাঁচার করেছি কিনা। কতিপয় পত্রিকা বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে ডেসটিনি-২০০০ লিঃ কে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছে। এর সাথে জড়িত ৪৫ লাখ বিনিয়োগকারী সহ প্রায় ৩ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। তবুও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি কোম্পানীর এম,ডি মোঃ রফিকুল আমিন। মিডিয়ার সামনে এসে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ঘোষনা দিয়েছিলেন ডেসটিনি কোনো প্রতারনা করেনি। মামলাও করেছিলেন ঐসব পত্রিকার বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, ডেসটিনির সকল সম্পদের ৯০ভাগ মালিক ৪৫ লাখ ডিষ্ট্রিবিউটর। তাই প্রাণের কোম্পানী ডেসটিনিকে ছেড়ে কোথাও যাবেন না।
তিনি আজও বিশ্বাস করেন, তার চলার পথ ছিলো সঠিক। অথচ অবাক ব্যাপার বাংলাদেশকে নিয়ে যে মানুষটি অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার ঠিকানা এখন জেলখানা। দুদুকের সেই মামলাও সত্যতা মিলছে না। ডেসটিনির বিরুদ্ধে চার্জশীটে অবৈধ ব্যাংকিংয়ের কোন কথাই নেই। ডেসটিনির বিরুদ্ধে ঐ চার্জশীটে অভিযোগে লেখা হয়েছে মানিলন্ডারিং করেছে ডেসটিনি।
অন্যদিকে ঐ চার্জশীটের অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তদন্ত প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, ডেসটিনি’র বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। একইভাবে চলমান মামলার ১২ বছর পরও প্রমাণিত হয়নি দুদকের মামলার সত্যতা।
এতে করে রফিকুল আমিনের প্রতি দেশের ৪৫ লাখ বিনিয়োগকারী সহ সংশ্লিষ্ট ৩ কোটি মানুষের বিশ্বাস ও ভালবাসা শতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাইতো ডেসটিনির ডিষ্ট্রিবিউটররা বারবার সরকারের নিকট দাবি তুলছেন ডেসটিনির ৪৫ লাখ বিনিয়োগকারীর অভিভাবক সত্যবাদী প্রাণ পুরুষ রফিকুল আমিনের মুক্তির। গ্রাম গঞ্জের সাধারন ডিষ্ট্রিবিউটররা রফিকুল আমিনকে কি পরিমান ভালোবাসেন বা বিশ্বাস করেন সেটা চোখে না দেখলে লিখে বুঝানো যাবে না।
অথচ পরিতাপের বিষয় দীর্ঘ ১২ বছর পর ভূমিদস্যু, দুর্বৃত্তকারী এবং সম্পদলোভীরা একত্রিত হয়ে ডেসটিনির হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুটপাট করে খাওয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। কিন্তু ওরা জানেনা রফিকুল আমিন বেঁচে থাকতে ওদের সেই স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না