শিশুর মতো নিষ্পাপ এই মানুষটিকে পুলিশ আটক করেনি, বরং মাননীয় আদালত কর্তৃক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় তিনি বিদেশে পালিয়ে না গিয়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় নিজেই আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন, তিনি গত প্রায় একযুগ বিনাবিচারে কারাগারে আটক আছেন।
তিনি কোন সাজাপ্রাপ্ত আসামি নন, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোন সাধারন নাগরিক ও ডেসটিনির ৪৫লক্ষ ক্রেতা পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীগণদের একজন ব্যক্তিও এ পর্যন্ত একটি অভিযোগও করেনি এবং তার বিরুদ্ধে দুদকের দায়েরকৃত মানি লন্ডারিং মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে তিনি বিদেশে কোন অর্থ পাচার করেননি।
তবুও তিনি আটক, আজও তিনি আটক, প্রায় একযুগ ধরে আটক !!! জ্বী, তিনি গত প্রায় একযুগ ধরে কারাগারে আটক !!! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, উনার বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ উঠেছিল তখন তিনি বিদেশে ছিলেন। অভিযোগের খবর পেয়েই তিনি দ্রুত দেশে ফিরে আসেন এবং মিডিয়ার সামনে তিনি প্রত্যেকটি অভিযোগ তথ্য প্রমাণ দিয়ে খন্ডন করে নিরঙ্কুশ মিথ্যা প্রমাণ করেছিলেন। তবুও তিনি আটক হয়ে আজও কারাবন্দী জীবন যাপন করছেন।
তিনি আজও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একজন মানুষ, তার অতীত ইতিহাসেও প্রমান মেলে তিনি সত্যিই বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একজন সৈনিক। এদেশের যারা ভাল চায়না, তাদেরই ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে তিনি কারাবন্দী অবস্থায় আছেন।
গত একযুগ ডেসটিনির ৪৫লক্ষ ক্রেতা পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীগণ শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে দাবী জানিয়ে আসছেন তাঁকে মুক্তি দিয়ে তাদের কাজের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ও তাঁর মুক্তির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকৃত অর্থ যেন ফেরৎ দেওয়া হয়।